Freelancing
ফাইভার নিয়ে কিছু প্রশ্ন এবং তার উত্তর এবং ক্লায়েন্ট ম্যানেজমেন্ট
গুগল হচ্ছে আপনার বেস্ট ফ্রেন্ড। আপনি আপনার বেস্ট ফ্রেন্ডকে যদি অবহেলা করেন তাহলে আপনি ভার্চুয়ালে বেশিদিন টিকতে পারবেননা এই গ্যরান্টি আমি দিচ্ছি। ছোট্ট করে একটা কথা বলছি। প্যাসিভ ইনকাম বলতে একটা কথা আছে। এই কথার পারিভাষিক অনেক মানে থাকতে পারে তবে আমি আমার মতো করে আপনাকে বুঝাবো।
আপনার প্রাইমারি ইনকামের পাশাপাশি যদি একটা এক্সট্রা/সাইড ইনকাম থাকে তাহলে বিপদে আপদে এটা আপনার জন্য এক্সট্রা লাইফ-লাইনের মতো কাজ করবে। আপনি খুব ভালো সাঁতার জানেন ৪/৫-ঘন্টা পানিতে সাঁতার কাটা আপনার জন্য কোনো বিষয়না কিন্তু তারপরেও যদি একটা লাইফ জ্যাকেট থাকে তাহলে আপনার নিরাপত্তায় এক্সট্রা একটা সেফটি যুক্ত হচ্ছে। বিষয়টা অনেকটা এমনি।
আমরা কাজ করবো ফাইভারে কিন্তু পাশাপাশি গুগলকেও প্রাধান্য দিতে হবে। জাস্ট এইটা মাথায় রাখেন সব ক্লায়েন্ট ডাইরেক্ট ফাইবার/আপ-ওয়ার্ক-এ তথ্য বা সেবা খুঁজতে যায়না অনেকে গুগল করে। এবং গুগল থেকে ডাইভার্ট হয়েই বিভিন্ন মার্কেট প্লেসে যায়। সো আপনি গুগলে র্যাংক করলে এই এক্সট্রা ভিজিটর বা ক্লায়েন্ট পাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে।
এখন এই বিষয়টা অনেকের পক্ষে হজম করা কঠিন। যাদের এসইও সম্পর্কে ধারণা কম তাদের পক্ষে মেনে নেয়া অথবা বোঝা একটু কঠিন হতে পারে তবে এইটা একটা প্রমাণিত সত্য।
অনেক কিছুই আমরা জানি যে সত্যি কিন্তু কেন সত্যি এই বিষয়টি আমাদের মাথায় ঢোকেনা। তখন কিন্তু আমরা ওই সত্য বিষয়ের বিপক্ষে চলে যাইনা। বুঝার চেস্ট চালিয়ে যাই। শেষমেশ একদম না পারলে মুখস্ত করি।
আপনি এসইও বুঝেন চাই না বুঝেন আমি উপরে যা বললাম আপনাকে ওই অনুযায়ী কাজ করতে হবে। ফাইবার কাজ করবেন ফাইবার ফার্স্ট প্রায়োরিটি কিন্তু সাথে গুগলেকেও নিতে হবে। যদি না নেন তার মানে হচ্ছে আপনার দুইটা হাত থাকতেও আপনি মাত্র একটি হাত ব্যবহার করছেন এবং আপনার শক্তির মাত্র অর্ধেক ব্যবহার করছেন।
যে ২-টা হাত ব্যবহার করবে সে আপনার তুলনায় অনেক ভালো করবে এবং সবসময় এগিয়ে থাকবে।
এইবার উদাহরণের পালা।
আমি গুগলে সার্চ করেছি WordPress expert in Bangladesh.
