Information

Devil’s Breath (স্কোপোলামিন) বর্তমান সময়ের সবথেকে ভয়ংকর ড্রাগ!

আচ্ছা ধরেন আপনার কাছে একজন অপরিচিত মানুষ এসে একটা কাগজ দিয়ে বললো, এই জায়গাটা কোথায় একটু বলে দেন। আপনি কাগজটা খুব মনোযোগ দিয়ে পড়লেন। এরপর হলো কি, ওই অপরিচিত মানুষটা আপনার কাছে খুব স্বাভাবিকভাবে আপনার টাকা,মোবাইল,জুয়েলারি চাইলো আর আপনিও খুব স্বাভাবিক ভাবেই তার কথা মতো সবকিছু দিয়ে দিলেন..যেন সে আপনার খুব পরিচিত!

ভাবছেন এও সম্ভব নাকি!?সত্যি বলতে খুব সম্ভব!এমনটাই হচ্ছে এখন আমাদের দেশে!এর পেছনের রহস্য কি?ব্ল্যাক ম্যাজিক?নাকি হিপনোটিজম?নাকি অন্যকিছু? এটাই আলোচনা করবো আজকে। দীর্ঘ লেখার জন্য শুরুতেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।
সম্প্রতি এক গ্রুপে একজন ব্যাখ্যা চেয়ে একটি ঘটনা শেয়ার করেন। যেটার সারমর্ম হলো বহদ্দারহাট নামক এক জায়গায় মা মেয়ে যে রিকশায় উঠেন সেই রিকশাওয়ালা তাদেরকে একটি ঔষধের নাম লেখা কাগজ পড়তে দেয়, তার কিছুক্ষণ পরেই রিকশাওলার কথামত তারা সবকিছু করতে থাকে।মা মেয়ে মিলে তাদের সব গয়না রিকশাওয়ালার হাতে দিয়ে দেয় খুব স্বাভাবিক ভঙ্গিতেই!
যেন ওগুলো দিয়ে দেওয়াই উচিৎ! পরে যখন হঁশ ফিরে পেলেন তখন সব শেষ!তার চেয়েও ভয়ংকর ব্যাপার হচ্ছে সেই পোস্টের কমেন্টে অনেকেই সেইম অদ্ভুতুরে ঘটনার কথা শেয়ার করেন যেটার ভিক্টিম তাদের পরিবারের সদস্য অথবা আত্নীয়!তাহলে বুঝাই যাচ্ছে এই ভয়ংকর জিনিসটা ইতোমধ্যেই দেশের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে পড়েছে! বিষয়টা নিয়ে ঘাটাঘাটি করতে গিয়ে যা কিছু জানতে পারলাম সেটাই আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
রিকশাওয়ালা সেই কাগজে যেটা ব্যবহার করেছিলো সেটা এক ধরণের ড্রাগ।যাকে বলা হয় World’s Scariest Drug! যার সিক্রেট নাম হলো Devil’s Breath।যেটি কলম্বিয়ায় সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায়।একে হায়োসিনও বলা হয়। জেনেরিক নেইম Scopolamine। ১গ্রাম Scopolamine দেখতে ১গ্রাম কোকেনের মতোই। পার্থক্য হলো এই ১গ্রাম Scopolamine ১৫জন মানুষকে হত্যা করার জন্য যথেষ্ঠ! প্রতিবছর সারাবিশ্বে ৫০ হাজারের মতো মানুষ Scopolamine ড্রাগের ভিক্টিম হয়ে থাকে। অন্যান্য সব ড্রাগের মত এটিরও চিকিৎসা ক্ষেত্রে স্বল্প পরিমাণ প্রয়োগ আছে। এটার ১ মিলিগ্রাম ডোজ মূলত সী সিকনেসের(sea sickness) জন্যে ব্যবহৃত হয়।এটা দেয়া হয় কানে, তারপর সেখান থেকে স্কিনে চলে যায়।
