ঈদুল ফিতর: ইতিহাস, গুরুত্ব ও তাৎপর্য
মানুষের বৈচিত্র্যহীন কর্মব্যস্ত জীবনের ক্লান্তি দূর করতে মাঝে মাঝে উৎসবের প্রয়োজন হয়। সামাজিক ও আত্মীয়তার শীতল হয়ে যাওয়া সম্পর্কগুলো সজীব ও প্রাণবন্ত করতে প্রয়োজন হয় কোনও সম্মিলন বা মিলন মেলার। যেন মানুষ তার প্রতিদিনের একঘেয়ে জীবনের সংকীর্ণ গণ্ডি থেকে বের হয়ে আত্মীয়তা, বন্ধুত্ব ও ভালোবাসার মুক্ত বাতাসে শ্বাস নিতে পারেন। নিরুদ্যম প্রাণে শক্তি ও কর্মপ্রেরণা জোগাতে পারে। সব আসমানি ধর্ম-সহ পৃথিবীজুড়ে সব জাতি ও সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যেই বিভিন্ন উৎসব আছে। উৎসব জাতিগত ঐক্যের চেতনাও সৃষ্টি করে। উৎসবের দিনগুলোও যেকোনও জাতির স্বাতন্ত্র্য ও পৃথক পরিচয়ের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নিদর্শন ও প্রতীক। একটি জাতির স্বতন্ত্র পরিচয়-সত্তা নির্মাণ করতে, তাদের মধ্যে ঐক্যের চেতনা ও ভ্রাতৃত্বের মৈত্রী জাগ্রত করতে সম্মিলিত আনন্দ ও উদযাপন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
ঈদের সামাজিক অর্থ উৎসব আর আভিধানিক অর্থ পুনরাগমন বা বারবার ফিরে আসা। তাই প্রতি বছরই মুসলমানদের জীবনের ফিরে আসে ঈদ। প্রথমটি উদযাপিত হয় দীর্ঘ ১ মাস রোজা রাখার পর। যাকে বলা হয় ঈদ-উল- ফিতর বা রোজার ঈদ, আর অন্যটি আত্মত্যাগের কোরবানীর ঈদ বা ঈদ-উল-আজহা। এই দুইটি ঈদই হলো মুসলমানদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব।
গোটা পৃথিবীতেই মুসলিম ধর্মাবলম্বীরা এই দিন খুবই আনন্দের সঙ্গে পালন করেন। সবাই এ দিন সাধ্যামতো ভালো পোশাক পরে। ঘরে ঘরে ভোজের আয়োজন হয়। আত্মীয়স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশীরাও এই আনন্দের অংশীদার হয়। দরিদ্ররাও এ দিনটিকে যথাযোগ্য মর্যাদা আনন্দের সাথে পালন করে। মুসলমানেরা এ দিন ঈদের দুই রাকাত নামাজ আদায় করেন। আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। ধনী-দরিদ্র নির্বিশেষে সবাই কোলাকুলি-সহ সালাম ও শুভেচ্ছার হাত বাড়িয়ে দেয়।
বর্তমানে ঈদকার্ড বিনিময় একটি জনপিয় প্রথায় পরিণত হয়েছে। আর তথ্য-প্রযুক্তির যুগে সোশ্যাল মিডিয়াতেও আনন্দ-খুশি ও ঈদের আবেগ ভাগাভাগি করে থাকে। সমাজের ধনী ও সক্ষম ব্যক্তিরা নির্দিষ্ট হারে গরিবদের ফিতরা বা শর্তহীন অনুদান বিতরণ করে থাকে যা ধর্মীয় দিক থেকে ধনীদের জন্য যা বাধ্যতামূলক।
এই ঈদ উৎসবের কী ভাবে প্রচলন হয়েছে তার ইতিহাস ও তথ্য সঠিকভাবে আজও জানা যায়নি। নানা ইতিহাস গ্রন্থ ও ঐতিহাসিক সূত্র ও তথ্য থেকে রোজাপালন এবং ঈদ-উল-ফিতর বা ঈদ-উল-আজহা উদযাপনের যে ইতিহাস জানা যায় তাতে ১২০৪ খৃস্টাব্দে বঙ্গদেশ মুসলিম অধিকারে এলেও নমাজ, রোজা ও ঈদোৎসবের প্রচলন হয়েছে তার বেশ আগে থেকেই। বঙ্গদেশ যুদ্ধবিগ্রহের মাধ্যমে মুসলিম অধিকারে আসার বহু আগে থেকেই মধ্য ও পশ্চিম এশিয়া থেকে মুসলিম সুফি, দরবেশ ও সাধকরা ধর্ম-প্রচারের লক্ষ্যে উত্তর ভারত হয়ে পূর্ব-বাংলায় আসেন।