এইটা একটা #লং_টেইল_কিওয়ার্ড। এই লং টেইল কিওয়ার্ড কি এইটা আমি আমার কিওয়ার্ড রিসার্চ পোস্টে আলোচনা করবো।
একজন বিদেশী ক্লায়েন্ট যখন গুগলে কোনো তথ্য বা সেবা খুঁজবে বিশেষ করে বাংলাদেশী কাউকে তখন এভাবেই খুঁজবে।
আমার লোকেশন বাংলাদেশ এমনকি আমি আমার কিওয়ার্ডে স্পষ্ট বাংলাদেশ কথাটাও উল্লেখ্য করেছি। ফাইবার বা আপ-ওয়ার্ক কিন্তু আমার কিওয়ার্ডের মধ্যে নেই।
এখন আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে গুগল নিয়ম অনুযায়ী তার ব্যবহারকারীদের জন্য তার ডাটাবেজ ঘেটে সবচাইতে বেটার রেজাল্ট শো করানোর চেষ্টা করবে।
এই রেজাল্ট কিন্তু আশ্চর্যজনক। গুগলের প্রথম ৪-টা সার্চ রেজাল্টের মধ্যে ২-টাই মার্কেটপ্লেস নিয়ে। প্রথমটা –> আপ-ওয়ার্ক এবং তৃতীয়টা ট্রুল্যান্সার। পোস্টের সাথে সংযুক্ত চিত্র দেখুন।
গুগল আমার কি ওয়ার্ডের সাথে সম্পর্কযুক্ত এক্সপার্ট সে যে প্ল্যাটফর্মেই থাকুকনা কেন সে যদি বাংলাদেশী হয় তাহলে তাকে যেকোনো ভাবেই হোক ভার্চুয়ালে যদি তার কোনো অস্তিত্ব থাকে এবং সে যদি বেস্ট অফ দ্যা বেস্ট হয় তাহলে তাকে আমার সামনে এনে হাজির করবে।
সেটা হোক কোনো মার্কেটপ্লেস, কোনো সোশ্যাল মিডিয়া অথবা অন্য কোনো ভার্চুয়াল প্লাটফর্ম।
এইবার আসেন আমার এই দুইটা সাইট ভিজিট করে দেখি যে কি কি ফলাফল শো করে। ভিজিট করে দেখা গেলেও যে বাংলাদেশী টপ রেটেড ফ্রীল্যান্সারদের আইডি গুলা শো করছে। আমি কিন্তু ডাইরেক্ট ওই সব মার্কেটপ্লেসে যেয়ে এক্সপার্ট খুজিনি খুঁজেছি গুগল ব্যবহার করে। এবং শেষ পর্যন্ত আমরা জানা অজানা অনেক প্ল্যাটফর্মেই আমি আমার কাঙ্খিত তথ্য বা সেবা খুঁজে পেয়েছি।
কেন গুগলের জন্যও আপনার গিগ এসইও অপটিমাইজড করবেন আশা করি এইবার ভালো করেই বুঝতে পেরেছেন।
গুগল থেকেও আপনার আইডিতে ক্লায়েন্ট যেতে পারে যদি আপনি গুগলে র্যাংক করেন।
৯৩% মানুষ তথ্য বা সেবা অনুসন্ধান করার জন্য সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহার করে আর গুগল হচ্ছে কিং অফ দ্যা সার্চ ইঞ্জিন।
সারা বিশ্বে ৪.৫-বিলিয়ন মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করে। আপনি গুগল কে অবহেলা করা মানে এই ৪.৫-বিলিয়ন মানুষকে অবহেলা করছেন এখন এই ৪.৫-বিলিয়ন মানুষের মধ্যে যদি আপনার সেক্টরের সাথে রিলেভেন্ট ১% মানুষ-ও থাকে তাহলে সেই সংখ্যাটাও কিন্তু অকল্পনীয়।
প্লেটে বিরিয়ানি সাজানো আছে আপনি না খেলে অন্য কেউ খাবে। খুব সহজ সমীকরণ।
আপনি কোন কোন কোর্স করেছেন? কোন কোন টুলস ব্যবহার করেন?
