Freelancing

এবার অনলাইনে আয় করে গড়ে ফেলুন একটি সুপার স্মার্ট ক্যারিয়ার

তথ্য প্রযুক্তির এই যুগে যেহুত ইন্টারনেটের মাধ্যমে সব কিছুই খুব সহজ ও স্মার্ট হয়ে গিয়েছে । আমরা এখন আমাদের যেকোন কাজ খুব সহজে এবং খুব কম সময়ে তাও খুব স্মার্টভাবে করে ফেলতে পারি তথ্যপ্রযুক্তির উন্নয়রে ফলে তথা ইন্টারনেটের মাধ্যম।

যেহুত মোটামুটি সব কাজই ইন্টারনেটের মাধ্যমে করা যায়, তাহলে নিশ্চই আয় ও করা যাবে তাই না।

আর ইন্টানেটের সবকিছুই যেহুত স্মার্ট তাই আপনি যদি অনলাইনে(ইন্টানেটে) অায় করে অপনার ক্যারিয়ার গঠনের কথা চিন্তা করে থাকেন তাহলে নিশ্চই সেই ক্যরিয়ারটা হবে অবশ্যই যথেষ্ট স্মার্ট।

আপনারা নিশ্চই সকলেই জানেন আজকের এই তথ্য প্রযুক্তির উন্নয়নের পিছনে যুগে যুগে অনেক মানুষ তাদের হাড়ভাঙ্গা প্ররিশ্রম দিয়ে আজকের এই স্মার্ট সভ্যতা আমাদেরকে উপহার দিয়েছ ।

তাই আপনি ও যদি অনলাইনে একটি স্মার্ট ক্যরিয়ার গড়ে তুলতে চান তাহলে নিশ্চই প্ররিশ্রমের কোন বিকল্প নাই। না আপনাবে হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম করতে হবে না।

যেহুত আমাদের দেশের অনেক পেশার থেকে অনলাইন পেশা অর্থাৎ অনলাইন ক্যারিয়ার অনেক বেশি স্মার্ট তাই স্মার্ট একটা ক্যরিয়ার গড়ার জন্য তো নূন্যতম প্ররিশ্রমটুকু করতে হবেই তাই না।

অনেকেই ভাবছেন আমি তেমন কিছু বলার আগেই হাড়ভাঙ্গা প্ররিশ্রমের কথা বলে অনেকের মনের জোর কমিয়ে দিচ্ছি । না ভাই আমি আপনার মরে জোর কমিয়ে দিচ্ছি না।

তাহলে কেন বললেন ?

বললাম কারণ আমাদের দেশের অনেক মানুষ অনলাইনকে নিয়ে অনেক ভুল ধারণার শিকার। তারা নানা রকম ভুল ধরণা নিয়ে ইন্টারনেটে আসে কিছুদিন ঘাটাগাটি করে যখন কিছুই করতে পারে না। তখন তারা বলে সব ভূয়া অনলাইনে আয় বলতে কিছু নেই ।

আমি জানি আমার এই পোস্ট পড়ে অকেই সেই দিকে ঝুকে যেতে পারেন।

আমি এই ব্লগটা তৈরি করেছি সকলকে সঠিক পথে নিয়ে যাওয়ার জন্য এখন আপনারা আপনাদের দোষে যদি  কোন ভূল করেন তাহলে সেটা ধরিয়ে দেওয়াটা ও মার দায়িত্ব বলে মনে করি।

তাই আসল ব্যাপারটা সকলকে শুরুতেই বলে নিলাম।

এখন যারা যারা ভাবছেন আমাকে ধারা প্ররিশ্রম হবে না আপনি একদম পরিশ্রম করতে পারবেন না তারা আর না বাড়িয়ে নিজের কাজ করুন। কারণ পরশ্রিমহীন মানুষদের জন্য এই পোস্টা পড়া শুধুই সময় নষ্ট করা হবে।