এটি তৈরি হয় কলম্বিয়ার Borrachero নামক ফুলের বীজ থেকে।এই পাউডার ভিক্টিমের উপর কাগজ/ভিজিটিং কার্ড এর মাধ্যমে অথবা খাবারের মাধ্যমে, অথবা মুখের উপর ফু দিয়ে(যা বেশি করা হয়) অথবা হ্যান্ডশেকের সময় হাতে একটা পিন ফুটিয়ে প্রয়োগ করা হয়..এটি মূলত এর বেআইনী ব্যবহারের জন্যেই কুখ্যাত।কলম্বিয়ার একজন প্রফেশনাল Scopolamine এ্যাটাকার এর মতে এটা ৩ ধরণের কাজে তারা ব্যবহার করেঃ ১.ছিনতাই ২.রেইপ ৩.হত্যা
যেকোনো ধরণের ছোট কাগজের মধ্যে ড্রাগ মিশিয়ে কারো হাতে দিলে সেটি নিমিষেই স্কিন এর ভেতর দিয়ে প্রবাহিত হয় এবং ভিকটিমের নিজ ইচ্ছায় কিছু করার ক্ষমতা নষ্ট করে দেয়। এটি ব্রেইনের Amygdala নামক অংশকে আক্রান্ত করে।যার ফলে তার চিন্তা করার ক্ষমতা চলে যায় এবং বাহির থেকে আক্রমণ আসলে তার প্রতি যে স্বভাবগত প্রতিক্রিয়া দেখানোর কথা সেটা আর পারে না..একইসাথে ইনিশিয়াল স্টেইজ অব মেমোরি ব্লক হয়ে যাওয়ার ফলে সে এ্যাটাকারকেও ভালভাবে চিনতে পারে না..সেই ভিক্টিমের আচরণ হয়ে যায় সাবমিসিভ বা বশীভূত!তখন তাকে যে কমান্ড দেয়া হয় সে তাই মানে!!তখন তার কাছে টাকা,গয়না, ক্রেডিট কার্ডের পাসওয়ার্ড যাই চাওয়া হোক না কেন সে তাই দিয়ে দিবে!মানে অনেকটা বোধশক্তিহীন জোম্বির মত আচরণ করবে সে!
নাসা তাদের এ্যাস্ট্রোনাটদের উপর ০.৩৩ মিলিগ্রাম ইউজ করে তাদের মোশন সিকনেস কাটানোর জন্য…আর কোন সাধারণ মানুষের উপর যদি এর ৫-৭ মিলিগ্রাম ইউজ করা হয় তবে সে হয়ে যাবে কাইন্ড অফ হেল্পলেস জোম্বি!!..তাকে দিয়ে যা ইচ্ছা করানো যাবে!!আর যদি ১০ মিলিগ্রাম বা তার বেশি হয় তাহলে রেসপাইরেটরি ফেইলিউর হয়ে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে!
বাংলাদেশেও এই ড্রাগ চলে এসেছে যেটা বিভিন্ন ঘটনা থেকে স্পষ্টভাবে প্রমাণিত।অনেক সময় এটি ড্রিংক্স কিংবা খাবারের মধ্যেও মিশিয়ে দেওয়া হয়।তাই বাসার বাইরে খাওয়ার সময় কখনোই খাবার অরক্ষিত রেখে উঠে যাবেন না।অপরিচিত কারও কাছ থেকে কিছু খাওয়ার তো প্রশ্নই আসেনা!বলা তো যায়না, কে না কে আপনাকে টার্গেট করে রেখেছে খাদ্যে ড্রাগ মিশিয়ে দেয়ার জন্যে!শুনা যায় এদেশের গোয়েন্দা সংস্থা অনেক আগে থেকেই এই ড্রাগ ইউজ করে থাকে তথ্য আদায়ের জন্য।সে যাইহোক!এ ধরণের সেন্সিটিভ ড্রাগ কিভাবে অপরাধীদের হাতে পৌঁছে গেল সেটাই আসলে চিন্তার বিষয়!
আর বিশেষ করে আমরা যারা মেডিকেল সেক্টরে আছি তাদেরকে আরও বেশি সচেতন থাকা উচিৎ বলে মনে করি।কারণ চলতে ফিরতে অনেক রুগীর স্বজন এসে আমাদেরকে প্রেসক্রিপশন দিয়ে ওষুধ কিংবা পরীক্ষার নামগুলো জানতে চান।আমি নিজেও এটা ফেস করেছি।এজন্য রাস্তাঘাটে একা চলাফেরার সময় কারও হাত থেকে প্রেসক্রিপশন না নিয়ে তার হাতে থাকা অবস্থাতেই পড়ে নেওয়া উচিৎ বলে মনে করি।স্কোপোলামিন ভিক্টিমের সংখ্যা দিনিদিন বেড়েই চলছে।তাই সময় থাকতেই সবাই সাবধান হই।বলা তো যায়না…নেক্সট ভিক্টিম হয়তো আপনিই!
লিখা: আতিক ফয়সাল

