Freelancing

ফাইবারে যে কাজ গুলোর চাহিদা বেশি- ফাইবার মার্কেটপ্লেস বিস্তারিত

ফাইবারে যে কাজ গুলোর চাহিদা বেশি- ফাইবার মার্কেটপ্লেস বিস্তারিত

ফাইবারে যে কাজ গুলোর চাহিদা বেশি

Online Marketing, Video, and Animation Creating, Professional Article Writing, Image Sketch, Digital Marketing, Logo Design, Web Development, Programming, Graphics Design ইত্যাদি ।

ফাইবারে ফ্রিল্যান্সারদের Profile তৈরি

ফাইবারে Profile তৈরি করতে হলে সেখানে প্রথমে আপনাকে একটি অ্যাকাউন্ট করতে হবে । একাউন্ট খোলার জন্য একটি Email এ্যাড্রেস লাগবে । একাউন্ট নিশ্চিত করার জন্য Email verification করতে হয় । অ্যাকাউন্ট করার সময় Sign up ফর্মে সঠিক তথ্য দিয়ে পূরণ করতে হয় । একাউন্ট নিশ্চিত হয়ে গেলে Profileটি সুন্দরভাবে তৈরি করতে হয় । আপনি যে বিষয়ে দক্ষ, সেই বিষয়ের ওপর ১৫০-৩০০ শব্দের মধ্যে একটি বিবরণ লিখতে হয় ।
এরপর আপনি ক্লায়েন্ট/বায়ারের সাথে যে ভাষায় কথা বলবেন অথবা যোগাযোগ করবেন সেই Language সিলেক্ট করে দিতে পারবেন । ইউজার Profile কমপ্লিট হয়ে গেলে সার্ভিস গিগ তৈরী করতে হয় । গিগ তৈরীর জন্য অন্যের গিগ গুলো দেখে আইডিয়া নেওয়া যেতে পারে কিন্তু কপি করা চলবে না । এতে আপনি Copyright claim-এর আওতায় পড়তে পারেন । অন্যের গিগ গুলোর বর্ণনা দেখলে আপনি অনেক কিছুর সম্পর্কে ধারনা পাবেন ।

নতুনদের ফাইবারে আকর্ষণীয় গিগ তৈরীর টিপস

গিগ হলো অফার কৃত বিশেষ একটি সার্ভিস । প্রথম অবস্থায় একটা গিগ বায়ার/ক্লায়েন্টের কাছে ৫ ডলারে Sale করা যায় । গিগটি তৈরীর সময় যে শর্ত সেই অনুসারে বায়ার/ক্লায়েন্টের কাজ সম্পন্ন করতে হবে । গিগগুলোকে আকর্ষণীয় করার জন্য কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হবে, কেননা গিগ আকর্ষণীয় করতে পারলে আপনার চাহিদা বেশি হবে । নিম্নে গিগ আকর্ষণীয় করে তোলার জন্য প্রয়োজনীয় কিছু বিষয়াবলী আলোচনা করা হলো…………

গিগ Title

সুন্দর একটি গিগ Title থাকলে আপনার অফারটি ক্লায়েন্ট/বায়ারদের কাছে বেশি গ্রহণযোগ্য হবে । কোন ধরনের সার্ভিস দেওয়া হবে তা উল্লেখ করা হয় গিগ Title দ্বারা । সে কারণেই গিগের টাইটেলটি আকর্ষণীয় করার চেষ্টা করুন । যাতে যে কেউ Title-টা দেখলেই ভেতরে গিয়ে পড়তে আগ্রহী হবেন । টাইটেলে অবশ্যই সার্চের সম্ভাব্য Keyword ব্যবহার করুন । গিগ Title-এ একই শব্দ একাধিকবার ব্যবহার করা যাবে না ।