অন্যদিকে আরবীয় এবং অন্যান্য মুসলিম দেশের বণিকেরা চট্টগ্রাম নৌবন্দরের মাধ্যমেও বাংলার সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক স্থাপন করেন। এভাবেই একটা মুসলিম সাংস্কৃতিক তথা ধর্মীয় প্রভাব যে পূর্ব-বাংলায় পড়েছিল। তবে মুঘল যুগে ঈদের দিন যে হইচই বা আনন্দ হতো তা মুঘল ও বনেদি পরিবারের উচ্চপদস্থ এবং ধনাঢ্য মুসলমানদের মধ্যে কিছুটা হলেও সীমাবদ্ধ ছিল। তার সঙ্গে সাধারণ মানুষের ব্যবধান না থাকলেও কিছু দূরত্ব ছিল।
রাসুল (সা.) যখন মক্কা থেকে হিজরত করে মদিনায় গেলেন, তখন সেখানে জাহেলি যুগ থেকে প্রচলিত দু’টি উৎসবের দিন ছিল; শরতের পূর্ণিমায় ‘নওরোজ’ এবং বসন্তের পূর্ণিমায় ‘ মেহেরজান’।
রাসুল (সা.) জিজ্ঞাসা করলেন, এই দুই দিন কীসের? মদিনাবাসী সাহাবিরা বললেন, জাহেলি যুগ থেকে আমরা এই দুই দিন খেলাধুলা ও আনন্দ করি। রাসুল (সা.) বললেন, আল্লাহ এই দুই দিনের বদলে তোমাদের নতুন দু’টি উৎসবের দিন দিয়েছেন: ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা। (মুসনাদে আহমদ ১৩০৫৮)।
এভাবে মুসলমানদের পৃথক উৎসবের সূচনা হলো। এটা দ্বিতীয় হিজরি অর্থাৎ ৬২৪ খ্রিষ্টাব্দের ঘটনা। রাসুল (সা.) ঘোষণা করলেন, ‘সব জাতিরই ঈদ বা উৎসবের দিন থাকে, এটা আমাদের ঈদ।’ (সহিহ বুখারি ৩৯৩১, সহিহ মুসলিম ২০৯৮)।
‘ঈদ’ শব্দটি আরবি ‘আওদ’ থেকে উৎকলিত। ‘আওদ’ অর্থ ঘুরে আসা, প্রত্যাবর্তন করা। ঈদ মানে প্রতি বছর ঘুরে ফিরে আসে এ রকম একটি দিন। আরবিতে বিশেষ দিবস বা উৎসবের দিনকে ঈদ বলে। ফিতর অর্থ রোজা ভাঙা বা ইফতার করা। আমাদের কাছে পরিচিত ‘রোজার ঈদ’কে ইসলামি পরিভাষায় বলা হয় ঈদুল ফিতর বা রোজা ভাঙার উৎসব। পুরো রমজানে প্রতিদিন সূর্যাস্তের পর মুসলমানরা উপবাস ভাঙে। এটা শুধু সেদিনের রোজা বা উপবাসের ইফতার। ঈদের দিন এক মাসের নিয়মিত উপবাস ভাঙা হয়। সেটাও এক রকম ইফতার। রোজাদারের জন্য প্রত্যেক দিনের ইফতারের মুহূর্তই আনন্দের, ঈদুল ফিতরের দিন বিশেষভাবে আনন্দের ও উৎসবের। রাসুল (সা.) বলেছেন, রোজাদারের জন্য দু’টি আনন্দক্ষণ রয়েছে, ইফতারের সময় সে আনন্দিত হয়, রবের সঙ্গে দেখা করার সময় আবার সে আনন্দিত হবে। (বুখারি ৭৪৯২)।
ঈদুল ফিতরের দিন মুসলমানরা আনন্দিত হয় রমজানের রোজা সফলভাবে রাখতে পারা এবং আল্লাহর পক্ষ থেকে ক্ষমা প্রাপ্তির কারণেও। এটা রোজাদার মুসলমানদের জন্য পুরস্কারের দিন। হজরত আউস আল আনসারী (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, ঈদুল ফিতরের দিন সকালে ফেরেশতারা রাস্তায় রাস্তায় দাঁড়িয়ে যান এবং মুসলমানদের উদ্দেশে বলতে থাকেন, হে মুসলমানগণ!