স্কোপোলামিন- বর্তমান সময়ের সবথেকে ভয়ংকর ড্রাগ

’মানুষকে সম্মোহন করে সবকিছু নিয়ে যাচ্ছে কেউ’ অথবা আপনি কারো কথামত সবকিছু তার হাতে তুলে দিচ্ছেন কোনরকম প্রতিবাদ না করেই। অনেকটা যাদু-টোনা করার মত অবস্থা। এগুলো শুরুতে বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা মনে হলেও ইদানিং যেভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে তাতে আতঙ্কিত হতেই পারেন আপনি। তবে এই ঘটনাগুলোর পেছনে যাদু-টোনা বা তন্ত্রমন্ত্র কিছুই নেই, এখানে ব্যবহার করা হয়েছে ডেভিলস ব্রিদ (Devil’s Breath) বা শয়তানের শ্বাস’ নামে পরিচিত একটি ভয়ঙ্কর ড্রাগ স্কোপোলামিন (Scopolamine)।

বাংলাদেশে সম্প্রতি সাধারণ মানুষকে লুটে নিতে ব্যবহার করা হচ্ছে স্কোপোলামিন (Scopolamine) নামের এই ভয়ঙ্কর ড্রাগটি। এটির বৈজ্ঞানিক নাম হায়োসিসিন ছড়াও আরো কয়েকটি নাম রয়েছে যার মধ্যে বুরুন্ডাঙ্গা, কলম্বিয়ান ডেভিলস ব্রিদ, রোবট ড্রাগ, বা জম্বি ড্রাগ উল্লেখযোগ্য।

স্কোপোলামিন আমাদের দেশের জন্য একেবারেই নতুন, ড্রাগটি দেশে ব্যপকহারে ব্যবহার না হলেও যেটুকু ব্যবহার এখন পর্যন্ত হয়েছে তাতে সর্বশান্ত হয়েছে বেশ কিছু মানুষ। ভয়ংকর মাদক ডেভিলস ব্রিদ বা স্কোপোলামিন নিয়ে যে তথ্যগুলো আমি পেয়েছি তা আপনাদের সাথে আজকের লেখায় বিস্তারিত জানাবো।

স্কোপোলামিন বা ডেভিলস ব্রিদ (Devil’s Breath) কি?

ডেভিলস ব্রিদের ক্ষতিকর যে সাবস্টেন্স সেটার নাম বুরানডাঙ্গা, তবে স্কোপোলামাইন বা হায়োসিসিন নামে এই সাবস্টেন্সের উপস্থিতি চিকিৎসা বিভাগে আগে থেকেই পরিচিত।

স্কোপোলামিন ভয়ংকর একটি ড্রাগ যা মাদক হিসাবে ব্যবহার হয়। উৎপত্তি ল্যাটিন আমেরিকার কলম্বিয়ায় তবে ইকুয়েডর ও ভেনিজুয়েলাতেও এই মাদকটির যথেষ্ট বিস্তার রয়েছে। আপনারা যারা ধুতরা ফুল দেখেছেন তারা এই ফুলটিকেও প্রথম দেখাতে ধুতরা ফুলের সাথে হয়তো মিলিয়ে ফেলতে পারেন।