আর আমি জানি যারা প্ররিশ্রম করতে যানেন না তারা এই পুরো পোস্টটা ও ভালোভাবে মনোয়োগ দিয়ে পড়বনে না। আর অমনোযোগী মানুষরা কখনই কোন কিছুতেই সফলতা পায় না। তাই সফল হতে হলে অপনাকে সর্বপ্রথম সঠিক জ্ঞান অর্জন করতে হবে। আর আমি অপনাকে বলতে পারি এই পোস্টটি যদি মনোযোগ দিয়ে পড়েন তাহলে অনলাইন আয় সর্ম্পকে সমস্ত ধারণা পেয়ে যাবেন।

অনলাইন আয় 

অনলাইন থেকে আয় বর্তমানে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এর সবচেয়ে বড় কারণ হচ্ছে ইন্টারনেটের প্রসার। দিন দিন ইন্টানেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বাড়তেছে । এখন এমন হয়েছে যে ইন্টানেট ছাড়া অমরা একটি দিন ও কল্পনা ও করতে পারি না।

আইটিইউএর রিপোর্ট অনুযায়ী ২০১০ এর ডিসেম্বরের শেষের দিকে ইন্টানেটের ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ২০০ কোটি পেরিয়ে যায় । যার সর্বশেষ রিপোর্ট অনুযায়ী এ সংখ্যা ২০৮.৪ কোটি। ২০০০ সালে এই সংখ্যা ছিল বিশ্বব্যাপী মাত্র ২৫ কোটি আর ২০০৫ সালে ছিল ১০৩.৬ কোটি। এই হিসাবে গত ৫ বছরে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে আরও দ্বিগুণ, আর গত এক দশকে এই সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ৮ গুণ।

তাহলে বুজতেই পারছেন পৃথিবীতে কত লোক প্রতিনয়িত ইন্টারনেটের সাথে সম্পৃক্ত হচ্ছে।

বর্তমানে পৃথিবীর প্রায় এক-তৃতীয়াংশ লোক ইন্টারনেট ব্যবহার করছে যার পরিমাণ দিন দিন বড়েই চলছে।

যতই ইন্টারনেট প্রসারিত হচ্ছে ততই ইন্টারনেটে নানা রকম কর্মসংস্থান এর সুয়োগ বৃদ্ধি পাচ্ছে।

কিভাবে ইন্টানেট থেকে আয় করা যায ব্যাপারটা দিন দিন বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠছে। বিগত কয়েক বছর ধরেই এদেশের হাজার হাজার মানুষ ইন্টারনেটে নিজের দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে আউটসোর্সিং, অনলাইন জব, ব্যবসা-বাণিজ্য ও নানা মাধ্যমে খুব ভালো পরিমাণ অর্থ  উপার্জন করে তারা নিজেকে ও দেশকে স্বনির্ভরতার দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।

এতে যেমন সাধারণ মানুষ উপকৃত হচ্ছে তেমন অনেকেরে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হচ্ছে। যেহুত অামাদের দেশে বেকার সমস্যা একটি আনেক বড় সমস্যা তাই এই অনলাইন সেক্টরকে কাজে লাগিয়ে দেশের বেকার সমস্যা আনেকটাই গুটানো সম্ভব।

যেহুত অনলাইন ব্যাপারটা সারা বিশ্বের সাথে সম্পৃক্ত তাই এ সেক্টরে দক্ষতা অর্জন করতে পারলে প্রতিবছর অনেক বৈদেশিক মূদ্রা অামরা অর্জন করতে পারবো যা আমাদের দেশের অর্থনীতির চাকা গুড়িয়ে দিতে পারে কয়েক দশকের মধ্যেই।