বাংলাদেশে কি কারো কোর্স করেছেন? কোন ইনস্টিটিউট/ট্রেইনারের কাছ থেকে ট্রেইনিং নিয়েছেন?
–> আমি বাংলাদেশী অনেক ইনস্টিটিউট/ট্রেইনারের কাছেই ট্রেইনিং নিয়েছি এবং এই ক্ষেত্রে আমার নেগিটিভ অভিজ্ঞতাই বেশি তবে ভালো অনেক ট্রেইনার/ইনস্টিটিউট-ও আছে।
এই বিষয়ে বিস্তারিত পোস্ট দেয়ার জন্য আমার গ্রুপের কোনো একজন এডমিনের বিশেষ অনুমতি লাগবে কারণ অনুমতি ছাড়া পোস্ট দিলে বিষয়টা কোনো ইনস্টিটিউট বা ট্রেইনারের হয়ে বিজ্ঞাপনের মতো হয়ে যেতে পারে যেটা হয়তো গ্রুপ রুলসের বাহিরে।
আমার কোর্স, ট্রেইনার এবং টুলস বেশিরভাগ পেইড আর এই ক্ষেত্র্রেও পোস্ট দেয়ার জন্য আমার গ্রুপের এডমিনের বিশেষ অনুমতি প্রয়োজন।
আপু আমি খুব সমস্যায় আছি এই মুহূর্তে খুব একটা ইনভেস্ট করার সামর্থ্য নাই আপনি কি কোনো ফ্রি সোর্স মেনশন করতে পারবেন বা কোনো ভাবে হেল্প করতে পারবেন?
–> গ্রুপের এডমিনের অনুমতি সাপেক্ষে আমি পোস্ট দিতে পারি যেটা আপনার/আপনাদের জন্য হেল্পফুল হতে পারে।
বিঃদ্রঃ- আপনার শেখার আগ্রহ থাকলে পৃথিবীতে কোনো বাধাই আপনাকে আটকে রাখতে পারবেনা। আপনার আমার হাতের কাছে সম্পূর্ণ ফ্রি ডায়মন্ড লুকিয়ে আছে কিন্তু আমরা অনেকেই সোর্সের সন্ধান পাইনা আবার অনেকেই পেয়েও ফ্রি জাস্ট এই কারণে অবহেলা করি।
আমার অনেক দামি একটা কোর্স ছিল জাস্ট বিএস (বুলশিট)। কোর্স করার পরে মনে হয়েছে যেন ট্রেইনারের নিজেরই ট্রেনিং প্রয়োজন। অনেক কোর্স কিনার পরে আবার বিভিন্ন রিসোর্স যাচাই-বাছাই করে দেখলাম আমার পেইড কোর্স ফ্রীতেই পাওয়া যাচ্ছে।
মনে রাখবেন পৃথিবীর ৬০% পেইড সোর্স ফ্রি তাই পাওয়া যায় তবে এর জন্য আপনাকে কিছু টেকনিক ফলো করতে হবে। এবং এক কথায় যথেষ্ট পরিমানে টেকনোলজি গিক এবং বুদ্ধিদীপ্ত হতে হবে।
আমার এই ক্ষেত্রেও বিস্তারিত আলোচনা করার জন্য গ্রুপের এডমিনের বিশেষ অনুমতি লাগবে।
কোন কোন বিষয়ে ফ্রীল্যান্সিং শিখবো?
১) গ্রাফিক্স ডিজাইন (যেকোনো ২/৩-টা সাব নিস টার্গেট করবেন)
২) ওয়েব ডিজাইন এন্ড ডেভেলপমেন্ট।
৩) ডিজিটাল মার্কেটিং (২/৩-টা সাব নিস টার্গেট করবেন)
এই বিষয় বিস্তারিত একটা পোস্ট দিবো ভবিষ্যতে ইন-শা-আল্লাহ।
আমি ৩-মাস যাবত আইডি খুলেছি কাজ বা ম্যাসেজ পাচ্ছিনা। কি করবো?