– Advertisement –

করন আমাদের দেশের যে ধুতরা ফুল পাওয়া যায় এটিও অনেকটা একই রকম দেখতে এবং একই প্রজাতিভুক্ত। ভয়ঙ্কর এবং সুন্দর স্কোপোলামিন মুলত নাইটশেড পরিবারভুক্ত ফুলের গাছ। একটি বিশেষ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এই গাছের বীজ থেকে তৈরি করা হয় ভয়ংকর ড্রাগটি।

ড্রাগটি দেখতে হুবহু কোকেন পাউডারের মতই সাদা তবে এর ক্ষতির মাত্রা কোকেন থেকে বহুগুনে বেশি। মুলত এই ভয়ংকর ব্যাপারটা যুক্ত হয়েছে এর তীব্রতার কারণে। মাত্র ১ গ্রাম স্কোপোলামিন দিয়ে প্রায় এক ডজনেরও বেশি মানুষকে হত্যা করা সম্ভব!

বাংলাদেশে স্কোপোলামিন (Scopolamine)

ধরুন কেউ একজন আপনার কাছে এসে একটি কাগজ বা মোবাইলের মেসেজ দেখিয়ে বলবে ”আন্টি/ভাই/আপু এই ঠিকানাটা কোথায়?” কিংবা কোন এক অসহায় ব্যক্তি একটি প্রেসক্রিপশন দেখিয়ে বলবে ‘বাবা, এই প্রেসক্রিপশনের ওষুধের নামটা কী? কোথায় পাওয়া যাবে?’ স্বভাবতই আপনি মানবিক বোধ থেকে তাদের সাহায্য করতে যাবেন, আর এখানেই আপনি ফেঁসে গেলেন বা ফাঁদে পা দিলেন।

ইচ্ছা করেই কাগজে লেখাগুলো ছোট করে রাখা হয় যাতে ‘সম্ভাব্য টার্গেট’ মোবাইল বা কাগজটা ভাল করে পড়ার জন্য নাক ও মুখের কাছাকাছি নিয়ে আসতে বাধ্য হয়। তাদের দেওয়া কাগজ, ফোন বা অন্যকিছু আপনি নাক, চোখমুখের কাছাকাছি ধরার সাথে সথে সেখানে লেগে থাকা স্কোপোলামিন আপনার নিঃস্বাসের সাথে গ্রহণ করে ফেললেন। এর পরে আপনার আর কিছুই করার থাকবেনা। আক্রমনটা ব্যাংকের এটিএম বুথের কি-প্যডে লেগে থাকা পাউডার থেকেও হতে পারে।

আপনার মাথা ঝিমঝিম লাগবে এবং আপনি বুঝবেন না আপনি কী করছেন! আপনার নিজের প্রতি কোন নিয়ন্ত্রণ আপনার থাকবেনা। আপনাকে বলা মাত্র আপনি নিজ থেকেই সব করবেন। আপনার কাছে থাকা টাকাপয়সা, গহনা, মোবাইল সহ সব দিয়ে দিবেন আপনার সামনে থাকা ‘ডেভিলস ব্রিদ’ আক্রমণ চক্রের সদস্যের হাতে।

এই ছিনতাইয়ের সাথে নিযুক্ত থাকা ডেভিলস ব্রিদ আক্রমণ চক্রের সদস্যরা সাধারণত জুয়েলারি দোকান ও ব্যাংকের আশেপাশে ঘোরাফেরা করে এবং অবস্থাসম্পন্ন নারী পথচারী টার্গেট করে। এই ঘটনা অনেকেই ফেইস করেছেন কিংবা ফেসবুক বা বন্ধু বান্ধবের কাছ থেকে শুনেছেন। অনেকের নিকট আত্বীয়ও এইভাবে সব খুইয়েছেন।

সবার কাছে এটা একটা গোলক ধাঁধাঁ যে এটা আসলে কী? কয়েক মুহুর্তের মধ্যে ‘চিন্তাশক্তি অকার্যকর হয়ে অনেকটা হিপনোটাইজড মত হয়ে যাওয়া এবং ভিকটিমের নিজ থেকেই সব দিয়ে দেওয়া’ কীভাবে সম্ভব?