অনলাইনে আয়ের জন্য দক্ষতা থাকাটা সবচেয়ে জরুরি। আমাদের দেশের মানুষ এই জায়গাটাতেই সবচেয়ে বেশি ধরা খায়। কারণ তারা কাজ সর্ম্পকে সামান্য কিছু জেনেই কাজ করার জন্য প্রস্তুত হয়ে গেছে বলে ধারণা করে এবং কাজের সন্ধানে লেগে যায় । হয়ত কাজ জোগার ও করে ফেলে পরে দেখে সে সে কাজটা করতে পারছে না। তখন তাকে ক্লাইন্ট কোন টাকা তো দেবেই না বরং দিবে একটা বাজে রেটিং।

এতে ক্ষতিটা কার হলো ক্ষতিটা যেমন তার নিজের হলো তেমন হলো সারা দেশের কারণ সেই ক্লাইন্ট পরর্বতীতে আর কখনোই বাংলাদেশের কোন কর্মী দিয়ে কাজ করাবে না। এবং তার মধ্যে বাংলাদেশের কর্মীদের উপর খারাপ মনোভাব জন্মাবে।

তাই অনলাইনে স্মার্ট ক্যারিয়ার গড়তে হলে অবশ্যই নিজেকে সবার আগে দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে।

অার কখনোই টাকা ইনকামের জন্য তাড়া হুড়া করবেন না। মনে রাখবেন আপনি যদি কোন কাজের উপর দক্ষ হন তাহলে  আপনাকে টাকার পেছনে ছুটতে হবে না টাকাই আপনার পিছনে ছুটবে।

আর অনলাইন কাজের ব্যাপ্তি যেভাবে বিস্তৃত হয়ে উঠছে তাতে সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে নিজেকে তৈরী করে নিতে না পারলে ভিড়ে হারিয়ে যাওয়ার সম্ভবনাটাই বেশি। আর তাই সময়োপযোগী কাজের দক্ষতা অর্জন ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে নিজেকে তৈরী করে নেওয়াটাই বুদ্ধিমানের কাজ।

মনে রাখতে হবে ইন্টারনেটে একদিকে যেমন কাজের কোন অভাব নেই, অপরদিকে কাজ করার যোগ্য ব্যক্তিরও চাহিদার শেষ নেই। আবার এটিও সত্যি যে, সবার পক্ষে সব কাজের জন্য নিজেকে তৈরী করা সম্ভবপর নয়।

তাই সবার প্রথম পনাকে যেকোন একটি বিষয় বাছাই করতে হবে । যে বিষয়ে অাপনি দক্ষতা অর্জন করতে চান ।

মনে রাখবেন অনলাইন আয় করতে হলে অপনাকে অবশ্যই সারা বিশ্বের যেকোন দেশের জন্য কাজ করতে পারবেন তেমন ভাবে গড়ে তুলতে হবে। যার জন্য কাজের পাশাপাশি ভাষার দিকে ও নজর দিতে হবে বিশেষ করে ইংরেজি লাগবেই পাশাপাশি যত বেশি ভাষায় দক্ষতা অর্জন করতে পারবেন ততই মঙ্গল আর যত বেশি ভাষা জানবেন তত বেশি অাপনার কম্পেটিটর এর থেকে একদাপ এগিয়ে থাকবেন।

অনলাইনে ক্যরিয়ার গঠনের জন্য হাজার হাজার রাস্তা রয়েছে। আর প্রতিনিয়তই হাজার হাজার নুতুন নতুন কাজের দুয়ার খুলে যাচ্ছে তার মধ্যে যে কোন একটিই হতে পারে আপনার সুপার স্মার্ট ক্যারিয়ার গড়ের তুলার জন্য যথেষ্ট।

অনলাইনে আয় করে একটি সুপার স্মার্ট ক্যারিয়ার গড়ে তুলার জন্য  প্ররিশ্রম, ধৈয্য, সঠিক গাইডলাইন, ও অপনার প্রবল ইচ্ছাশক্তিই যথেষ্ট ।

