মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় প্রস্তুতি, ভর্তি বিজ্ঞপ্তি, যোগ্যতা, মানবন্টন
মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় প্রস্তুতি, ভর্তি বিজ্ঞপ্তি, যোগ্যতা, মানবন্টন। বাংলাদেশে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে যতগুলো ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় তাদের মধ্যে সবচেয়ে প্রতিযোগিতামূলক হচ্ছে মেডিকেল কলেজ ভর্তি পরীক্ষা। বাবা-মার সারা জীবনের স্বপ্ন পূরণ কিংবা মানুষের সেবা করার ইচ্ছা বুকে নিয়ে প্রতিবছর লাখ লাখ পরীক্ষার্থী এ ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। কিন্তু, তাদের মধ্যে অল্প কিছু ছাত্র-ছাত্রী সরকারি মেডিকেল কলেজ গুলোতে পড়ার সুযোগ পাবে। বাকীদের ডাক্তার হবার স্বপ্নটা অনেকাংশেই অর্থনির্ভর প্রাইভেট মেডিকেল কলেজের উপর সওয়ার হবে। কিন্তু, গরিব অথচ মেধাবী মানুষগুলোর স্বপ্নটা হয়তো কেবল স্বপ্নই থেকে যাবে।
আজকে আমরা কথা বলবো সেই মানুষগুলোকে নিয়ে। এদের এক বিশাল অংশ মেডিকেলে চান্স না পাবার হতাশায় অন্য ভর্তি পরীক্ষাগুলোতে সাধ্যমত চেষ্টাটুকুনও করে না। ফলে, প্রতিবছরই মেডিকেল ভর্তিচ্ছু হতাশাবাদীদের দল কেবল ভারীই হতে থাকে।
মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা কেন এই হতাশা?
প্রথম কথা হলো, মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি প্রক্রিয়াটা বেশ ভিন্ন ধরণের। সেখানে অনেক তথ্য মনে রাখতে হয়; গাণিতিক সমস্যাবলী আসার প্রবণতা কিছুটা কম। সুতরাং, প্রায় ৪ মাস ধরে পদার্থ-রসায়ন-গণিতের সূত্রগুলোর চর্চা থেকে দূরে থাকতে থাকতে অনেক মেডিকেল পরীক্ষার্থীর মাঝেই অংক করার ভীতি ঢুকে যায়। অন্যদিকে, ইঞ্জিনিয়ারিং ও ভার্সিটি ভর্তি প্রস্তুতিতে ম্যাথ প্রবলেম আসে অনেক বেশী। তাই, মেডিকেল পরীক্ষা আশানুরূপ না হলে সবার মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়ে। সবাই ভাবতে থাকে, অন্য কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে হয়তো আর চান্স পাওয়া সম্ভব নয়। তুমিও হয়তো এই মুহূর্তে একই কথা চিন্তা করছো। তাই না? আসো, তোমাকে কিছু আশার গল্প বলি।
মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার সময় বন্টন:
মেডিকেলের ভর্তি পরীক্ষার নিয়মকানুনগুলো তো তোমাদের জানা। জীববিজ্ঞানে ৩০, রসায়নে ২৫, পদার্থবিজ্ঞানে ২০, ইংরেজির জন্য ১৫, আর সাধারণ জ্ঞানে ১০০ নম্বর থাকে। জীববিজ্ঞান, রসায়ন আর পদার্থবিজ্ঞানের ক্ষেত্রে আমি মনে করি, পাঠ্যবইটি খুব ভালো করে পড়তে হবে। তাহলে জানতে পারব, আমার দুর্বলতা কোথায়। কোন অংশটা আমি ভালো জানি। তাই উচ্চমাধ্যমিকের পাঠ্যবইগুলো পুরোটা আয়ত্তে থাকতে হবে।
পরীক্ষার আগের এক মাস খুব গুরুত্বপূর্ণ। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, এই সময়ে কোচিং সেন্টারগুলো বন্ধ থাকে। কোচিংয়ের চাপ থাকে না বলে অনেকে এই সময়ে একটু ঢিল দিয়ে ফেলে। ভাবে, প্রস্তুতি যা নেওয়ার, তা তো নিয়েছিই। এটা একটা বড় ভুল। এই সময়টাতেই আরও বেশি করে প্রস্তুতি নিতে হবে।
মেডিকেল ভর্তি বিজ্ঞপ্তি ও পরিক্ষা ২০২১-২২