তোমরা দয়ালু প্রতিপালকের দিকে এগিয়ে এসো। উত্তম প্রতিদান ও বিশাল সাওয়াব-প্রাপ্তির জন্য এগিয়ে এসো। তোমাদের রাত্রিবেলার নামাজের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, তোমরা সে নির্দেশ মেনে নামাজ পড়েছো। তোমাদের দিনে রোজা রাখতে বলা হয়েছিল, তোমরা সে নির্দেশও পালন করেছো, এক মাস রোজা রেখেছো। গরিব দুঃখীদের আহার করানোর মাধ্যমে নিজের প্রতিপালককে তোমরা আহার করিয়েছো। এখন নামাজ পড়ে এসব পুণ্যকর্মের প্রতিদান ও পুরস্কার গ্রহণ করো। ঈদের নামাজ পড়ার পর একজন ফিরিশতা ঘোষণা দেন, শোন নামাজ আদায়কারীরা! তোমাদের মহান রাব্বুল আলামিন মাফ করে দিয়েছেন, সকল গুনাহ থেকে মুক্ত অবস্থায় নিজ নিজ আবাসে ফিরে যাও। আজ পুরস্কার প্রদানের দিন। আকাশে এই দিনের নামকরণ করা হয়েছে ‘পুরস্কারের দিন’ (আল মুজামুল কাবির লিত তাবারানি ৬১৭, ৬১৮)।
হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ঈদের দিন আল্লাহ তাআলা ফেরেশতাদের বলেন, তারা আমার ফরজ আদায় করে প্রার্থনার জন্য বের হয়েছে। আমার মর্যাদা বড়ত্ব ও সম্মানের কসম! আমি অবশ্যই তাদের প্রার্থনা কবুল করবো। তারপর আল্লাহ বান্দাদের উদ্দেশ করে বলেন, ফিরে যাও, আমি তোমাদের ক্ষমা করে দিয়েছি। তোমাদের পাপগুলোকে নেকি দ্বারা পরিবর্তন করে দিয়েছি। এরপর সবাই ক্ষমাপ্রাপ্ত হয়ে বাড়ি ফিরে যায়। (বায়হাকির সূত্রে মেশকাত, অধ্যায়: হায়াতুল মুসলিমিন, পৃ: ২৪৯)।
ঈদুল ফিতরের একটি ওয়াজিব বা আবশ্যিক আমল হলো সালাতুল ঈদ বা ঈদের নামাজ। ঈদের উৎসব শুরু হয় এই সালাতের মাধ্যমে। ঈদের দিন প্রথম প্রহরে ধনী-দরিদ্র আমির-ফকির নির্বিশেষে সব মুসলমান এক কাতারে দাঁড়ায়। একসঙ্গে আল্লাহর পবিত্রতা ও মহত্ব ঘোষণা করে। পরস্পরের খোঁজ-খবর নেয় ও কুশল বিনিময় করে। ইসলামে মুসলমানদের এই সম্মিলন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রাসুল (সা.) নারী পুরুষ নির্বিশেষ সবাইকে ঈদগাহের জমায়েতে উপস্থিত হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। এমনকি কোনও নারী যদি ঋতুমতী হওয়ার কারণে নামাজ পড়তে না পারেন, তাকেও ঈদগাহে উপস্থিত হতে বলেছেন। উম্মে আতিয়্যা (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাবালিকা, পর্দানশীন ও ঋতুমতী নারীদের ঈদের সালাতে উপস্থিত হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। ঋতুমতী নারীরা সালাতে অংশগ্রহণ করা থেকে বিরত থাকবে তবে পুণ্যের কাজ (দান-সদকা) ও মুসলমানদের দোয়ায় অংশগ্রহণ করবে। আমি আরয করলাম, ইয়া রাসুল্লাহ! আমাদের অনেকের ওড়না থাকে না। রাসুল (সা.) বললেন, তার কোনও বোন তাকে ওড়না দিয়ে সাহায্য করবে। (সহিহ বুখারি ১৯২৯)।