আপনাকে অবশ্যই প্রযুক্তি সর্ম্পকে সঠিক ধারণা থাকতে হবে । যেমন ইন্টারনেট ব্যবহার , স্মার্টফোন ব্যবহার ,কম্পিউটার ব্যবহার, ই-মেইল এসব সর্ম্পকে বেসিক ধারনা থাকতে হবেই । বিশেষ করে ইন্টারন্টে ব্যবহার করা জানাটা এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে জরুরী।

এরপর আপনাকে সবসময় থাকতে হবে অাপডেট ।

দিন দিন যেহুত ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়ে চলেছে এবং ইন্টারনেট এর বিস্তার প্রসারিত হচ্ছে তাই প্রতিনয়িত নতুন নতুন প্রযুক্তি পডটে হচ্ছে।

এসব আপডেট সর্ম্পকে না জানলে অাপনি পিছিয়ে পরবেন ।

তাই সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হবে না হলে আপনি কোন ভাবেই স্মার্ট হতে পারবেন না। আর যদি তা না পারেন তাহলে এই স্মার্ট যুগে এসে আপনাকে কেউ প্রয়োজন মনে করবে না । নতুন অপডেট প্রযুক্তি সর্ম্পকে ধারণা থাকতে হবে।

আমি এখন অপনাকে পনার সুপার স্মার্ট ক্যারিয়ার গড়ে তুলার জন্য কিছু কাজের সাথে পরিচয় করিয়ে দিবো ।

আমি অপনাকে সেই কাজ গুলোর সাথেই পরিচয় করিয়ে দিবো যেগুলোতে সফল হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি । আর আপনি যদি সাইটের সাথে থাকেন এবং অমাদের গাইডলাইন অনুসরণ করেন আমরা অপনাকে নিশ্চয়তা দিচ্ছি আপনি অনলাইন থেকে আয় করতে পারবেন এবং গড়ে তুলতে পারবেন একটি সুপার স্মার্ট ক্যারিয়ার ।

যা করে অপনি নিজে যেমন স্বনির্ভর হতে পারবেন তেমন এগিয়ে নিতে পারবেন দেশকে।

Youtube থেকে আয়

বর্তমান বিশ্বে অনলাইনে সবচেয়ে জনপ্রিয়, সহজ ও  সবচেয়ে কম দক্ষতায় ভালো পরিমাণ ইনকাম করার জন্য একমাত্র অপশন হচ্ছে ইউটিউব(Youtube)

ইউটিউব(Youtube) হচ্ছে একটি ভিডিও শেয়ারিং সাইট । এখানে যে কেউ বিশ্বের যে কোন প্রান্তে বসে শুধু মাত্র ইন্টারনেট সংযোগ এর মাধ্যমেই একাউন্ট খুলে চ্যানেল তৈরি করে ভিডিও শেয়ার করতে পারে।

সেই ভিডিওতে যদি ভালো ভিউ হয় তাহলে সেই ভিডিওতে এড শো করাতে সুযোগ দিবে ইউটিউব(Youtube) সেই এড থেকে আপনি প্রতিমাসে খুব ভালো একটা এমাউন্ট আয় করতে পারবেন।

বর্তমানে বাংলাদেশেে ইউটিউব(youtube) থেকে টাকা আয়ের ব্যাপারটা বেশ  জনপ্রিয় হয়ে ওঠেছে । বাংলাদেশেরে অনেক ব্যাক্তিগত চ্যানেল রয়েছে এবং তাদের চ্যানেল বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। ইতিমধ্যে অনেকেই  অনেক ভালো পরিমাণ টাকা আয় করছেন এই ইউটিউব(youtube) থেকে।

         এখন অনেকে প্রতিমাসে ১০০০$ – ৩০০০$ (৮০০০০৳-২৪০০০০৳) পর্যন্ত অায় করছেন । তাহলে বুজতেই পারছেন আপনার ক্যারিয়ারটা কতটা স্মার্ট হতে পারে এখানে