স্কোপোলামিন (Scopolamine) এর ব্যবহার

১৯৯০ সালের দিকে এনেস্থেশিয়ার জন্য প্রথম স্কোপোলামিন ব্যবহার শুর হয়। এনস্থেশিয়ার জন্য প্রথমে এককভাবে স্কোপোলামিন ব্যবহারের প্রস্তাব করা হলেও পরে স্কোপোলামিন এবং মরফিনের সংমিশ্রণে রোগীর শরীরে ব্যবহার করা হয়। মুলত প্রসবেকালীন অ্যামনেসিয়া এবং সিনারজিস্টিক ব্যথা কমানোর জন্য এই ড্রাগটি বছরের পর বছর ব্যবহার করা হতো।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ইনটারোগেশন সেলে শত্রুপক্ষের আটককৃত সৈন্যদের কাছ থেকে তথ্য আদায় করার জন্য স্কোপোলামিন ব্যবহার করা হতো। ড্রাগটি ব্যবহারের ফলে ভিকটিমের চিন্তাশক্তির নিয়ন্ত্রণ আর নিজের কাছে থাকে না। ফলে ব্রেন তখন কোন মিথ্যা বলতে পারে না। তবে কতটুকু সত্যি বলে তা নিয়ে কিছুটা দ্বিধাবিভক্তিও রয়েছে কারন এর একুরেসি রেট ৪৪ শতাংশ মাত্র।

ন্যাশনাল অ্যারোনটিক্স অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (NASA) তাদের নভোচারীদের মোশন সিকনেস কাটানোর জন্য ০.৩৩ মিলিগ্রাম স্কোপোলামিন ব্যবহার করে। এই ড্রাগটি যদি কোন সাধারণ মানুষের শরীরে ৫ থেকে ৭ মিলিগ্রাম ব্যবহার করা হয় সে তার চিন্তাশক্তির নিয়ন্ত্রণ সম্পূর্ণরুপে হারিয়ে ফেলে জম্বি বা রোবটের মত আচরণ করবে। আর ১০ মিলিগ্রাম স্কোপোলামিন বা তার বেশি পরিমানে কারো শরীরে প্রয়োগ করা হলে সে কোমায় চলে যাবে যেখান থেকে মৃত্যুও ঘটা স্বাভাববিক বিষয়।

ডেভিলস ব্রিদ বা স্কোপোলামিন কিভাবে কাজ করে

স্কোপোলামিন বা ডেভিলস ব্রিদ শরীরে প্রবেশ করার সাথে সাথে মানুষের মস্তিস্কের প্রাথমিক স্মৃতি বা যাকে বলে ’ইনিশিয়াল স্টেইজ অব মেমোরি’ বলি সেটিকে ব্লক করে দেয়। ফলে আক্রান্ত ব্যক্তি আক্রমণকারীকে সমনে দেখতে পেলেও চিনতে পারেন না এবং কিছু মনে রাখতে পারে না।

একই সাথে এই ড্রাগটি মস্তিক্ষের চিন্তা করার ক্ষমতাকেও ব্লক করে দেয়। ফলে শরীরে কোন প্রতিরোধ ক্ষমতা থাকে না বা বাইরের কোন আক্রমনে শরীর কোন প্রতিক্রিয়া দেখানোর মত অবস্থা থাকেনা। এ অবস্থায় ভিক্টিমের আচরন হয়ে যায় বশীভূত বা সুতায় বাঁধা পুতুলের মত!