Category নির্বাচন

গিগের এর উপর ভিত্তি করে Category নির্বাচন করতে হবে । Category অবশ্যই গিগ-এর সাথে মিল থাকতে হবে । ক্যাটাগরি দেওয়া হলে Sub-Category নির্বাচন করতে হবে ।

গিগ Gallery

গিগ Gallery-তে সার্ভিস সম্পর্কিত Image upload করতে হবে । Image ব্যবহারের ক্ষেত্রে নতুন কাউকে হঠাৎ করে দৃষ্টি আকর্ষণ করা যায়, এমন কিছু Image ব্যবহার করা যেতে পারে । একটি কার্যকর Image হাজার বাক্যের থেকেও উত্তম । Image Size ৫ মেগাবাইট এর মধ্যে হতে হবে । গিগ Gallery-তে সর্বনিম্ন একটি এবং সর্বোচ্চ তিনটি Image ব্যবহার করা যাবে । ছবি গুলোর সাইজ প্রস্থ ৬৮২ Pixels এবং উচ্চতা ৪৫৯ Pixels হতে হবে । সুতরাং অফারের সাথে যে Image যুক্ত করবেন সেটি অবশ্যই গুরুত্বের সাথে বাছাই করুন ।

গিগ Description

গিগ Description-এ সার্ভিস সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য লিখতে হবে । যাতে একজন ক্লায়েন্ট/ফায়ার Description পড়েই সার্ভিস সম্পর্কে যথাযথ ধারণা পান এবং আকৃষ্ট হন । সার্ভিসের Description তারাই পড়বেন, যারা আপনার গিগ টাইটেল এবং ছবি দেখে আগ্রহী হওয়ার পর আরো বিস্তারিত জানতে ক্লিক করবেন । সুতারাং Description-টি এমনভাবে লিখতে হবে যেন এটি পড়লে ক্লায়েন্ট/বায়ার সার্ভিসটি কেনার জন্য Order করেন । উপস্থাপনা যত ভালো হবে গিগ Sale হওয়ার সম্ভাবনাও তত বেড়ে যাবে ।

Tag-এর ব্যবহার

সার্ভিস সম্পর্কিত Keyword Tag ব্যবহার করতে হবে । গিগ যে ধরনের কাজের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে, সেই ধরনের কাজের ওপর পাঁচটি Keyword নির্ধারণ করতে হবে এবং সর্বনিম্ন তিনটি Keyword ব্যবহার করতে হবে । Keyword রিসার্চ করে Tag ব্যবহার করা অত্যান্ত ভালো । এর ফলে ক্লায়েন্ট/বায়ার গিগটি সহজে খুঁজে পাবেন এবং Order পাওয়ার সম্ভাবনা খুব বেশি থাকবে ।

কাজ Delivery duration

যে সার্ভিসের ওপর ভিত্তি করে গিগ তৈরি করা হয়েছে প্রথমে চিন্তা করতে হবে যে এই সার্ভিসটি সম্পন্ন করতে কি পরিমাণ সময় লাগবে অথবা অন্যেরা একই সার্ভিস কতটুকু সময়ের মধ্যে Delivery দিচ্ছেন । Duration ১ থেকে ২৯ দিন পর্যন্ত দেওয়া যায় । ফাইবারে সাধারণত ১ থেকে ২ দিন Duration অথবা কাজের ধরন অনুযায়ী Duration দেওয়া হয় ।

ক্লায়েন্ট/বায়ারের প্রতি নির্দেশনা-FAQ

ক্লায়েন্ট/বায়ার আপনার সার্ভিসটি নিতে হলে কি কি শর্ত পূরণ করতে হবে– FAQ অপশনে সে বিষয়গুলো উল্লেখ করতে হবে । এখানে কাজ করার জন্য ক্লায়েন্ট/বায়ারের কাছ থেকে কি কি দরকার হবে তা উল্লেখ করতে হবে । যেমন- Images, usernames, passwords, content ইত্যাদি । বায়ারের কাছ থেকে সেলারের চাহিদা উল্লেখ করে দিতে হবে যাতে Delivery দেওয়ার সময় পরবর্তী সময়ে কোন ধরনের সমস্যায় পড়তে না হয় অর্থাৎ Service টি নিতে হলে ক্লায়েন্ট/বায়ারের এই তথ্যগুলো প্রয়োজন ।