ঈদের আরেকটি আবশ্যিক আমল হলো সদকাতুল ফিতর। ক্ষমাপ্রাপ্তির খুশিতে এবং রমজানে কৃত আমলের ত্রুটি দূর করতে মুসলমানরা সদকাতুল ফিতর আদায় করে। সামর্থ্যবান ও সচ্ছল মুসলমানদের ওপর সদকাতুল ফিতর আদায় করা ওয়াজিব। ঈদ উদযাপন সার্বজনীন করে তুলতে, ধনী দরিদ্র নির্বিশেষে সবার মধ্যে ঈদের আনন্দ ছড়িয়ে দিতেই সদকাতুল ফিতরের বিধান এসেছে। পাশাপাশি এই সদকার মাধ্যমে রোজায় হয়ে যাওয়া ভুল-ত্রæটি মাফ হয়। ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম রোজাকে বেহুদা ও অশ্লীল কথা-আচরণ থেকে পবিত্র করার উদ্দেশ্যে এবং দরিদ্রদের খাদ্যের ব্যবস্থা করার জন্য সাদাকাতুল ফিতর ফরজ করেছেন। (সুনানে আবু দাউদ ১৬০৯)।
ঈদের উৎসবে একটু আনন্দের মধ্যে থাকা, খেলাধুলা করা বা উপভোগ করার শিক্ষা আমরা নবীজির জীবন থেকে পাই। আয়েশা (রা.) বলেন, এক ঈদের দিন হজরত আবু বকর (রা.) আমার ঘরে এলেন। সেখানে তখন দু’জন মেয়ে বুআস যুদ্ধের গান গাইছিল। তারা গায়িকা ছিল না। হজরত আবু বকর (রা.) ওই মেয়ে দুটোকে শক্ত ধমক দিয়ে বললেন, শয়তানি বাদ্য! তাও রাসুলের ঘরে! রাসুল (সা.) বললেন, আবু বকর! ওদের ছেড়ে দাও। প্রতিটি জাতিরই ঈদ ও খুশির দিন থাকে। আজ আমাদের ঈদের দিন। (সহিহ বুখারি ৯৫২)।
আত্মীয়-স্বজন ও প্রতিবেশীদের সঙ্গে দেখা সাক্ষাৎ ও তাদের খোঁজ-খবর নেওয়ার সুযোগও হয় ঈদের সম্মিলন ও দাওয়াতে। ইসলামে আত্মীয়তার বন্ধন রক্ষা করা ফরজ। সারা বছর কর্মব্যস্ততার কারণে আমরা অনেক আপনজনকেই ভুলে থাকি। সবার খোঁজ খবর সঠিকভাবে নেওয়া হয়ে ওঠে না। ঈদের উৎসবে সবাই একত্রিত হওয়ার সুযোগ পায়। আমাদের দেশে অনেক কর্মজীবী মানুষ বাবা মায়ের সঙ্গেও সাক্ষাৎ ও সময় কাটানোর সুযোগ পায় ঈদের ছুটিতে।
আরেকটি রেওয়ায়াতে আয়েশা (রা.) বলেন, এক ঈদের দিন দু’জন কৃষ্ণাঙ্গ ঢাল ও বর্শা দিয়ে খেলছিল। আমি রাসুলকে বললাম অথবা রাসুল (সা.) নিজেই আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন, বর্শার খেলা দেখতে চাও? আমি বললাম হ্যাঁ। রাসুল (সা.) আমাকে তার পেছনে দাঁড় করালেন। আমি রাসুল (সা.)-এর কাঁধে চেহারা রেখে খেলা দেখতে লাগলাম। রাসুল (সা.) বললেন, হুশিয়ার! হে বনি আরফাদা! (কোনও পক্ষকে উৎসাহ দিলেন বা সাবধান করলেন) (সহিহ বুখারি ৯৫০)।