স্কোপোলামিন কতক্ষন কার্যকারী থাকতে পারে

চামড়ার মাধ্যমে স্কোপোলামিন দেহে প্রবেশ করালে মাদকটির প্রতিক্রিয়া শরীরে শুরু হতে সাধারণত ২০ মিনিট সময় লাগে এবং তা ৮ ঘন্টা পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। এই সময়ের মধ্যে যিনি স্কোপোলামিন গ্রহণ করলেন তিনি থাকেন গোধুলী ঘুম বা টুইলাইট স্লিপে। আর এই সময়ের মধ্যে তাকে দিয়ে সব কিছুই করানো সম্ভব। ঠিক যেন হিপনোটাইজের ফলে, শরীর ও মনের উপরে সম্পূর্ণ দখল অন্য কারো হাতে চলে যাওয়া।

এটা মন ও শরীরকে এতোটাই আচ্ছন্ন করে ফেলে যে, এতে ব্যক্তি নিজের চিন্তা শক্তি হারিয়ে অন্যের কথা মতো কাজ করতে থাকে এমনকি নিজেকে নিজে খুন করার মতো ভয়াবহ ঘটনাও ঘটতে পারে অনায়েসেই। কিন্তু যখন এই মাদকের কার্যকরীতা শেষ হয়ে যায় তখন ভিকটিম তার সাথে ঘটে যাওয়া কিছুই মনে করতে পারে না। তাই প্রতিকার পাওয়ারও কোন পথ থাকেনা।

সতর্কতা

এই সময়ে সবথেকে বেশি জরুরী নিজের সাবধানতা, তাই রাস্তাঘাটে অপরিচিত সকলের থেকে সবসময় সতর্ক থাকুন। বিশেষ করে জুয়েলারি ও ব্যাংক থেকে বের হবার সময় নারী ও পুরুষর সকলেই এই ঘটনাগুলো মনে রাখুন এবং সাবধান থাকুন। সাবধান থাকুন রিক্সার যাত্রী ও পথচারী হবার সময়েও।

বৈশ্বিক এয়ার ইনডেক্সের টপলিস্টে থাকা বসবাসের অযোগ্য দূষিত ও ধুলাময় শহরগুলোয় ডাস্ট অ্যালার্জি, মলম পার্টি, ক্লোরোফর্ম, কোডিভ ১৯ ও ডেভিলস ব্রিদ পার্টিসহ আরো যত বায়ু বাহিত অজানা সব বিপদ রয়েছে তা থেকে রক্ষা পেতে মাস্ক ব্যবহার করুন।

মাক্স পড়ার এর সুবিধা হলো দুষ্কৃতিকারীরা আপনাকে সহজে টার্গেট করবে না এবং টার্গেট করলেও মাস্ক আপনাকে প্রটেকশন দিবে এবং সচেতন হলে ততক্ষণে আপনি বুঝে যাবেন যে ‘আপনার সাথে কী হতে যাচ্ছে’!

সূত্র: মুক্তপ্রাণ (Shawon Ahmed)

From Wikipedia Hyoscine hydrobromide:

Hyoscine hydrobromide is the international nonproprietary name, and scopolamine hydrobromide is the United States Adopted Name. Other names include levo-duboisine, devil’s breath, and burundanga.[39][40]

Australian bush medicine

bush medicine developed by Aboriginal peoples of the eastern states of Australia from the soft corkwood tree (Duboisia myoporoides) was used by the Allies in World War II to stop soldiers from getting seasick when they sailed across the English Channel on their way to France during the Invasion of Normandy. Later, the same substance was found to be usable in the production of scopolamine and hyoscyamine, which are used in eye surgery, and a multimillion dollar industry was built in Queensland based on this substance.[41]

Recreational and religious use

While it has been occasionally used recreationally for its hallucinogenic properties, the experiences are often unpleasant, mentally and physically. It is also physically dangerous and officially classified as a deliriant drug, so repeated recreational use is rare.[42] In June 2008, more than 20 people were hospitalized with psychosis in Norway after ingesting counterfeit rohypnol tablets containing scopolamine.[43] In January 2018, 9 individuals were hospitalized in Perth, Western Australia, after reportedly ingesting scopolamine.[44] However, the alkaloid scopolamine, when taken recreationally for its psychoactive effect is usually taken in the form of preparations from plants of the genera Datura or Brugmansia, often by adolescents or young adults in order to achieve hallucinations and an altered state of consciousness induced by muscarinic antagonism.[45][46] In circumstances such as these, the intoxication is usually built on a synergistic but even more toxic mixture of the additional alkaloids in the plants which includes atropine and hyoscyamine.

