Information

গাড়িতে আগুন লাগার কারণ ও প্রতিরোধ!

গাড়িতে আগুন লাগার কারণ ও প্রতিরোধ! গত কয়েকদিনে বাংলাদেশে বেশ কয়েকটি গাড়িতে আগুন লাগার ঘটনা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। গত শুক্রবারই তো মহাখালী ফ্লাইওভারের উপর আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেলো একটি ২০০৫ মডেলের প্রিমিও। মারাত্মক জীবনঝুঁকির পাশাপাশি গাড়িতে আগুন লাগার ঘটনাগুলোয় নিমিষেই ছাই হয়ে যায় লক্ষ লক্ষ টাকার সম্পদ।
এখন আলোচনা করা যাক গাড়িতে কি কি কারণে আগুন লাগতে পারে আর তা প্রতিরোধ করারই বা উপায় কী কী হতে পারে।

(১) ফিউল সিস্টেম লিক বা এ সংক্রান্ত সমস্যা-

আমরা জানি একটা গাড়িতে আগুন লাগলে কিভাবে নিমিষেই গাড়িটা পুড়ে ছারখার হয়ে যায়। এটার কারণ গাড়ির ফিউল (হোক গ্যাসোলিন বা ডিজেল বা সিএনজি/এলপিজি) দাহ্য পদার্থ হওয়ায় খুব সহজেই আগুন ছড়িয়ে দেয়। এটা কিন্তু গাড়িতে আগুন লাগার কারণ ও হতে পারে। এক্ষেত্রে গাড়ির ফিউল সিস্টেম এ যদি ছোট কোনো লিক ও থাকে, এটা কোনো স্পার্ক বা গরম সার্ফেস এর সংস্পর্শে আসলে তা থেকে ইগ্নিশন হয়ে আগুন ধরে যেতে পারে। ফিউল সিস্টেম এর এই লিক যদি এক্সস্ট সিস্টেম বা ইঞ্জিন এর কাছাকাছি হয় তাহলে এটা আরো বেশী মারাত্মক।

প্রতিরোধে করণীয়-

প্রত্যেক বছরে অন্তত একবার ওয়ার্কশপ এ নিয়ে গাড়ির পুরো ফিউল সিস্টেম চেক করানো প্রয়োজন। এছাড়া গাড়ির ভিতরে তেলের গন্ধ পেলে এটা নিশ্চিত হওয়া প্রয়োজন এই গন্ধ কি রিচ মিক্সচার এর কারণে এক্সস্ট থেকে হচ্ছে নাকি ইঞ্জিন বে থেকে আসছে। যদি রিচ মিক্সচার এর কারণে হয় তাহলে নিকটবর্তী কোনো জায়গা/ ওয়ার্কশপ পর্যন্ত গাড়ি চালিয়ে নেয়াটা নিরাপদ। কিন্তু ইঞ্জিন বে থেকে এরকম গন্ধ আসলে বা ইঞ্জিন এর নিচে তেল পড়তে দেখলে সাথে সাথে গাড়ি পার্ক করে ইঞ্জিন বন্ধ করা প্রয়োজন।

(২) কুলিং সিস্টেম রিলেটেড ইঞ্জিন ওভারহিটিং

আমরা জানি, ইঞ্জিনে প্রতিনিয়ত তেল পুড়ে শক্তিতে পরিণত হওয়ার কারণে যে তাপ উৎপন্ন হয় তা ইঞ্জিনের জন্য সহনীয় পর্যায়ে রাখে কুলিং সিস্টেম।
গাড়ির কুলিং সিস্টেমে যদি কোনো সমস্যা থাকে বা যদি কুল্যান্ট ইঞ্জিনের তাপকে ঠিকমতো গ্রহণ করতে না পারে বা যদি এই গরম কুল্যান্ট ওয়াটার জ্যাকেট এ গিয়ে ঠান্ডা না হতে পারে তাহলে গাড়ির ইঞ্জিন ওভারহিট হতে পারে যা থেকে আগুন পর্যন্ত লেগে যেতে পারে। পাশাপাশি রেডিয়েটর প্রেশার ক্যাপ এ সমস্যা থাকলে গরম কুল্যান্ট এক্সপেনসন ট্যাংক এ যেতে পারে না ফলে বাষ্পাকারে বাইরে আসতে পারে। এছাড়া আমাদের দেশে অনেকেই কম জানা মেকানিকদের কথা শুনে গাড়িতে কুল্যান্ট এর জায়গায় পানি ব্যবহার করে এবং থার্মোস্টেট ভাল্ব খুলে ফেলার মতো বোকামি করে যা থেকেও ইঞ্জিন ওভারহিট হতে পারে।

