Information
বাসে যৌন হয়রানীর শিকার হলে ইমারজেন্সি কি করা উচিত?
বাসে যৌন হয়রানীর শিকার হলে ইমারজেন্সি কি করা উচিত? আসলে ওই অবস্থাই একটা মেয়ের কি করা উচিত তার অনেক উপায় হয়তো আমরা বের করতে পারবো। কিন্তু সত্যটা হচ্ছে বাঙ্গালী মেয়েরা তার কোনটাই করতে পারবেনা শুধু মাত্র নিজের সন্মানের দিকে তাকিয়েই চুপ থাকবে।
বাসে যৌন হয়রানীর শিকার হলে ইমারজেন্সি কি করা উচিত?
এই সমস্যা আমাদের সমাজে দিন দিনে ব্যাপক আকার ধারণ করছে। কারন আমাদের সমাজে কিছু পুরুষের মানসিক অসুস্থতা ও নৈতিক অবক্ষয় । এই সময় বাসের অন্যান্য যাত্রীদের সহযোগিতা পেতেও পারেন নাও পেতে পারেন, তবে পাবেন না এমন নিশ্চয়তা নাই। সব থেকে জরুরী এই মুহুর্তে নিজের সাহস রাখা। জাতীয় জরুরি সেবা পুলিশের হেল্প লাইন ৯৯৯ সব থেকে বেশী কার্যকর। সেখানে কল দিয়ে আপনার বাস নম্বর এবং লোকেশেন জানালেই আপনি সেবা পাবেন। আর এটা শুধু মৌখিক অভিযোগ এ হবে না, লিখিতভাবে অভিযোগ দিবেন পরবর্তীতে যাতে অপরাধের বিচার হয়।
পরামর্শ:
যখনই মনে হবে আপনি কোন ধরনের যৌন হয়রানি কিংবা ইভটিজিং এর কবলে পড়তে যাচ্ছেন তখন যতোটা সম্ভব নিজেকে সেফ করে চলা। পাশাপাশি চলার পথে কিংবা পাসের সীটের (বাসে চলার ক্ষেত্রে) কাউকে শেয়ার করা যে আপনাকে কেউ অনেক্ষণ থেকে ফলো করে আসছে কিংবা আপনাকে ডিস্টার্ব করছে। তাহলে আশাকরি আপনি তাৎক্ষণিকভাবে একটা সমাধান পাবেন।
যদি সাথে কাউকে না পান তাহলে নিজের হাতের ফোনসেটটি অন করে ভিডিও করে রাখুন (যদি সম্ভব হয়)। কেননা আপনি কারো বিরুদ্ধ নির্দিষ্ট প্রমাণ ছাড়া আওয়াজ তুলতে পারবেন না।
৯৯৯ এর ক্ষেত্রে বলতে গেলে হয়তো আপনি সেবা নাও পেতে পারেন (বড়কোন ইস্যু ছাড়া)। কারন আপনি হয়তো তখন লোকেশন + বাসের নাম্বার জানাবেন না। লোকেশন জানলেও, ৯৯৯ এ কল করে সেবা পেলেও আপনাকে যথার্থ প্রমাণ দেখাতে হবে। সেক্ষেত্রে উপরের দুটি জিনিসই আশাকরি কাজে আসবে।
বাহিরে চলার ক্ষেত্রে নিজের সাথে self protective knife (সঠিক নাম জানা নেই), কাটা চামুচ, স্প্রে রাখতে পারেন। পরিস্থিতি যদি খারাপের দিকে যায় ভাবেন তাহলে চাকু কিংবা স্প্রে ইউজ করবেন। সাধারণত পাবলিক বাসে হেনস্তার স্বীকার হলে কাটা চমুচই যথেষ্ট। কারণ ইতিমধ্যে যতোগুলো ঘটনা ঘটেছে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সীটের নিচ দিয়ে কিংবা পাসের সীট থেকে নারীদের হেনস্তার সীকার হতে দেখা গেছে। সেক্ষেত্রে কাটা চামুচ যথার্থ। কিছু বলতে গেলেই বলবেন ‘হাত এখানে আসলো কেন, আমিতো তোমার সীটে গিয়ে আর আঘাত করিনি’।
হয়রানির স্বীকার হলে মানুষ ডাকাডাকি করুন। পুলিশ বক্সে নিয়ে যান। আপনি প্রতিবাদ করলে আশেপাশের মানুষ অবশ্যই সাহায্য করবে।
কিন্ত ঐ ব্যাপারটার কি করবেন আপুরা? প্রায় সময়ই দেখি দাড়ানো অবস্থায় অনেক মেয়েরাই ব্যালেন্স হারিয়ে এসে অন্যদের ধাক্কা দেয় আর উল্টে দোষ হয় ছেলেদের। আর সিনক্রিয়েট শুরু হলে মানুষ কোন কিছু না ভেবেই ছেলেদের তুলোধুনো করতে থাকে। আবার অনেক সময় ছেলেদের কাছে থেকেও অসাবধানতা বশত কিংবা ব্যালান্স হারিয়ে যদি কিঞ্চিৎ ধাক্কা লাগে তখন অনেকে এমন ভাবে রিএ্যাক্ট দেয় যেন এটা খেলার মাঠ,পুরো মাঠ রেখে তার গায়ে ধাক্কা লেগেছে ইচ্ছে করে।মাফ,চাইলে কিংবা কিছু বোঝাতে চাইলেও তারা বোঝে না। কোন অপরাধ না করেও বাস কন্টাকটার থেকে সব যাত্রীর মধ্যে অপমান হতে হয়।
তাই বলবো হ্যারেজের স্বীকার হলে অবশ্যই প্রতিবাদ করুন,মানুষ আপনাকে সাহায্য করবে। কিন্তু একটু চোখ কান খোলা রাখবেন। নিজেকে রানী এলীজাবেথ ভেবে পাশ দিয়ে কেউ গেলেই হ্যারেজের নাম দিবেন না।
বাইরে চলার সময় নিজেকেই বুঝে চলতে হবে। বাসে উঠার প্রয়োজন হলে একটু অপেক্ষা করুন একদম খালি বাস বা গাদাগাদি বাসে না উঠা উচিত। আশেপাশে কেউ গা গেসে দারানোর আগেই সংকেত দিয়ে দিন এটা আপনি পছন্দ করেন না। মানুষকে সহজ ভাষায় বলা শিখুন কোনটা উচিত কোনটা অনুচিত আশা করি এতে অনেক বিপদ থেকে সেফ থাকবেন।
একটা কথা মনে রাখবেন ২ হাত যদি আপনাকে হয়রানি করার জন্য থাকে আরো ১০ হাত আছে আপনাকে রক্ষা করার জন্য।তাই যখনি হয়রানির শিকার হবেন সাথে সাথে প্রতিবাদ করবেন।ভয় পাওয়ার কোন দরকার নেই।
নারীদের জন্য আলাদা ট্রান্সপোর্ট সিস্টেম থাকলে ভালো হতো। নারীরাও নিরাপদ থাকতো, পুরুষরাও মিথ্যা হয়রানি থেকে বেঁচে থাকতো। কারণ কখন যে মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসিয়ে দেয় বলা যায় না।