Information

বাটন/ নোকিয়া মোবাইলের পিছনে যে স্টিকার লাগানো হতো, তা কল প্রিভিশন স্টিকার বা কল প্রিভিশন ডিভাইস

২০০৫/২০০৬ সালের দিকে বাটন মোবাইলের পিছনে যে স্টিকারের মত জিনিস লাগানো হতো, তা একটি ছোট্ট ইলেকট্রনিক যন্ত্র ছিলো।
এটিতে একটি ক্যাপাসিটিভ প্রোব ছিলো, যা মোবাইলের ব্যাটারি থেকে উৎপন্ন ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক তরঙ্গকে শনাক্ত করতে পারে। যখন কোন কল আসে, তখন মোবাইল ফোনটি একটি ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক তরঙ্গ তৈরি করে। এই তরঙ্গটি স্টিকারের ক্যাপাসিটিভ প্রোব দ্বারা শনাক্ত করা হয় এবং স্টিকারটি জ্বলে উঠে।
বাটন/ নোকিয়া মোবাইলের পিছনে যে স্টিকার লাগানো হতো, তা কল প্রিভিশন স্টিকার বা কল প্রিভিশন ডিভাইস
এই স্টিকারগুলিকে “কল প্রিভিশন স্টিকার” বা “কল প্রিভিশন ডিভাইস” বলা হয়। এগুলি সাধারণত একটি ছোট LED দিয়ে তৈরি হয় যা লাল বা সবুজ রঙে জ্বলতে পারে। কিছু স্টিকারে একটি ভিডিও ডিসপ্লেও থাকে যাতে কলকারীর নাম বা নম্বর দেখা যায়।
এই স্টিকারগুলির কাজ করার জন্য কোনও অতিরিক্ত সংযোগের প্রয়োজন হয় না। এগুলি শুধুমাত্র মোবাইলের ব্যাটারি থেকে উৎপন্ন ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক তরঙ্গকে শনাক্ত করতে পারে।
কল আসার আগে আগে জ্বলা শুরু করার কারণ হলো, মোবাইল ফোনটি কল আসার আগেই একটি ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক তরঙ্গ তৈরি করে। এই তরঙ্গটি স্টিকারের ক্যাপাসিটিভ প্রোব দ্বারা শনাক্ত করা হয় এবং স্টিকারটি জ্বলে উঠে। কল আসার সাথে সাথে এই তরঙ্গের শক্তি বৃদ্ধি পায়, ফলে স্টিকারটি আরও উজ্জ্বলভাবে জ্বলতে থাকে।
এই স্টিকারগুলি এখন আর খুব বেশি জনপ্রিয় নয়। কারণ, বর্তমানের স্মার্টফোনগুলিতে কল প্রিভিশন ফিচারটি অন্তর্নির্মিত থাকে।
২০০৫/২০০৬ সালের দিকের বাটন মোবাইলের পিছনে লাগানো স্টিকারের মত জিনিসটি আসলে একটি ফ্রিকোয়েন্সি ডিটেক্টর। এটি মোবাইল ফোনের RF (Radio Frequency) সিগন্যাল সনাক্ত করতে সক্ষম।
যখন কোন ফোন থেকে কল আসে, তখন ফোনটি একটি RF সিগন্যাল প্রেরণ করে। এই সিগন্যালটি ফ্রিকোয়েন্সি ডিটেক্টর দ্বারা সনাক্ত করা হয় এবং ফ্রিকোয়েন্সি ডিটেক্টর এর সাথে সংযুক্ত একটি LED বা অন্য কোন লাইট সক্রিয় হয়ে ওঠে।
ফ্রিকোয়েন্সি ডিটেক্টরটি ফোনের সাথে কোনও ইলেকট্রনিক সংযোগের মাধ্যমে সংযুক্ত থাকে না।
এটি ফোনের এন্টেনার কাছাকাছি আঠা দিয়ে লাগানো থাকে। ফোনের অ্যান্টেনা ফ্রিকোয়েন্সি ডিটেক্টরের জন্য RF সিগন্যাল সংগ্রহ করে।
ফ্রিকোয়েন্সি ডিটেক্টরটি সাধারণত একটি পিকোওয়াট লেভেল এর RF সিগন্যাল সনাক্ত করতে সক্ষম। কল আসার ৩/৪ সেকেন্ড আগে থেকে ফোনটি থেকে RF সিগন্যাল প্রেরণ শুরু হয়।
এই সময়ের মধ্যে ফ্রিকোয়েন্সি ডিটেক্টরটি সিগন্যালটি সনাক্ত করতে পারে এবং LED বা অন্য কোন লাইট সক্রিয় করতে পারে।

কিভাবে কাজ করে:

ফ্রিকোয়েন্সি ডিটেক্টরটি সাধারণত একটি ক্রিস্টাল osicllator দ্বারা চালিত হয়। এই oscillator একটি নির্দিষ্ট ফ্রিকোয়েন্সিতে তরঙ্গ উৎপন্ন করে।
ফ্রিকোয়েন্সি ডিটেক্টরটি এই তরঙ্গের সাথে আগত RF সিগন্যালের ফ্রিকোয়েন্সি তুলনা করে। যদি আগত RF সিগন্যালের ফ্রিকোয়েন্সি নির্দিষ্ট ফ্রিকোয়েন্সির কাছাকাছি হয়, তাহলে ফ্রিকোয়েন্সি ডিটেক্টর একটি ট্রিগার সিগন্যাল তৈরি করে। এই ট্রিগার সিগন্যাল LED বা অন্য কোন লাইট সক্রিয় করে।

ফ্রিকোয়েন্সি ডিটেক্টর এর ব্যবহার:

ফ্রিকোয়েন্সি ডিটেক্টর বিভিন্ন ধরনের কাজে ব্যবহার করা হয়। এটি মোবাইল ফোনের কল আসার আগে সতর্ক করতে ব্যবহার করা হয়। এটি RFID (Radio Frequency Identification) সিস্টেমেও ব্যবহার করা হয়। RFID সিস্টেমে, ফ্রিকোয়েন্সি ডিটেক্টর একটি RFID ট্যাগের উপস্থিতি সনাক্ত করতে ব্যবহার করা হয়।

২০০৫/২০০৬ সালের দিকের বাটন মোবাইলে ফ্রিকোয়েন্সি ডিটেক্টর ব্যবহার করার কারণ:

২০০৫/২০০৬ সালের দিকের বাটন মোবাইল ফোনগুলিতে কল আসার জন্য কোনও LED বা অন্য কোন লাইট ছিল না। তাই ফ্রিকোয়েন্সি ডিটেক্টর ব্যবহার করে কল আসার আগে সতর্ক করার ব্যবস্থা করা হয়েছিল।

Law Giant

A lawyer is a 'legal practitioner' who is an advocate, barrister, attorney, solicitor or legal adviser. Lawyers work primarily to solve the legal problems of individuals or organizations through the practical application of theoretical aspects of the law.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button