প্রতিরোধে করণীয়-

গাড়িতে কুল্যান্ট হিসেবে পানি ব্যবহার না করে কুল্যান্টই ব্যবহার করা।প্রতিদিন কুল্যান্ট লেভেল চেক করা। ২৫-৩০ হাজার কিলোমিটার বা ২-৩ বছর পর পর কুল্যান্ট ড্রেইন করে ফ্ল্যাশ করে নতুন কুল্যান্ট ভর্তি করা। কুল্যান্ট লেভেল মাত্রাতিরিক্ত ভাবে কমে যেতে থাকলে কিংবা রেডিয়েটর ফ্যান না ঘুরলে ওয়ার্কশপে নিয়ে চেক করানো। গাড়ির টেম্পারেচার মিটারের কাঁটা উপরে উঠতে থাকলে যত দ্রুত সম্ভব ছায়াযুক্ত স্থানে গাড়ি পার্ক করার ব্যবস্থা করা, ওভারহিটেড থাকা অবস্থায় রেডিয়েটর প্রেশার ক্যাপ না খোলা।

(৩) ক্যাটালিটিক কনভার্টার থেকে আগুনঃ

ক্যাটালিটিক কনভার্টার এক্সস্ট গ্যাস এর ক্ষতিকর পার্টিকেল গুলোকে বেশ কয়েকটি ধাপে বিক্রিয়ার মাধ্যমে কম ক্ষতিকর পার্টিকেল এ পরিণত করে এক্সস্ট পাইপ দিয়ে বের করে দেয়। এই বিক্রিয়াগুলো করার সময় ক্যাটালিটিক কনভার্টারে ১২০০ থেকে ১৬০০ ডিগ্রি ফারেনহাইট তাপ উৎপন্ন হয়। স্পার্ক প্লাগ, অক্সিজেন সেন্সর, ইগ্নিশন কয়েল,MAP,MAF সেন্সর ইত্যাদিতে ত্রুটিজনিত কারণে ইঞ্জিনে যদি অতিরিক্ত রিচ মিক্সচার হয় (এককথায় যেটাকে ইঞ্জিন নকিং বলে) তাহলে এক্সস্ট গ্যাসে Unburnt Fuel (যেই তেলটা না পুড়েই এক্সস্ট এ চলে যায়) এর পরিমাণ বেড়ে যায়। এর ফলে ক্যাটালিটিক কনভার্টারের উপর প্রেশার পড়ে এবং এটার টেম্পারেচার ২০০০ ডিগ্রি ফারেনহাইটের উপরে চলে যেতে পারে। এর ফলে গাড়ির ফ্লোর ম্যাট এর নিচে গরম অনুভূত হতে পারে এবং তা থেকে গাড়িতে আগুন পর্যন্ত লাগতে পারে।

প্রতিরোধে করণীয়-

ইঞ্জিন নকিং টানা হতে থাকলে বেশীক্ষণ গাড়ি চালানো অনুচিত। প্রত্যেক বছরে ১ বার (হেভি ডিউটি হলে ২ বার) স্পার্ক প্লাগ, কয়েল, থ্রটল বডি ক্লিন করা উচিত। গাড়ির ফ্লোর ম্যাট গরম অনুভূত হলে তৎক্ষণাৎ গাড়ি বন্ধ করা দরকার।

(৪) আফটারমার্কেট হেডলাইট ও ফগলাইট থেকে আগুন-

সম্প্রতি আগুন লাগা গাড়িগুলোর বেশকিছুতেই আগুন লাগার কারণ ছিল আফটারমার্কেট হ্যালোজেন/HID হেডলাইট ও ফগলাইট। ঠিকমতো এইসকল লাইট ফিট না করতে পারার কারণে ওয়্যারিং থেকে বা এগুলো বার্স্ট হয়ে গাড়িতে পর্যন্ত আগুন ধরে যেতে পারে।