এই পরিমাণ আয় দেখে কেই ভাইবেন না  এগুলো কয়েক দিনেই সম্ভব । তবে হ্যা অাপনি যদি সঠিকভাবে ধৈয্য নিয়ে প্ররিশ্রম করতে পারেন লেগে থাকতে পারেন তাহলে নিশ্চিত হতে পারেন খুব বেশি দেড়ি লাগবে না এই অবস্তানে পৌছাতে।

অনেকে ভাবতে পারেন ইউটিউবিং শুরু করতে হলে অনকে খরচের দরকার । কারণ ভিডিও করার জন্য ক্যামেরা, মাইক্রোফোন, লাইট,স্ট্যান্ড , স্টুডিও আরও কত কি প্রয়োজন।

হ্যা ব্যাপারটা অামি ও মানি। কিন্তু বর্তমানে প্রায় সকলের হাতেই রয়েছে এবটি স্মার্টফোন যার মধ্যেই ইউটিউবিং করার জন্য প্রায় সবকিছুই রয়েছে।

প্রথমে আপনি সেটা দিয়েই কাজ চালানোর মত করে শুরু করতে পারেন । সফল ইউটিউবারদের অনুসরণ করতে পারেন তারা এভাবেই শুরু করেছে।

তারপর  ধীরে ধীরে একটু একটু করে আপনার ভিডিও ক্যায়ালিটি বাড়ান এবং  আস্তে আস্তে সেই জিনিসগুলো কিনতে শুরু করেন  দেখবেন খুব ভালো একটা ক্যারিয়ার অাপনি গঠন করতে পারবেন এই ইউটিউব(youtube) এ।

অনেকে ভাবে ইউটিউবে(youtube) শুধু এড এর মাধ্যমেই অায় করা যায কিন্তু না এখানে আপনি যদি জনপ্রিয় হতে পারেন একবার তাহলে আপনার জন্য আয়ের হাজারও পথ খুলে যাবে।

অাপনি সারা জীবন এই খান থেকে অায় করতে পারবেন। এর জন্য অপনাকে অবশ্যই ইউটিউবের নিয়মকানুন গুলো মেনে ভিডিও বানাতে হবে  ও ছাড়তে হবে এবং ভিডিও গুলো অবশ্যই অপনার নিজের হতে হবে।

ব্লগ(Blog) সাইট থেকে আয়

আপনি যদি কোন বিষয়ে দক্ষ হয়ে থাকেন । যেমন:- রান্না করা, যেকোন খেলাধুলায় বিশেষ দক্ষতা, সাইকেল চালানো, সাধারণ জীবনে শিক্ষামূলক কিছু ইত্যাদি ।

তাহলে আপনার জন্য ব্লগসাইট থেকে আয় করা সবচেয়ে সহজ হবে। কারণ ব্লগসাইট হলো অাপনি একটি আপনার নিজের নামে  ওয়েবসাইট বানাবেন। সেখানে অন্যে শিখতে পারে এমন কিছু লিখে রাখলেন এবং সেগুলো পড়ে শোখার জন্য অনেক মানুষ অাপনার সাইটে প্রবেশ করলে অাপনি অপনার সাইটে এড শো করিয়ে মুটোমুটি  একটা ভালো আয় করতে পারেন।

এক্ষেত্রে অপনাকে যেকোন একটা বিষয় সর্ম্পকে ভালোভাবে জানতে হবে অাপনি নিজে জানলেই তো অন্যকে জানাতে পারবেন এবং শিখাতে পরেবেন।

মনে রাখবেন অাপনার ব্লগ যত বেশি মানুষ পড়বে আপনার আয় তত বেশি তাই ব্লগ সাইট খুলে প্রথমেই টাকার কথা চিন্তা না করে আগে  কিভাবে মানুষকে খুশি করতে পারবেন সেই দিকে নজর দেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ।