কাজ কেন পান না তার একটা কারণ এই পোস্টার উপরেই বলছি। গিগ শুধু যে মার্কেটপ্লেসে কাজ করবেন ওই মার্কেটপ্লেস টার্গেট করে সাজালে হবেনা আপনাকে অলরাউন্ডার হতে হবে।
আমি এইমাত্র একটি কোর্স কমপ্লিট করেছি এখন কি ফ্রীল্যান্সিং করতে পারবো?
আপনি কিছু না পারলেও ফ্রীল্যান্সিং করতে পারবেন যদি আপনি যথেষ্ট পরিমানে বুদ্ধিদীপ্ত হন। ফাইবারে আপনাকে কবিতা বা গল্প পরে শুনাবে এমন টাইপের গিগ রয়েছে এবং এর জন্যও সার্ভিস চার্জ করে। আর যদি কাজ জেনেও কাজ করতে না পারেন তাহলে সেটা আপনার যোগ্যতার অভাব নয় বুদ্ধিমত্তার অভাব অথবা অলসতার কারণে করতে পারছেননা।
আমি কাজ নিয়ে কনফিডেন্টনা, আর কি কি শেখা লাগবে বুঝতে পারছিনা এখন কি করবো?
আপনি ১০০% স্কীলড কখনোই হতে পারবেননা কারণ ১০০% এই শব্দটাই একটা ভুল শব্দ ১০০% গ্যরান্টি বা পুরিপূর্ণতা অর্জন একমাত্র আল্লাহ-পাক ছাড়া আর কারো পক্ষে সম্ভব নয়। আপনার স্কিল ১০০% হবে এর পরে কাজে নামবেন তাহলে জীবনে কখনোই কাজে নামতে পারবেননা। সুতরাং একটা নির্দিষ্ট লিমিট পর্যন্ত কাজ শিখে কাজে নেমে পড়েন বাকিটা কাজ করতে করতে শিখবেন। পৃথিবীর অনেক লিজেন্ডারি এক্সপার্টের লাইফের প্রথম কাজটি ছিল ডিজাস্টার। মানুষ ভুল করতে করতেই একসময় এক্সপার্ট হয়। আমিও আমার প্রথম প্রজেক্টে ফ্লপ মেরেছিলাম।
আমি কাজ জানি কিন্তু কিভাবে কি করবো বুঝতে পারছিনা।
গুগল এবং ইউটিউব দেখেন। বিভিন্ন রিলেভেন্ট ব্লগ পোস্ট বা ফোরামের এক্সপার্টদের সাজেশন ফলো করুন। গুগল যদি হয় আপনার মামা বা বেস্ট ফ্রেন্ড তাহলে ইউটিউব হবে আপনার বেস্ট ফ্রেন্ডের বেস্ট ফ্রেন্ড।
আপনি নিজে কি ফ্রীল্যান্সিং করেন?
করি তবে আমি বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস আসলে আমার কাজের জন্য একপ্রকার সেলস ফানেল হিসেবে ব্যবহার করি। সেলেস ফানেল কি এই বিষয়ে পরে কখনো আলোচনা করবো।
আপনি কি ট্রেইনিং করান? আপনি কি লোকাল মার্কেটে কাজ করেন?
উভয় ক্ষেত্রে উত্তর –> #না।
আপনার ট্রেইনার বা ট্রেইনিং ইনস্টিটিউটের নাম উল্লেখ্য করেননা কেন?
–> অনেকের কাছে এইটা কোনো নির্দিষ্ট ট্রেইনার বা ইনস্টিটিউটের হয়ে বিজ্ঞাপনের মতো মনে হতে পারে। তাছাড়া এইটা গ্রুপ টুলসের বহির্ভুত হতে পারে। আর আমি যেহেতু কোনো ট্রেইনার বা ইনস্টিটিউটের হয়ে এফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের কাজ করছিনা তাই উল্লেখ করিনা।
আপনার পোস্ট এত বড় বড় কেন?