সুদীর্ঘ এক মাসের সিয়াম সাধনার পর এই অবসরযাপন ও বিনোদন এক অনাবিল প্রশান্তি ও আনন্দ বয়ে আনে আমাদের জীবনে। আত্মীয়তা, ভ্রাতৃত্ব, বন্ধুত্ব ও সৌহার্দ্যের বিভায় উজ্জ¦ল হয়ে ওঠে কয়েকটি দিন। আমাদের অবসাদ-ক্লিষ্ট জীবনের মরা গাঙে প্রাণশক্তির জোয়ার আসে। নতুন উদ্যম ও কর্মপ্রেরণা নিয়ে আমরা আবার কাজে ফিরতে পারি।
ঈদুল ফিতর ২০২২ শুভেচ্ছা বার্তা
ঈদের দিনের সবচেয়ে খরচ কাজগুলোর মধ্যে একটি হলো একে অপরের সাথে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করা। সকালবেলা ঈদগাহ ময়দানে নামাজ শেষে আমরা একে অপরকে শুভেচ্ছা বিনিময় করে থাকি। কিন্তু যে সকল বন্ধুবান্ধব আমাদের কাছে নাই সে সকল বন্ধুবান্ধবকে আমরা অনলাইনে কিংবা অফলাইনে ঈদের শুভেচ্ছা বার্তা পাঠাতে পারি। এ জন্য আজকের এই নিবন্ধে আমরা ঈদ-উল-ফিতরের শুভেচ্ছা বার্তা গুলো দেখে নেব এবং আমরা আমাদের প্রিয় জন বন্ধুবান্ধবকে ঈদ মোবারক এর শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়ে দেব। আপনারা আমার এই ওয়েবসাইট হতে ঈদ মোবারক শুভেচ্ছা বার্তা গুলো পাঠিয়ে দিতে পারবেন।
আজকে খুশির বাঁধ ভেঙেছে,
ঈদ এসেছে ভাই ঈদ এসেছে
শাওআলের চাঁদ ওই উকি দিয়েছে,
সবার ঘরে আজ ঈদ এসেছে
সেই দিন আর নয় বেশি দূর,
রমযান শেষ হলে
কাটবে অপেখখার ঘোর।
ঈদ মোবারক
ফুল সুবাস দেয়, দৃষ্টি মনচুরি করে,
খুশি আমাদের হাসায়, দুঃখ আমাদের কাদায় ,
আর আমার এই এসএমএস তোমাকে ঈদের শুভেচছা জানাই, ঈদ মোবারাক।
রিমঝিম এই বৃষ্টিতে, ঈদ কাটাবো সৃষ্টিতে. খুশির হাওয়া লাগলো মনে, নাচবে খুকি ক্ষণে ক্ষণে সাজবে সবায় নতুন পোশাক, ঈদ যেন সারা জীবন রয়ে যাক । ঈদ মোবারক।
সারা দেশে চলছে ঈদের উৎসব। ঈদ মানে আনন্দ, ঈদ মানে খুশি।
ঈদ মানে হাজার কষ্টের মাঝেও একটুখানি হাসি।
ঈদ মোবারক।
ইচ্ছে করে বলতে তোমায় সত্যি ভালোবাসি,
বলতাম ঠিকই থাকলে তুমি আমার পাশাপাশি।
কোন দূরেতে আছিস বন্ধু আয়না আমার কাছে,
আজকের দিনে তোকে আমার পরছে খুব মনে।
ঈদ মোবারক।
কিছু কথা অব্যাক্ত রয়ে যায়, কিছু অনুভূতি মনের মাঝে থেকে যায়,
কিছু স্মৃতি নিরবে কেদে যায়, শুধু এই একটি দিন সব ভুলিয়ে দেয়, ঈদ মোবারক।
তোর ইচ্ছাগুলো উড়ে বেড়াক পাখনা দুটি মেলে,