গিগ ভিডিও

গিগ ভিডিও যুক্ত করলে সেটি Sale হওয়ার সম্ভাবনা অনেক গুন বেড়ে যায় । ভিডিও অবশ্যই গিগ এর উপর ভিত্তি করে বানাতে হবে এবং অবশ্যই এক মিনিট অথবা তার কম সময়ের মধ্যে হতে হবে । একই ভিডিও একাধিক গিগে ব্যবহার করা যায় । তাহলে গিগ Sale-এর সম্ভাবনা অনেক গুন বেড়ে যাবে । গিগে ভিডিও সংযুক্ত করার ২৪ ঘন্টার মধ্যে সেটি প্রদর্শিত হয়ে থাকে । ভিডিও আপনি পরিবর্তন করতে পারবেন । তবে পরপর তিনবার ভিডিও গিগ রিজেক্ট হলে আর কখনোই গিগে ভিডিও যুক্ত করা যাবে না ।

ফাইবারে গিগ Sale বৃদ্ধির উপায়

ফাইবারে একটি Topics এর উপর হাজার হাজার গিগ রয়েছে । এ কারণে ফাইবারে আপনার গিগটি খুঁজে পাওয়া সহজ হবে না । কোন ক্লায়েন্ট/বায়ার ফাইবারে এসে তার প্রয়োজনীয় কোন Service-এর জন্য সার্চ করেন, তখন যে গিগ গুলো সার্চের প্রথম দিকে থাকে, সেখান থেকে ক্লায়েন্ট/বায়ার তার Service টি নিয়ে থাকেন ।
যেসব গিগে Review বেশি থাকে এবং যে সকল গিগে ভিজিটর বেশি ঢুকেছে, সেগুলোকেই সার্চের প্রথম দিকে দেখা যায় । এক্ষেত্রে গিগটিকে কিছুটা Optimize করলে সফলতা পাওয়া যাবে ।

গিগ কিভাবে Optimize করবেন

  • ১। ৬০-৮০ ওয়ার্ডের মধ্যে গিগ Title লিখতে হবে ।
  • ২। টাইটেলে মূল Keyword প্রথমে রাখতে হবে ।
  • ৩। মূল কিওয়ার্ডটি গিগ Description-এ সর্বনিম্ন তিনবার থাকলে ভালো হয় ।
  • ৪। ট্যাগ লেখার সময় Long tail keywords ব্যবহার করার চেষ্টা করুন ।
  • ৫। গিগ ভিডিও যোগ করলে এটি Sale হওয়ার সম্ভাবনা অনেক গুণে বেড়ে যায় ।
গিগটিকে Optimize করার পর এটিকে মার্কেটিং করলে ভালো ক্রেতা পাওয়া যাবে । সেজন্য Social Media Marketing, Forum Posting, Blog Commenting, Video Marketing & Guest Posting করতে পারেন । সব একসাথে করতে পারলে দ্রুত ভাল ফলাফল পাবেন । সম্ভব না হলে যেকোনো একটি সঠিকভাবে করুন । তাতে দেখবেন এক সপ্তাহের মধ্যেই আয় শুরু হয়ে গেছে ।