প্রতিরোধে করণীয়-

আফটারমার্কেট বাল্ব হিসেবে Halogen ইউজ না করে HID বা LED ইউজ করাটাই ভালো। আর বাল্ব ফিটিং যাতে প্রপারলি হয় এটাও নিশ্চিত করা প্রয়োজন।

(৫) অতিরিক্ত ডেকোরেশন পার্টস এর কারণে আগুন-

গাড়িতে বিভিন্ন আফটারমার্কেট ডেকোরেশন পার্টস,সাউন্ড সিস্টেম,মিডিয়া প্লেয়ার এগুলো লাগানোর সময় অনেক ক্ষেত্রেই ইলেক্ট্রিক ওয়্যারিং ঠিকমতো না নেওয়ার কারণে কিংবা এগুলোর কোয়ালিটি খারাপ হলে এ থেকেও গাড়িতে আগুন লাগতে পারে।

প্রতিরোধে করণীয়-

গাড়িতে অতিরিক্ত ডেকোরেশন পার্টস লাগানো থেকে বিরত থাকুন। লাগালেও ভালো কোয়ালিটি এবং যারা লাগাবেন তাদের দক্ষ হওয়া খুবই প্রয়োজনীয়।

(৬) সিএনজি-এলপিজি কনভার্টেড গাড়িতে আগুন-

অনেককেই বলতে শোনা যায়, গাড়িকে সিএনজি বা এলপিজিতে রূপান্তর করা মানেই বিস্ফোরণের ঝু্ঁকি বেড়ে যাওয়া। কথাটা মোটেই সঠিক নয়। ঝু্ঁকি তখনই যখন নিম্নমানের সিলিন্ডার ও কিট ব্যবহার করে কনভার্শন করছেন। স্বাভাবিকভাবে এলপিজি ইঞ্জিনে অক্টেনের চেয়েও কম তাপ উৎপন্ন করে, সিএনজির ক্ষেত্রে এটা কিছুটা বেশী হলেও ঝুঁকিপূর্ণ কিছু নয়। কিন্তু সিএনজি গ্যাসে সিলিন্ডারে ২০০ বারের (বিএআর) অধিক চাপ বা প্রেসার থাকতে হয়। যেখানে এলপিজিতে ৭.৫ বার চাপ বা প্রেসার থাকে। কিন্তু অধিক প্রেশার মানেই দূর্ঘটনা নয় কারণ স্বাভাবিক অবস্থায় এগুলো ইগ্নাইট করার মতো টেম্পারেচার (সিএনজি-৫৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস) থাকে না যদি না তারা লিকজনিত কারণে কোনো স্পার্ক বা হট সারফেসের সংস্পর্শে যায় (১নং দ্রষ্টব্য)।

প্রতিরোধে করণীয়-

অবশ্যই কনভার্সনের সময় ভালো ব্র্যান্ডের সিলিন্ডার এবং কিট ব্যবহার করতে হবে। কিছু টাকা বাঁচানোর জন্য নাম না জানা ছোটখাটো ওয়ার্কশপ থেকে কনভার্সন না করিয়ে ভালো এবং সুপরিচিত জায়গা থেকে করা দরকার। সিএনজি সিলিন্ডার টেস্ট সার্টিফিকেট দেখে সিলিন্ডার লাগানো উচিত।সিএনজি রিফিলের সময় নির্দিষ্ট প্রেশারের চেয়ে বেশী প্রেশারে গ্যাস রিফিল হতে বিরত থাকতে হবে। গাড়িতে ধুমপান থেকে এবং রিফুয়েলিং এর সময় মোবাইল চার্জ দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। প্রত্যেক বছর কনভার্শন সেন্টারে গিয়ে পুরো সেটআপ চেক করাটাও গুরুত্বপূর্ণ।