Historically, the various plants that produce scopolamine have been used psychoactively for spiritual and magical purposes.[47][48][49] When entheogenic preparations of these plants were used, scopolamine was considered to be the main psychoactive compound and was largely responsible for the hallucinogenic effects, particularly when the preparation was made into a topical ointment (most notably flying ointment).[50] Scopolamine is reported to be the only active alkaloid within these plants that can effectively be absorbed through the skin to cause effects.[51] Different recipes for these ointments were explored in European witchcraft at least as far back as the Early Modern period and included multiple ingredients to help with the transdermal absorption of scopolamine (such as animal fat), as well as other possible ingredients to counteract its noxious and dysphoric effects.[50]

In Christianity, although not explicitly designated for ritualistic or spiritual use; in the Bible there are multiple mentions of Mandrake which is a psychoactive and hallucinogenic plant root that contains scopolamine. It was associated with fertility power and (sexual) desire where it was yearned for by Rachel, who apparently was “barren” (infertile) but trying to conceive.[52][53]

Interrogation

The effects of scopolamine were studied for use as a truth serum in interrogations in the early 20th century,[54] but because of the side effects, investigations were dropped.[55] In 2009, the Czechoslovak state security secret police were proven to have used scopolamine at least three times to obtain confessions from alleged antistate dissidents.[56]

Crime

A travel advisory published by the Overseas Security Advisory Council (OSAC) in 2012 stated:

One common and particularly dangerous method that criminals use in order to rob a victim is through the use of drugs. The most common [in Colombia] has been scopolamine. Unofficial estimates put the number of annual scopolamine incidents in Colombia at approximately 50,000. Scopolamine can render a victim unconscious for 24 hours or more. In large doses, it can cause respiratory failure and death. It is most often administered in liquid or powder form in foods and beverages. The majority of these incidents occur in night clubs and bars, and usually men, perceived to be wealthy, are targeted by young, attractive women. It is recommended that, to avoid becoming a victim of scopolamine, a person should never accept food or beverages offered by strangers or new acquaintances, nor leave food or beverages unattended in their presence. Victims of scopolamine or other drugs should seek immediate medical attention.[57]

Between 1998 and 2004, 13% of emergency-room admissions for “poisoning with criminal intentions” in a clinic of Bogotá, Colombia, have been attributed to scopolamine, and 44% to benzodiazepines.[39] Most commonly, the person has been poisoned by a robber who gave the victim a scopolamine-laced beverage, in the hope that the victim would become unconscious or unable to effectively resist the robbery.[39]

Beside robberies, it is also allegedly involved in express kidnappings and sexual assault.[58] The Hospital Clínic in Barcelona introduced a protocol in 2008 to help medical workers identify cases, while Madrid hospitals adopted a similar working document in February 2015.[58] Hospital Clínic has found little scientific evidence to support this use and relies on the victims’ stories to reach any conclusion.[58] Although poisoning by scopolamine appears quite often in the media as an aid for raping, kidnapping, killing, or robbery, the effects of this drug and the way it is applied by criminals (transdermal injection, on playing cards and papers, etc.) are often exaggerated,[59][60][61] especially skin exposure, as the dose that can be absorbed by the skin is too low to have any effect.[58] Scopolamine transdermal patches must be used for hours to days.[29] Certain other aspects of the usage of scopolamine in crimes have equally been described as “exaggerated” or even implausible.[62] Powdered scopolamine, in a form referred to as “devil’s breath”, does not brainwash or control people into being defrauded by their attackers; these alleged effects are most likely urban legends.[63] Nevertheless, the drug is known to produce loss of memory following exposure and sleepiness, similar to the effect of benzodiazepines or alcohol poisoning.[64][65]

Law Giant

A lawyer is a 'legal practitioner' who is an advocate, barrister, attorney, solicitor or legal adviser. Lawyers work primarily to solve the legal problems of individuals or organizations through the practical application of theoretical aspects of the law.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button