যখন অপনার ব্লগ থেকে কেই কিছু শিখতে পারবে তখন সে নিয়সিত আপনার ব্লগে প্রবেশ করবে । এতে আপনি প্রতিদিন একটি ইউনিক ভিজিটর পেয়ে যাচ্ছেন। অার যথারীত ব্লগ থেকে ভালো অায় করতে হলে ইউনিক ভিজিটরই প্রধান।

এভাবে যারা যারা আপনার সাইটে প্রবেশ করে শিখতে পারবে তারা সবাই নিয়মিত আপনার সাইটে প্রবেশ করবে এতে অপনার সাইটে ভিজিটর দিন দিন বাড়তে থাকবে।

তাই ব্লগ দিয়ে ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে চাইলে আগে নিজেকে তৈরি করতে হবে নিজেকে কোন একটা বিষয়ে দক্ষ করে তুলতে হবে।

অনেকে মনে করে । ব্লগ সাইট বানাতে হলে অনেক ইংরজি জানতে হবে। হ্যা এতে আমিও একমত। কিন্তু বর্তমানে বাংলা সাইটে ও গুগল এডসেন্স গ্রহণ করে।

আর এখন বাংলা সাইটেও গুগল এডসেন্স এর মাধ্যমে অনেকে মাসে ৩০০০০-৫০০০০টাকা পর্যন্ত অায় করছেন।

তাই আপনি যদি ইংরেজি ভালো নাও পারেন তাহলে চিন্তা করার কোন কারণ নাই আপনি বাংলাতে ব্লগ করে ও ভালো আয় করতে পারবেন।

যদিও ইংরেজি সাইটের থেকে বাংলা সাইটে ইনকাম অনেক কম হয় । কিন্তু একটা সাইট থেকে যে শুধূু এডসেন্স এর মাধ্যমেই আয় করা যায় এটা ভূল ধারনা অপনি যদি সে রকম ভিজিটর(যারা আপনার ব্লগে প্রবেশ করবে) আপনার ব্লগে নিয়ে অসতে পারেন তাহলে আয় করার হাজারও রাস্তা খুলে যাবে।

বর্তমানে প্রতিদিন প্রায় ১০মিলিয়ন মানুষ বাংলা ভাষায় ভিবিন্ন ব্লগ পড়ে থাকেন তাই বাংলা ভাষায় শুরু করলে খারাপ হবে না।

আর্টিকেল(Article) লিখে আয়

এ কাজটা অনেকটা ব্লগ সাইট তৈরি করে আয় করার মতই । শুধু পার্থক্যটা হলো ব্লগ সাইটে হলো আাপনার নিজের সাইটে অাপনি নিজের লেখা আর্টিকেল(article) লিখে সেটা দিয়ে সাইটে গুগল এডসেন্স শো করিয়ে আয় করবেন ।

অার এখানে আপনি অন্যের সাইটের জন্য অাপনার লেখা আর্টিকেল(article) পোস্ট করে তাদের সাইট জনপ্রিয় করতে সহযোগিতা করবেন বিনীময়ে আপনাকে তারা কিছু টাকা প্রারিশ্রমিক বলেন অার সম্মানি বলেন তা হিসেবেই দিয়ে দিবে।

আপনি যদি সৃজনশীল চিন্তার মানুষ হয়ে থাকেন  লেখালেখি করে খুব মজা পান বিশেষ করে যারা ডাইরি লিখতে পছন্দ করেন বা নানা ব্যাপারে ফেসবুকে পোস্ট করতে ভালোবাসেন তাদের জন্য এটা খুব ভালো আয়ের মাধ্যম

এতে আপনার শখের লেখালেখি তো হলোই সাথে কিছু টাকা ও উপার্জন হলো।

আর অন্য সব জায়গায় (ফেসবুক,টুইটার, ডাইরী) অাপনার কষ্ট করে লেখা পোস্ট খুব বেশি মানুষ দেখবে না অার এসব জায়গায় আপনার লেখা যতই জনপ্রিয় হউক না কেন যত মানুষই এটা পড়ে উপকার পাউক না কেন আপনাকে সেখান থেকেে এক টাকা ও দেওয়া হবে না।