দিনগুলি তোর যাকনা কেটে এমনি হেসে খেলে।
অপূর্ণ না থাকে যেন তোর কোন সুখ, এই কামনায় ঈদ মোবারক।
কষ্টের আড়ালে সুখের রাশি, প্রতিটা জীবনকেই আমি ভালোবাসি।
তাই প্রতিটা জীবনের প্রতিটা সময় শুভ হোক। সবাইকে জানাই ঈদ মোবারক।
বন্ধু তুমি অনেক দূরে, তাই তোমার কথা মনে পরে, সুন্দর এই সময় কাটুক খুশিতে, সব কষ্ট ভুলে যেও আপনজনের হাসিতে,
“ঈদ মোবারক”।
বলছি আমি আমার কথা,
ঈদে থাকবে নাকো মনের ব্যাথা,
আমার জীবনে অনেক চাওয়া,
ঈদ থেকে সব পাওয়া,
ঈদের প্রতি তাই এত্ত ভালোবাসা,
ঈদ মোবারক।
ঈদুল ফিতর ২০২২ স্ট্যাটাস
ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে আমরা সকলেই আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন ওয়ালে শুভেচ্ছা স্ট্যাটাস দিতে পারি। আপনিও যদি আপনার সোশ্যাল মিডিয়ার ওয়ালে শুভেচ্ছা স্ট্যাটাস দিতে ইচ্ছা পোষণ করেন তাহলে আমাদের এই ওয়েবসাইট থেকে ঈদ মোবারক এর শুভেচ্ছা স্ট্যাটাস গুলো দেখে নিতে পারেন। আমাদের ওয়েবসাইট হতে সংগ্রহীত ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা স্ট্যাটাস গুলো কপি করে আপনার সোশ্যাল মিডিয়ার ওয়ালে সরাসরি শেয়ার দিতে পারবেন অথবা আমাদের ওয়েবসাইট হতে স্ট্যাটাস গুলো দেখে আপনার নিজের মত করে সাজিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করতে পারবেন।
চাঁদ উঠেছে ফুল ফুটেছে দেখবি কে কে আয়, নতুন চাঁদের আলো এসে পড়ল সবার গায় । ঈদ মোবারাক।
রঙ লেগেছে মনে। মধুর এই খনে। তোমায় আমি রাঙ্গিয়ে দিবো ঈদের এই দিনে। ঈদ মোবারাক।
আকাশের নীল দিয়ে, হৃদয়ের ছোঁয়া দিয়ে, সবুজের অরণ্য দিয়ে, সাগরের গভীরতা দিয়ে তোমাকে জানাই ঈদের শুভেচ্ছা। ঈদ মোবারক।
ঈদ মানে হাসি, ঈদ মানে আশা। ঈদ মানে তোমার প্রতি আমার ভালোবাসা। ঈদ মানে দুর আকাশে মিষ্টি চাঁদের হাসি। ঈদ মানে সুখ সাগরে সবাই মিলে ভাসি। ঈদ মোবারক।
দূরের মানুষ আসুক কাছে, কাছের জন থাকুক পাশে, মন ছুটে যাক তোমার টানে, নয়া চাদের আগমনে, কাটুক খুশি সবার মনে ¤¤ঈদ বোবারক ¤¤ SMS
ইচ্ছে করে বলতে তোমায় সত্যি ভালোবাসি, বলতাম ঠিকই থাকলে তুমি আমার পাশাপাশি। কোন দূরেতে আছিস বন্ধু আয়না আমার কাছে, আজকের দিনে তোকে আমার পরছে খুব মনে। ঈদ মোবারক।
কষ্টের আড়ালে সুখের রাশি, প্রতিটা জীবনকেই আমি ভালোবাসি। তাই প্রতিটা জীবনের প্রতিটা সময় শুভ হোক। সবাইকে জানাই ঈদ মোবারক।