ফাইবারে Ranking

আপনার অ্যাকাউন্ট যদি একমাস একটিভ থাকে এবং আপনি যদি ফাইবারে দশটি গিগ Sale করেন এবং আপনার যদি ভালো Review থাকে, তাহলে ফাইবার কমিউনিটি আপনার একাউন্ট কে “Level-1” নিয়ে নেবে । তারা আপনার একাউন্টে একটি Level-1 এর ব্যাচ দেবে । ক্লায়েন্ট/বায়ারের কাজের পরিবর্তন যেন না হয় । কাজ পাওয়ার পর সুন্দরভাবে সম্পন্ন করে ক্লায়েন্ট/বায়ারের কাজের Document পাঠিয়ে দেবেন ।
মনে রাখবেন, ক্লায়েন্ট/বায়ার যদি কাজে সন্তুষ্ট না হন তবে সেই কাজের টাকা পাওয়া যাবে না । অতএব শতভাগ সঠিক ভাবে কাজ করতে হবে । যদি ফাইবারে ৫০ টি গিগ Sale করতে পারেন এবং আপনার যদি ভালো Review থাকে তাহলে ফাইবার কমিউনিটি আপনার একাউন্টকে “Level-2” এ নিয়ে নেবে । তারা আপনার একাউন্টে একটি Level-2 এর ব্যাচ লাগিয়ে দেবে ।
ক্লায়েন্ট/ বায়ারকে দ্রুত Response করার চেষ্টা করুন । অ্যাকাউন্ট যদি চার মাস একটিভ থাকে এবং যদি ফাইবারে ২৫০ টি গিগ সেল করেন এবং ভালো Review থাকে তাহলে ফাইবার কমিউনিটি আপনার একাউন্টটিকে “Top Level” এ নিয়ে যাবে । তারা আপনার একাউন্টে একটি Top Level-এর ব্যাচ দেবে ।
Top Level-এ অনেক বেশি কাজ পাওয়া যায় এবং প্রতিটি কাজের মূল্য অনেক বেশি নির্ধারণ করে দেওয়া যায় । ফাইবারে কাজ করলে প্রথমদিকে ধৈর্য ধরে কাজ করতে হবে । কেননা ফাইবার মার্কেটপ্লেসে প্রথম দিকে নতুন অবস্থায় আপনার গিগ খুব কম Sale হতে পারে । আপনি যখন এখানে সফলতার সাথে একটির পর একটি লেভেল অতিক্রম করবেন, তখন গিগ Sale করা খুবই সহজ হয়ে যাবে ।

ফাইবার থেকে টাকা উত্তোলন পদ্ধতি

ফাইবারে প্রতি ৫ Dollar এক ডলার চার্জ হিসাবে কেটে নেওয়া হয় অর্থাৎ আপনি যদি পাঁচ Dollar আয় করেন তাহলে চার ডলার পাবেন । প্রতিটি কাজ Complete ঘোষণা করার ১৫ দিন পর টাকা Withdraw করা যাবে । বাংলাদেশে Payoneer debit card-এর মাধ্যমে ফাইবার থেকে আয় করা অর্থ সরাসরি ATM বুথের মাধ্যমে উঠানো যায় । প্রতিবার ট্রানজেকশনে ৩.১৫ ডলার চার্জ কাটবে তারা । এছাড়া ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বর থেকে সরাসরি ব্যাংকের মাধ্যমে Dollar Withdraw-এর সুবিধা চালু হয়েছে ।

ফাইবারে কাজ করার সর্তকতা

** অন্যের গিগ থেকে Copy করে নিজের গিগ তৈরি করলে সেই Account copyright-এর আওতায় Suspend হয়ে যেতে পারে ।
** একটা PayPal account কিংবা Payoneer account-এ একাধিক ফাইবার র্এগেজসটকাউন্ট এ যুক্ত থাকলে এর জন্য সমস্যা হতে পারে ।

আজ এতটুকু সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। খোদা হাফেজ।

লিখেছেন: Mominuzzaman Fatafati

Law Giant

A lawyer is a 'legal practitioner' who is an advocate, barrister, attorney, solicitor or legal adviser. Lawyers work primarily to solve the legal problems of individuals or organizations through the practical application of theoretical aspects of the law.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button