আমি এই গ্রুপের এক ভাইয়ার কাছ থেকেই এমন বড় বড় পোস্ট লিখা বা বলতে পারেন তার লিখার স্টাইলটা কপি করেছি। আমি ওনার অনেক পোস্ট ডাইরেক্ট বিভিন্ন গ্রুপ থেকে একপ্রকার কপি করি তবে ওনার উগ্র মেজাজ এবং ইগো প্রব্লেম রয়েছে তার টের নাম মেনশন করিনা যদি তার পোস্টার বিষয়ে ইনবক্স করা আছে কিন্তু ম্যাসেজ সিন করেনি। আমি এসইও নিয়ে কাজ করি আর এসইও মানেই হচ্ছে তুমি তাকেই ফলো করো যে তোমার চাইতে বেটার পজিশনে আছে (এক্সপার্ট-দের মতামত)।
গ্রুপ থেকে আমি নিজেও সর্বদাই নতুন নতুন কিছু যেমন শেখার চেষ্টা করি অথবা সরাসরি পোস্টের মাধ্যমে আমার অজানা বিষয়গুলা জেনে নেয়ার চেষ্টাও করি তেমনি আমি চাইনা আপনারাও আমার মতো অযথা টাকা পয়সা নষ্ট করে এমন কিছু শিখেন যেটা আপনার হাতের কাছে একদম ফ্রি-তেই পাওয়া যাচ্ছে।
আরো অনেক অনেক প্রশ্ন অনেকেই করেছেন তবে আমি এই গুলার উত্তর দেয়াটাকেই অধিক গুরুত্বপূর্ণ মনে করেছি।
এখন আমরা সোজা ক্লায়েন্ট ম্যানেজম্যান্ট অংশে চলে যাবো।
Remember you are the expert here, not the client. Be the alpha.
সর্বপ্রথম এবং প্রধান হচ্ছে আপনি এক্সপার্ট হিসেবে কোনো না কোনো সার্ভিস প্রদানের মাধ্যমে ইনকাম করতে চাচ্ছেন এই বিষয়টা যেন মনে থাকে। এইখানে আপনি ডাক্তার আর আপনার ক্লায়েন্ট আপনার রুগী। ডাক্তার হিসেবে আপনি রুগীকে সেবা দিবেন সুতরাং আপনার মনোভাব যেন ডাক্তারের মতোই হয় ওকে। একজন এক্সপার্টের মতো স্ট্রং ব্যবহার করুন। ক্লায়েন্ট যেন আপনার রুগী হওয়ার বদলে আপনার ডাক্তার না হয়ে যায়।
Your client is in trouble and desperately looking for a solution.
ক্লায়েন্ট তার কোনো না কোনো সমস্যা নিয়ে আপনার কাছে এসেছে সমাধানের জন্য। অথবা আপনি তাকে তার সমস্যা সমাধানের জন্য প্রস্তাব পাঠিয়েছেন। কাজেই এক্সপার্টের মতো ডাইরেক্ট সমস্যার সমাধানে চলে যান। ক্লায়েন্ট যেন আপনাকেই একটা বাড়তি ঝামেলা মনে না করে।
Never use the word –>PLEASE. You are an expert, not a beggar so keep up your dignity.
আপনি কোনো অপরাধ করেননি এবং ডাইরেক্ট ভিক্ষাও করছেননা। কাজেই প্লিজ শব্দ ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন।
আমার ঘরে ভাতের চাল নেই। আমি তিন মাস যাবৎ কাজ পাচ্ছিনা প্লিজ আমাকে কাজ দিন। এইসব আবেগের কোনো দাম ক্লায়েন্টের কাছে নেই। প্লিজ মানেই কেমন যেন প্রভুত্ব মেনে নেয়া অথবা অপরাধ স্বীকার করে নেয়ার মতো আর ক্লায়েন্ট এইটাকে ভয়াবহ নেগিটিভ বা দুর্বলতার প্রকাশ মনে করে।
Call your client by their name and don’t call your client Sir/Madam.