(৭) ইলেক্ট্রিকাল সিস্টেম শর্ট সার্কিট থেকে আগুন-

সংক্ষেপে বলতে গেলে, শর্ট সার্কিট হচ্ছে একটি বৈদ্যুতিক সার্কিটে তার ওয়্যারিং জনিত সমস্যা। যার কারণে বিদ্যুৎ সঠিক গন্তব্যে না পৌঁছে সার্কিটগুলোর মধ্যে চলে যায়। অনেকে ওপেন সার্কিটের সাথে একে গুলিয়ে ফেলেন। কিন্তু দুটি একেবারে ভিন্ন বিষয়। ওপেন সার্কিটের ফলে বৈদ্যুতিক সিস্টেমে কোন ধরণের বিদ্যুৎ প্রবাহ হয় না। কিন্তু সার্কিট শর্ট হয়ে গেলে বিদ্যুৎ প্রবাহ হয় কিন্তু ভুল দিকে।
সাধারণত দুই রকম শর্ট সার্কিট হয়ে থাকে। শর্ট-টু-পাওয়ার এবং শর্ট-টু-গ্রাউন্ড শর্ট সার্কিট। এসব শর্ট সার্কিটের কারণে সেন্সর এবং একুয়েটরে বিদ্যুতের সঠিক প্রবাহ বাধাপ্রাপ্ত হয়।

শর্ট-টু-গ্রাউন্ড শর্ট সার্কিট

যখন সার্কিট থেকে বিদ্যুৎ গাড়ির বডিতে চলে যায় তখন তাকে শর্ট-টু-গ্রাউন্ড শর্ট সার্কিট বলা হয়। অনেক সময় তার ছিড়ে বা কেটে গিয়ে গাড়ির বডিতে লেগে থাকতে পারে। এর ফলে শর্ট-টু-গ্রাউন্ড শর্ট সার্কিট সৃষ্টি হতে পারে। এর ফলে ফিউজ জ্বলে যেতে পারে, গাড়ির মোটর বা লাইটের সেন্সর কাজ না করতে পারে। উদাহরণ স্বরূপ শর্ট-টু-গ্রাউন্ড শর্ট সার্কিটের ফলে গাড়ির হেডলাইটের ফিউজ জ্বলে যেতে পারে। এতে করে সার্কিটের ওভারহিটিং কমে যাবে কিন্তু হেডলাইট জ্বলবে না। তখন আবার হেটলাইটের ফিউজ ঠিক করাতে হবে।

শর্ট-টু-পাওয়ার শর্ট সার্কিট

গাড়ির ভেতর বৈদ্যুতিক সার্কিটের অনেক কাছাকাছি অনেক তার এবং বৈদ্যুতিক পার্টস থাকে। এসব তার থেকে বিদ্যুৎ সার্কিটে প্রবাহিত হয়ে শর্ট টু পাওয়ার শর্ট সার্কিট হতে পারে। এমনকি একটি তার থেকে আরেক তারে অপ্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ সরবরাহ হয়ে শর্ট সার্কিট হতে পারে। যেমন, গাড়িতে কোন পার্টস নতুন করে লাগানোর সময় তার কেটে একটার সাথে আরেকটা লেগে থাকিতে পারে।
একটি গাড়িতে হাজারও রকমের বৈদ্যুতিক তার এবং দীর্ঘ তার ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তাই এগুলোর সার্কিট শর্ট হবার সম্ভাবনা থাকে।। শর্ট সার্কিটের কারণে গাড়ির পার্টস, এবং বৈদ্যুতিক যন্ত্রাংশের ক্ষতি হতে পারে। ব্যাটারি ড্রেইন হয়ে যেতে পারে অথবা চলতে চলতে থেমে যেতে পারে গাড়ি।

প্রতিরোধে করণীয়-

গাড়িতে শর্ট সার্কিট বা ইলেক্ট্রিক সিস্টেম রিলেটেড অন্য কোনো সমস্যা থাকলে কিছু লক্ষণ দেখা দিবে যেগুলোকে গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা উচিত।
যেমন: গাড়ি স্টার্টে দেরী হওয়া,ঘন ঘন ব্যাটারি প্রবলেম, হেডলাইট ও অন্যান্য লাইটে আলো কমে যাওয়া, ফিউজ জ্বলে যাওয়া, ইঞ্জিন বে থেকে প্লাস্টিক পোড়া গন্ধ পাওয়া ইত্যাদি দেখা দিলে দ্রুত গাড়ির পুরো ওয়্যারিং সিস্টেম চেক করানো এবং শর্ট সার্কিট হয়েছে কিনা তা পরখ করা দরকার।