মেডিকেল ভর্তি পরিক্ষার্থীগন অনলাইনে মেডিকেল ভর্তি নীতিমালা মেডিকেল ভর্তি বিজ্ঞপ্তি ২০২১-২০২২ অনুযায়ী আবেদন করতে পারবেন। বিজ্ঞপ্তি অনুসারে এবারও ভর্তির আবেদনের যোগ্যতা এসএসসি ও এইচএসসি মিলিয়ে মোট GPA-9 নির্ধারিত করা হয়েছে ।২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষে সকল সরকারী ও বেসরকারী মেডিকেল কলেজে MBBS(bachelor of medicine and bachelor of surgery) কোর্সে ভর্তির আবেদন মেডিকেল ভর্তি বিজ্ঞপ্তি ২০২১-২০২২ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এর www.dghs.gov.bd ওয়েবসাইটে প্রকাশ হবে।
মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার যোগ্যতা
মেডিকেল ভর্তি পরিক্ষা ২০২১-২০২২ যোগ্যতা-বাংলাদেশের নাগরিক শিক্ষার্থী যারা ইংরেজি 2018/2019 সালে SSC/দাখিল বা সমমানের পরীক্ষায় এবং ইংরেজি ২০১২০/২০২১ সালে HSC/আলিম বা সমমানের উভয় পরীক্ষায় পদার্থ, রসায়ন ও জীববিদ্যাসহ সকল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন তারা ভর্তির আবেদন করার যােগ্য বিবেচিত হবেন। ইংরেজি ২০১৮ সালের আগের SSC/সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ছাত্র বা ছাত্রীরা মেডিকেল ভর্তি বিজ্ঞপ্তি ২০২১-২২ আবেদনের যােগ্য বলে বিবেচিত হবেন না।
সকল দেশী ও বিদেশী শিক্ষা কার্যক্রমে এসএসসি/দাখিল/সমমান ও HSC/আলিম/সমমান দুটি পরীক্ষায় মােট জিপিএ কমপক্ষে 9.00 হতে হবে । দেশের সকল উপজাতীয় ও পার্বত্য জেলার অ-উপজাতীয় ভর্তি পরিক্ষার্থী প্রার্থীদের ক্ষেত্রে SSC/দাখিল/সমমান ও HSC/আলিম/সমমান পরীক্ষায় মােট GPA মিনিমাম 8.00 হতে হবে। তবে এককভাবে কোন পরীক্ষায় জিপিএ 3.50 -এর কম হলে আবেদনের যােগ্য বলে বিবেচিত হবেন না।
মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার মানবন্টন
- 100 নম্বরের 100 (একশত)টি MCQ প্রশ্নের 1 ঘণ্টার পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
- লিখিত(এমসিকিউ) পরীক্ষায় 100 নম্বরের মধ্যে মিনিমাম 40 নম্বর পেতে হবে পাশ করার জন্যে। লিখিত পরীক্ষায় 40 নম্বরের কম নম্বর যারা পাবে তারা অকৃতকার্য বলে গণ্য হবেন। শুধুমাত্র কৃতকার্য বা পাশ করা পরীক্ষার্থীদের মেধা তালিকায় বা মেরিট লিস্টে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। জীববিজ্ঞান-৩০, রসায়ন-২৫, পদার্থবিজ্ঞান-২০, ইংরেজি-১৫, সাধারন জ্ঞান: বাংলাদেশ, ইতিহাস ও সংস্কৃতি-৬ এবং আন্তর্জাতিক- ৪ হবে।
জীববিজ্ঞান
মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় জীববিজ্ঞান বিভাগের বেশিরভাগ প্রশ্ন প্রাণিবিজ্ঞান বই থেকে আসে। মানবদেহ অধ্যায়টি গুরুত্ব দিয়ে পড়তে হবে কারণ এখান থেকেই সবচেয়ে বেশি প্রশ্ন আসে। উদ্ভিদবিজ্ঞান অংশ থেকে জৈবনিক প্রক্রিয়া, উদ্ভিদের ভিন্নতা ইত্যাদি অংশ থেকে থেকে প্রশ্ন আসে। বিভিন্ন বিজ্ঞানী ওতাদের মতবাদ সম্পর্কে ভালো ধারনা থাকতে হবে। বিভিন্ন আবিষ্কৃত ও মতবাদের সাল অবশ্যই মনে রাখতে হবে। এগুলো থেকেও প্রশ্ন আসে।
রসায়ন
শুধুমাত্র সংখ্যাভিত্তিক সমস্যায় মাথা না ঘামিয়ে অন্য বিষয়গুলোও ঠিকভাবে দেখতে হবে। রসায়নে ভালো করতে হলে দ্বিতীয় পত্রে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। কিছু বিক্রিয়া আছে যেগুলো বিজ্ঞানের নামে নামাঙ্কিত, সেসকল বিক্রিয়া ও আবিষ্কারের সাল ভালভাবে মনে রাখতে হবে। রাসায়নিক বন্ধন, মৌলের পর্যাবৃত্তধর্ম, ডি-ব্লক মৌল, জৈব অ্যাসিড, তড়িৎ রাসায়নিক কোষ, অ্যালডিহাই, হাইড্রোকার্বন ইত্যাদি বিষয় ভালোভাবে পড়তে হবে।