সারা দেশে চলছে ঈদের উত্সব। ঈদ মানে আনন্দ, ঈদ মানে খুশি। ঈদ মানে হাজার কষ্টের মাঝেও একটুখানি হাসি। ঈদ মোবারক।
রঙ লেগেছে মনে। মধুর এই খনে। তোমায় আমি রাঙ্গিয়ে দিবো ঈদের এই দিনে। “ঈদ মোবারাক।
ফুল সুভাষ দেয়, দৃষ্টি মণ চুরি করে, খুশি আমাদের হাসায়, দুঃখ আমাদের কাদায়, আর আমার এই এস এম এস তোমাকে ঈদের সুভেছ্ছা জানায়, “ঈদ মোবারক”
ঈদুল ফিতর ২০২২ মেসেজ
ঈদ-উল-ফিতর উচ্চারণ এবং ঈদ-উল-ফিতরের শুভেচ্ছা জানানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের মেসেজ আমাদের এই ওয়েবসাইটে সংযুক্ত আছে। ঈদের দিন সকাল বেলা আপনি আপনার প্রিয় জন এবং বন্ধু বান্ধবীকে উল ফিতরের শুভেচ্ছা মেসেজগুলো পাঠিয়ে ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানাতে পারেন। এজন্য আমাদের ওয়েবসাইটে ঈদ-উল-ফিতরের শুভেচ্ছা মেসেজ সংযুক্ত করা আছে। আপনার পছন্দ অনুযায়ী ঈদ-উল-ফিতরের শুভেচ্ছা মেসেজ গুলো নিয়ে আপনার বন্ধু বান্ধবীকে পাঠাতে পারবেন এবং ঈদের শুভেচ্ছা জানাতে পারবেন।
কোন ফুল দিয়ে নয়,
কোন মালা দিয়ে নয়।
চোখের পানি দিয়ে নয়,
কোন গানের সুর দিয়ে নয়।
শুধু হৃদয়ের গভীর অনুভূতি দিয়ে জানাই,
ঈদের শুভেচ্ছা।
সারা দেশে চলছে ঈদের উৎসব।
ঈদ মানে আনন্দ, ঈদ মানে খুশি।
ঈদ মানে হাজার কষ্টের মাঝেও একটুখানি হাসি।
সবাইকে ঈদ মোবারক।
যেদিন দেখব ঈদের চাঁদ,
খুশি মনে কাটবে রাত।
নতুন সাজে সাজব আজ,
আজ হলো ঈদের দিন
আনন্দে কাটবে সারাদিন।
ঈদ মোবারাক
দূরের মানুষ আসুক কাছে,
কাছের জন থাকুক পাশে,
মন ছুটে যাক তোমার টানে,
নয়া চাদের আগমনে,
কাটুক খুশি সবার মনে। ঈদ মোবারাক
ঈদ-উল-ফিতর ২০২২ ছবি
ঈদ-উল-ফিতরের শুভেচ্ছা জানানোর জন্য আর একটি গুরুত্বপুর্ণ উপকরন হলো ছবি। ঈদ-উল-ফিতরের শুভেচ্ছার জন্য আপনি যেমন ম্যাসেজ ব্যবহার করতে পারেন তেমনি বর্তমান অনলাইনের এই যুগের আপনি ঈদ-উল-ফিতরের শুভেচ্ছা ছবিগুলো দিয়ে ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানাতে পারবেন। আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে ঈদ-উল-ফিতরের শুভেচ্ছা জানানোর মতো অনেক ছবি সংযুক্ত করে দিয়েছি। আপনারা আমাদের ওয়েবসাইট হতে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ছবিগুলো সংগ্রহ করে আপনার প্রিয় জন বন্ধু বান্ধব কে শেয়ার করতে পারবেন।
ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ
কাজী নজরুল ইসলাম