Health
কিডনী সুস্থ রাখার উপায়- Dr. Mohammed Rafiqul Islam
শরীরের যে সকল অঙ্গের মাধ্যমে দূষিত পদার্থ বের হয় তার মধ্যে কিডনী অন্যতম।এই দূষিত বর্জ্য পদার্থগুলো প্রসাবের সাথে শরীর হতে বের হয়ে আসে।তাই কিডনী শরীরকে সুস্থ রাখে।কিডনী শরীরের পানি ও রক্তের অন্যান্য রাসায়নিক পদার্থ যেমন সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ক্লোরাইড,ফসফরাসের মধ্যে ভারসাম্য রাখে।কিডনী সুস্থ রাখতে হলে সঠিক কিছু নিয়ম মেনে চলা জরুরী।
কিডনী সুস্থ রাখার উপায়:
- ডায়েবেটিকস একটি জটিল রোগ যা শুধু কিডনীই নয় শরীরের অন্যান্য অঙ্গের উপরেও প্রভাব বিস্তার করে।অনিয়ন্ত্রিত ডায়েবেটিকস এর ফলে কিডনীর কার্যকারিতা হ্রাস পায়।কিডনীর কার্যকারিতা অনেক হ্রাস পেলে পরবর্তী পর্যায়ে ডায়ালাইসিস এমনকি কিডনী ট্রান্সপ্লান্ট প্রয়োজন হতে পারে।
- উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখুন অন্যথায় কিডনীর কার্যকারিতার উপর প্রভাব ফেলতে পারে যা পরবর্তীতে কিডনী ফেইলিওরের দিকে অগ্রসর হতে পারে।
- ডাক্তারের পরামর্শ ব্যতিত ব্যথানাশক ঔষধ খাবেন না। বিভিন্ন ধরনের ব্যথানাশক ঔষধ চিকিৎসকের পরামর্শ ব্যতীত গ্রহণ করলে কিডনী রোগের ঝুঁকি বাড়ে।
- নিয়মিত পরিমিত পরিমানে (ছয়-আট গ্লাস) পানি পান করুন। কিছুতেই শরীরে পানি শূন্যতা ঠিক নয়। আবার বেশি বেশি পানি পান করলে কিডনী ভালো থাকবে, এমন ধারনাও সঠিক নয়।শীতকালে পানির প্রয়োজন কম হলেও গ্রীষ্মে অধিক পরিমাণে পানি গ্রহণ করতে হবে।
- ডায়রিয়া হলে দ্রুত চিকিৎসা নিন।ডায়রিয়া হলে পানি শুন্যতা ও ইলেক্ট্রোলাইটের অসামঞ্জস্য দেখা দেয়।সঠিকভাবে ডায়রিয়ার চিকিৎসা না হলে হঠাৎ কিডনী বিকল হয়ে ডায়ালাইসিস পর্যন্ত প্রয়োজন হতে পারে।
- শিশুদের গলাব্যথা,চর্ম রোগ,খোস-পাঁচড়া বা স্ক্যাবিস হলে দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করুন। এসব রোগের জটিলতা হতে কিডনী রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে।
- পায়ে-মুখে পানি আসলে, প্রসাব পরিমান মত না হলে, প্রসাবের সঙ্গে রক্ত গেলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। কেননা এসব সমস্যা কিডনী রোগের লক্ষণ প্রকাশ করে।
- কোমরের দুই প্বার্শে ব্যথা অনুভব করলে বা ব্যথা পেলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
- ধূমপান পরিহার করুন। ধূমপানের কারণে দেহের অন্যান্য অঙ্গের মতো কিডনী আক্রান্ত হতে পারে।
- পরিবারের অন্য কারো কিডনী রোগের ইতিহাস থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরী এবং প্রয়োজনে চিকিৎসকের নিয়মিত পর্যবেক্ষনে থাকতে হবে।
ডা. মোহাম্মদ রফিকূল ইসলাম
কনসালটেন্ট ইউরোলজিশ্ট
এমবিবিএস, এমএস(ইউরোলজি), এফএসিএস(যুক্তরাষ্ট্র),এস আই ইউ ফেলো