পদার্থবিজ্ঞান
সকল প্রকার সূত্র, সূত্রের বিভিন্ন চলকের পারস্পরিক সম্পর্ক ও ছোট কিন্তু টেকনিক্যাল অংকগুলো দেখতে হবে। কিছু কিছু গুরুত্বপূর্ণ চার্টও অবশ্যইদেখতে হবে। ছোট ও সূত্রের সাহায্যে যে অঙ্ক করা যায়, সেসকল প্রশ্নই আসার সম্ভাবনা বেশি। পরীক্ষার হলে ক্যালকুলেটরের ব্যবহার নিষিদ্ধ তাই কিছু কিছুজিনিস অবশ্যই মুখস্ত রাখতে হবে। একক মান, পার্থক্য ও আরও যত ছক আছে এগুলো ভালোভাবে পড়তে হবে।
ইংরেজি
বিগত বছরগুলোর মেডিকেল ও ডেন্টাল প্রশ্নপত্রে যেসব বিষয়ের ওপর ইংরেজি প্রশ্নগুলো এসেছে সেগুলো পড়া যেতে পারে। ইংরেজিতে ভালো করতে হলে অবশ্যই Vocabulary তে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। গ্রামার এ Tense, Parts of speech, Right Form of Verb, Article, Narration, synonym, antonym, Voice, Preposition, Phrase and Idioms ইত্যাদি সমাধান করার পাশাপাশি ভালো কোনো গ্র্যামার বই থেকে ওই বিষয়গুলো আরও বিস্তারিত পড়তে হবে।
সাধারণ জ্ঞান
বিগত কয়েক বছরের মেডিকেলের প্রশ্ন, বিসিএসের প্রশ্ন এবং সাধারণ জ্ঞানের বইগুলোর বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক বিষয়ের বিবিধ অংশটুকু পড়া যেতে পারে। আলোচিত যেকোনো ঘটনা সেটা বাংলাদেশ সম্পর্কিত হোক অথবা আন্তর্জাতিক, সে বিষয়ে ভালো ধারণা থাকতে হবে। সাম্প্রতিক ঘটে যাওয়া আলোচিত বিষয়ে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। ক্ষুদ্রতম, বৃহত্তম, প্রথম ও একমাত্র, বিভিন্ন দেশী ও আন্তর্জাতিক সংগঠন, বিভিন্ন দেশ সম্পর্কেভালো ধারনা রাখতে হবে।
মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা আত্মবিশ্বাসী
সত্যি বলতে ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নগুলো এমন হয় যে জানা জিনিসগুলোও অনেক সময় গুলিয়ে যায়। তাই আত্মবিশ্বাস ধরে রেখে বারবার প্রশ্নটা পড়তে হবে, দেখবে উত্তরটা ঠিকই মাথায় আসবে। নিজের ওপর আস্থা রেখো কোনভাবেই পরীক্ষার হলে হতাশ হওয়া যাবে না। ঠা-া মাথায় চিন্তা ভাবনা করে প্রশ্নের উত্তর করতে হবে। প্রশ্ন যত কঠিনই হোক না কেন, কোনোমতেই ঘাবড়ানো যাবে না। সব কিছুতে নিজের ওপর আস্থা থাকা চাই। তাহলে মেডিকেল চান্স পাওয়া সহজ।
কিছু ব্যাপার যা তোমাকে মাথায় রাখতে হবে:
- ১. হাজার হাজার জনের মাঝ থেকে তোমাকে টিকে থাকতে হবে। সেই মানসিকতা তৈরি করতে হবে এখন থেকেই। কিন্তু তোমাকে ঘাবড়ে গেলে হবে না। তোমাকে নিজের জায়গা নিজের মেধা দিয়েই অর্জন করতে হবে।
- ২. সময় একদম অপচয় করা যাবে না।
- ৩. কে কত ভালোভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছে সেটা একদমই খেয়াল রাখবে না। তুমি শুধু নিজের প্রস্তুতি ভালো করে নেবে।
- ৪. কোনো কিছু না বুঝলে তা ভবিষ্যতের জন্য রেখে দিবে না। অবশ্যই সময় থাকতে তা বুঝে নেবে।
- ৫.মেডিকেল জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছো, তাই অন্য কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে কীভাবে চান্স পাব-এসব নিয়ে খুব বেশি মাথা ঘামাবে না। তোমার লক্ষ্য অটুট রাখবে সবসময়।