(৮) ১২ ভোল্ট ব্যাটারি থেকে আগুন-

গাড়ির ১২ ভোল্টের ব্যাটারি বার্স্ট হয়েও গাড়িতে আগুন লাগতে পারে। ১২ ভোল্ট লেড এসিড ব্যাটারির কোনো অংশ গাড়ির ইলেক্ট্রিকাল সিস্টেমে শর্ট সার্কিট বা Sealed সেলগুলোতে সেফটি ভেন্টস না থাকার কারণে বা ব্যাটারি পুরাতন হয়ে যাওয়ার দরুণ পানি কমে গিয়ে প্লেইটগুলো সংকুচিত হয়ে যাওয়ার কারণে ওভারহিট হলে তা দ্রুতই পুরো ব্যাটারিতে ছড়িয়ে পড়ে এবং ব্যাটারি বিস্ফোরণ পর্যন্ত হতে পারে।

প্রতিরোধে করণীয়-

গাড়িতে ভালো মানের ব্যাটারি ব্যবহার করা দরকার।ব্যাটারি অতিরিক্ত পুরানো হয়ে গেলে তা ব্যবহার করতে থাকা অনুচিত। ব্যাটারি বার বার (২-৩ বার এর বেশী) জাম্প স্টার্ট বা চার্জ করে এনে চালানো থেকে বিরত থাকা উচিত।

(৯) হাইব্রিড গাড়িতে আগুন-

অনেকেই মনে করেন, হাইব্রিড ব্যাটারির কারণে হাইব্রিড গাড়িতে আগুন লাগার ঝুঁকি বেশী। কিন্তু কথাটা শতভাগ সত্য নয়। হাইব্রিড ব্যাটারিতে যদি না কোন ম্যানুফাকচ্যারিং ফল্ট না আসে তাহলে হাইব্রিড ব্যাটারি শতভাগ নিরাপদ। কিন্তু এটা ঠিক অন্য কোনো উৎস থেকে আগুন লাগলে হাইব্রিড গাড়িতে সেটা আরো মারাত্মক আকার ধারণ করে হাইব্রিড ব্যাটারি এবং তৎসংলগ্ন হাই ভোল্টেজ লাইনের কারণে।

প্রতিরোধে করণীয়-

প্রতিবছর ১ বা ২ বার হাইব্রিড ব্যাটারির কুলিং ফ্যান পরিষ্কার করা উচিত।হাইব্রিড ব্যাটারি অতিরিক্ত দ্রুত বা ধীরে চার্জ হলে বা ডিসচার্জ হলে ওয়ার্কশপে নিয়ে পরীক্ষা করা প্রয়োজন। হাইব্রিড গাড়ির ইঞ্জিন বে পানি দিয়ে পরিষ্কার করা থেকে বিরত থাকা উচিত। ব্যাটারির অংশেও যাতে কোনোভাবে পানি না যায় কিংবা ব্যাটারির এয়ার ভেন্টস গুলো ক্লিন আছে কিনা এটা নিশ্চিত করা দরকার।

আগুন লাগলে কি করা উচিত?

আমার দৃষ্টিতে গাড়িতে ছোটখাটো একটা ফায়ার এক্সটিংগুইশার রাখা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। দারাজে দেড় থেকে দুই হাজার টাকার মধ্যে পেয়ে যাবেন। আগুন লাগার প্রাথমিক অবস্থায় ওটা ব্যবহার করে বড় দূর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেতে পারবেন
Written By- Mahdee Arif

Law Giant

A lawyer is a 'legal practitioner' who is an advocate, barrister, attorney, solicitor or legal adviser. Lawyers work primarily to solve the legal problems of individuals or organizations through the practical application of theoretical aspects of the law.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button