কিন্তু ভিবিন্ন জনপ্রিয় ব্লগে আপনার পোস্ট পাবলিশ হলে লক্ষ্য লক্ষ্য মানুষ আপনার লেখা দেখতে থাকবে দিনে দিনে আপনার লেখার মান ভালো হতে থাকবে এতে আপনি অনলাইনে আপনার একটি অবস্থান গড়ে ফেলতে পারবেন।  ।

আপনি জেনে অবাক হবেন যে অনলাইনে  অন্যান্য কাজের চেয়ে আর্টিকেল লেখা অনেক বেশি লাভজনক এবং ঝামেলাহীন।

আপনি ইচ্ছে করলে একটু ঘাটাঘাটি করে আজই শুরু করে দিতে পারেন।

আর আপনি যদি ইন্টারনেট এ ঘাটাঘাটি করতে পছন্দ না করে থাকেন তাহলে সাথে থাকুন। অামরা এখানে আর্টিকেল লিখে আয় করার উপর পূর্ণাঙ্গ গাইডলাইন দিবো অাশা করি সে গুলো জেনে আপনি খুব সহজে অাপনার সৃজনশীল প্রতিভাকে কাজে লাগিয়ে  আর্টিকেল লিখে অায় করতে পারবেন। এবং গড়ে তুলতে পারবেন অনলাইনে সফল ক্যারিয়ার।

ফ্রিল্যান্সার(Freelancer) হিসাবে আয় 

ফ্রিল্যান্সিং করে অায় করা ও অনেক জনপ্রিয় একটি উপায়। এতে  আপনাকে যেকোন একটি কাজের উপর ভালো দক্ষতা অর্জন করতে হবে।

ধরুন আপনি একটি কাজে (যেমন গ্রাফ্রিক্স ডিজাইন) নিজেকে দক্ষ করে গড়ে তুললেন । এখন অাপনি গ্রাফ্রিক্স ডিজাইন এর  উপর সব ধরণের কাজ করতে পারবেন।

তখন অাপনি ভিবিন্ন  মার্কেটপ্লেস এ একাউন্ট তৈরি করে আপনি কি কি পারেন তার সংক্ষিপ্ত বিবরণী দিয়ে রাখলেন । এখন পৃথিবীর যেকোন দেশ থেকে কারো সেই কাজ গুলো করাতে হবে কিন্তু সে নিজে কাজ গুলো করতে পারে না।

তখন সে কি করবে ,তখন সে ভিবিন্ন মার্কেটপ্লেস ঘুরে দেখবে এবং আপনার মত কাউ কে সে খুজবে যে সেই কাজ গুলো করে দিতে পারবে। তখন তার কাজ গুলো করে দিলে তার বিনিময়ে পারিশ্রমিক হিসেবে টাকা দিয়ে দিবে ।

বর্তমানে আমাদের দেশে থেকে অনেকে হাজার হাজার ডলার ইনকাম করছে এই ভাবে ফ্রিল্যান্সিং করে।

তবে হ্যা অপনাকে অবশ্যই ভালোভাবে কাজ পেড়ে তারপর ভিবিন্ন মার্কেটপ্লেস এ যেতে হবে না হলে কিছুই করতে পারবেন না।

তাই প্রথমে  যেকোন একটা বিষয় বাছাই করে সেই কাজে দক্ষতা অর্জন করুন যতটুকু সম্ভব । আস্তে অস্তে সময় নিয়ে কাজ শিখুন দক্ষ হন তারপর কাজ করার জন্য নাামুন আপনি ও পারবেন হাজার ডলার এর বেশি আয় করতে এবং আনলাইনে একটা স্মার্ট ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে।

এসইও (SEO)

সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন এসইও(SEO) হলো যেকোন কম্পানির  জন্য ডিজিটাল মার্কেটিং এর সবচেয়ে বড় মাধ্যম । কারণটা এই পোস্টের প্রথমেই বলেছি । পৃথিবীর প্রায় এক-তৃতীয়াংশ লোক ইন্টারনেট ব্যবহার করে। তাই বর্তমানে প্রায় সব কম্পানিই তাদের মার্কেটিং এর জন্য ইন্টারনেটকে বেছে নিয়েছে। তাই বিভিন্ন কম্পানি এখন হাজার হাজার টাকা ব্যয় করে ডিজিটাল মার্কেটিং এর  জন্য।

তারা তাদের কম্পনির নামে একটা ওয়েবসাইট তৈরি করে নেয় তারপর সেখানে তাদের পণ্যের নানা বিবরনী দিয়ে দেয় । কিন্তু মানুষ তো আর তাদের কম্পানি সর্ম্পকে কিছু জানে না । আর এই জানানোর কাজটাই হলো এসইও।

সেটা কিভাবে

আমরা যারা ইন্টারনেট ব্যবহার করি তারা সবাই কমবেশি বিভিন্ন সার্ট ইঞ্জিন (যেমন- Google, Yahoo ) ব্যবহার করি । সেখানে বিভিন্ন দরকারী জিনিস লিখে সার্চ করে থাকি । তখন গুগল সেই রিলেটেড কিছু  ওয়েবসাইট আমাদের মাঝে শো করে থাকে বেশীর ভাগ মানুষ সর্বপ্রথম সার্চ রের্সাল্টটির ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে থাকে । আর সেই ওয়েবসাইটি একটি ইউনিক ভিজিটির পেয়ে গেল অর সেটা সর্ম্পূণ ফ্রিতে।

শুধূ একটা কাজ করতে হয়েছে  আর সেটা হলো এসইও(SEO) । এসইও(SEO) করেই যেকোন ওয়েবসাইটকে গুগল (শুধূ গুগল নয় যেকোন সার্চ ইন্জিনে) এ সার্চ রেজাল্ট এ সাবার উপরে নিয়ে যাওয়া সম্ভব।

অার আপনি যদি নিজেকে এই এসইও(SEO) এক্সপার্ট হিসেবে গড়ে তুলতে পারেন তাহলে আপনার ক্যারিয়ার সুপার।

এসইও(SEO) শেখার জন্য ইন্টরনেট হতে পারে আপনার সবচেয়ে ভালো মাধ্যম । কারণ এসইও(SEO) শেখার জন্য যা যা দরকার তা সবই ইন্টানেট এ খুব ভালোভাবে দেওয়া আছে আপনাকে শুধু একটু কষ্ট করে খুজে নিতে হবে।

আর যদি খুজতে না পারেন তাহলে আমাদের এই সাইটের এর সাথে থাকুন কারণ এখানে আমরা খুব ভালোভাবে পর্ব অাকারে বেসিক থেকে এডভান্স এসইও শিখাবো। আশা করি সকলে সাথে থাকবেন।

সর্বশেষে

তাহলে আপনি আজই আপনার পছন্দের বিষযটি বাছাই করে কাজে লেগে যেতে পারেন। অার নিয়মিত হাবিবব্লগে প্রবেশ করবেন এবং হাবিবব্লগের সমস্ত পোষ্ট পড়ার চেষ্টা করবেন।

অার হ্যা অনলাইনে আপনার সুপার ক্যারিয়ার গড়ে তুলার জন্য আপনি কোন কাজটি বাছাই করলেন তা অবশ্যই কমেন্ট এ জানাবেন।

সকলকে অনেক ধন্যবাদ মনোযোগ দিয়ে সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার জন্য ।

Law Giant

A lawyer is a 'legal practitioner' who is an advocate, barrister, attorney, solicitor or legal adviser. Lawyers work primarily to solve the legal problems of individuals or organizations through the practical application of theoretical aspects of the law.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button