- ৬. পড়ার মাঝে হতাশা আসে, স্বাভাবিক। এই হতাশা কাটিয়ে উঠতে আবার পড়ালেখা ছেড়ে দিও না। একটু অবসর কাটিয়ে আবার পুরোদমে শুরু করো।
- ৭. তোমাকে চান্স পেতেই হবে-এই চিন্তা করে পরীক্ষা দিতে যাবে না। তোমাকে নিজের সেরাটা দিতে হবে, এটাই তোমার মূলমন্ত্র।
মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার আগে অনেক পরিশ্রম করতে হয় তাই নিজেকে সুস্থ রাখা জরুরী। এজন্য নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার ও ঘুমের দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।যারা পরীক্ষার হলে কিছুটা নার্ভাস হয়ে যায় তারা হালকা মেডিটেশন করলে ভাল ফল পাবে।
ভর্তি Form পূরণ ও জমা দেওয়ার কাজ খুব যত্ন সহকারে করা উচিত। প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট যত্ন সহকারে রাখতে হবে।
মেডিকেল এডমিশন টেষ্টের জন্য কি কি বই লাগবে:
ঢাকা মেডিকেল এ চান্স পাবার অভিজ্ঞতা থেকে আরও কিছু বলতে পারি। কেউ যদি আরও অ্যাডভান্স লেভেল এর প্রস্তুতি নিতে চান-এই লেখা আপনার জন্য।
জীববিজ্ঞান ১ম পত্রে আবুল হাসান স্যার এর বই এর উপর কথা নেই।। তবে ২য় পত্রে আজমল স্যার এর পাশাপাশি আলিম স্যার ও মাজেদা ম্যাডাম এর বই রাখতে হবে(তবে ভয় এর কিছু নাই, কোচিং থেকে এই ২টি বই এর যেটুকু পরতে বলবে তাই যথেষ্ট)।।
রসায়ন ১ম ও ২য় পত্রের জন্য হাজারি ও নাগ স্যার এর বই এর পাশাপাশি ১ম পত্রের গুহ স্যার এর বই আর ২য় পত্রের কবির স্যার এর বই সাথে রাখা উচিত।। মনে রাখবেন, মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় আপনি কতটা ভাল করবেন টা অনেকটাই রসায়নের উপর নির্ভর করে (অন্তত বিগত ৫ বছরের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নের ভিত্তিতে)।।
পদার্থবিজ্ঞান ১ম ও ২য় পত্রে আমির/ইসহাক স্যার (অনেকে আমির বললে বুঝতে পারে না তাই দুইটাই লিখলাম) এর বই এই অনুসরণ করে স্যাররা।। ম্যাথ এর জন্য এই বই এর উদাহরণ এর ছোট ম্যাথ গুলো করবেন যেগুলো ক্যালকুলেটর ছাড়া ও সরাসরি সুত্রে মান বসিয়ে করে ফেলা যায়।।
ইংরেজি তে ভাল করার জন্য রেটিনা ডাইজেস্ট ই বেস্ট।। আপনি যদি রেটিনার স্টুডেন্ট নাও হন কোন সমস্যা নেই।। বড় ভাই দের কাছ থেকে যোগাড় করে নিতে পারেন।। রেটিনার বই বাইরেও পাওয়া।। (মূলত এই বই wren & martin এর বই এর সারসংক্ষেপ-TOP SECRET)।। আর স্যাররা এই বিদেশি লেখক দের বই অনুসরণ করেন।।
ইংরেজি তে ভালো করতে যত না জানতে হয় তার চেয়েও বেশি অনুশীলন করতে হয়।। তার জন্য জয়কলি সহ বাজারে অনেক বই পাওয়া যায় (তবে কিছু বই এর উত্তরে সঠিক এর চেয়ে ভুল বেশি। জেনে বুঝে কিনবেন) ।। APEX বই টাও এক্ষেত্রে অনুসরণ করতে পারেন তবে এটার বিশাল আকার অনেকের সমস্যার কারণ হতে পারে।।
সাধারন জ্ঞান এর সিলেবাস এখন বাংলাদেশ ও মুক্তিযুদ্ধ।। সাম্প্রতিক থেকে কিছু প্রস্ন থাকতে পারে।। তাই এর জন্য মোটা মোটা কোন বই পড়বেন না।। ছোট চিকন বই পড়বেন।। যে কোচিং এ পড়বেন সেই কোচিং এর বইটিই যথেষ্ট (অবশ্যই আমি স্বনামধন্য তিনটি কোচিং এর কথা বলছি )।। এর বাইরে জয়কলির মেডি জ্ঞানকোষ (অনেক বেশি প্রশ্ন পাবেন), জুবায়ের’স GK (মোটা হলেও সহজ করে লেখা) বইগুলি পরতে পারেন।
মেডিকেল ভর্তির পরীক্ষায় প্রথম হতে গেলে কী করা প্রয়োজন?
মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম হওয়ার সুত্র আসলে নেই। সঠিক উপায়ে সর্বোচ্চ পরিশ্রম করে যেতে হবে। বাকিটা সৃষ্টিকর্তার হাতে। আপনার মেডিকেল ভর্তি প্রস্তুতিতে আমার ওয়েবসাইটটি কিছুটা হলেও সাহায্য করতে পারে। যেকোন পরীক্ষা আপনি দিতে পারবেন। মেডিকেলের জন্য এইচএসসির মেইন বইগুলা দাগিয়ে দাগিয়ে পড়তে হবে। নিয়মিত রুটিন করে পড়তে হবে ও যেদিনের পড়া সেদিন পড়ার চেষ্টা করতে হবে। কোচিংয়ের সাথে তাল মিলিয়ে পড়তে হবে। প্রতিদিন পড়তে বসতে হবে। কখনো ৩ ঘন্টা বা আবার ১০ ঘন্টা পড়তে হবে( এটা নির্ভর করে আপনার উপর)। চেষ্টা করতে হবে কোচিংয়ের পরীক্ষাগুলা খুব ভালভাবে দিতে। এতে একদিকে যেমন আত্মবিশ্বাস বাড়বে, পড়া ভালো হবে, তেমনি সময় ব্যবস্থাপনা খুব ভালো ভাবে বুঝতে হবে। কখনো পরীক্ষা মিস না করাই ভালো, কারণ যত বেশি পরীক্ষা দিবে পড়া ততো ভালো হবে। মাথা ঠান্ডা রেখে প্রতিদিনের পড়া প্রতিদিন পড়ার চেষ্টা করতে হবে। পরিবারের, শিক্ষকদের সাহায্যে নিতে হবে। এইচএসসি’র মেইন বই এর সাথে রেফারেন্স বই ও লেকচার পড়তে হবে। তাহলে আলহামদুলিল্লাহ মেডিকেল এডমিশন টেস্টে ভালো নাম্বার তোলা সম্ভব।
এমন কেউ কি আছেন, যিনি BUET ও মেডিকেল কলেজ উভয় ভর্তি পরীক্ষায় ১ম হয়েছিলেন?
উভয় পরীক্ষাতে প্রথম- এমন কারও কথা জানা নেই।
তবে আমাদের ব্যাচের (এইচএসসি ‘১৪) দিপু বুয়েটে থার্ড, ডিএমসি তে এইটথ আর কুয়েটে ফার্স্ট হয়েছিল।
দিপুকে ব্যক্তিগতভাবে চিনতাম। একই সাথে মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়েছি। একদমই সাদা-মাটা একটা ছেলে কোন উত্তেজনার মধ্যে নেই। শুধু পড়াশোনা আর পড়াশোনা। শ্যামলা, শুকনা মতন। দেখে কেউ বলবে না এতো মেধাবি।
এখানে একটা টুইস্ট আছে। মোটামুটি আমাদের ব্্যাচ পর্যন্ত ভার্সিটি গুলোতে টপ করা ছেলে গুলো নটরডেম কলেজের হত। দিপু ছিল মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয় এবং কলেজের স্টুডেন্ট। দিপু এসএসসিতে ইসলাম শিক্ষাতে এ+ না পাওয়াতে এসএসসি, এইচএসসির টোটাল রেজাল্ট ১০ পয়েন্ট হয়নি। তাই এনডিসিতে পরীক্ষাও দিতে পারেনি।
এটা বলার উদ্দেশ্য, আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার করুণ দশার একটা চিত্র দেখানো।