স্যার আর ম্যাডাম মানে যে শুধু সন্মান-জনক সম্বোধন এমননা এর মানে হচ্ছে ডাইরেক্ট বুইড়া/বুড়ি। পরিচিত কোনো মুরুব্বীকে সম্বোধন করার ক্ষেত্রেই শুধু এই ২-টা শব্দ ব্যবহার হতে পারে অপরিচিত কারো ক্ষেত্রে নয়। অপরিচিত কাউকে ভুইরা/বুড়ি ডাকাটা অসম্মানজনক। অপরিচত কারো সাথে পরিচিত হওয়ার ক্ষেত্রে প্রথমেই তাকে স্বাগতম জানানোর পরে তার নাম জেনে নেয়া একটা ভদ্রতা। সুতরাং ক্লায়েন্টকে ডাইরেক্ট তার নাম ধরে ডাকবেন আর নাম না জানলে শুভেচ্ছা জানানোর পরেই প্রশ্নই হবে ক্লায়েন্টের নাম জানতে চাওয়া সংক্রান্ত।
Don’t let your client dominate you. Try to dominate the client the way you want. Use WH words to keep the ball in your control.
ক্লায়েন্ট যেন আপনাকে কাজ না শেখায় ওকে। ক্লায়েন্টের মনে অনেক উদ্ভট প্রশ্ন জগতে পারে এবং তাদের আবদার অনেক অপ্রাসঙ্গিক হতে পারে। এইসব প্রশ্ন বা আবদারকে প্রশ্রয় দিবেননা। ক্লায়েন্টকে আপনি নিজে প্রশ্নের মাধ্যমে ব্যস্ত রাখবেন। যেন তার মনে আপনার যোগ্যতা, দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা নিয়ে প্রশ্ন জাগার মতো সময় বা সুযোগ না হয়।
তোমার কেমন কাজ চাই? তোমার কি নিজস্ব কোনো পছন্দ/অপছন্দ আছে? তুমি কি কারো ওয়েবসাইটে তোমার পছন্দের সাথে মিল আছে এমন কোনো কাজ দেখছো? তোমার কি কোনো পার্সোনাল ওয়েবসাইট আছে? তিমি কি রি-ডিজাইন চাচ্ছ না কি সম্পূর্ণ নতুন কোনো ডিজাইন চাও? তোমার আগের ওয়েবসাইটের সম্পূর্ণটাই কি মুছে দিবে নাকি কোনো অংশ রাখতে চাও? আমাকে দিয়ে কি শুধু ডিজাইন করবে নাকি এসইও করবে? এসইও করলে তোমার জন্য আমি ২০% ছাড় দিবো। নরমালি আমি এমন ছাড় দেইনা। তাছাড়া যদি তুমি প্রিমিয়াম প্যাকেজ অর্ডার করো তাহলে তোমাকে আমি এক্সট্রা এই সার্ভিসটা একদম ফ্রি দিবো যার জন্য নরমালি আমি ১০০% ডলার চার্জ করি।
ক্লায়েন্টের প্রশ্ন করার সুযোগ নেই। উল্টা চিন্তায় ফেলে দিবো যে কোনটা অর্ডার দিবে নরমাল প্যাকেজ নাকি প্রিমিয়াম প্যাকেজ।
Use emotional, powerful words while explaining the benefits.
- Remarkable logo design.
- Professional business website.
- Best logo
- Wonderful logo
- Attractive logo
- Beautiful logo
- Awesome website.
এইসব শব্দের ব্যবহার করেন।
I work at a cheap rate. Don’t say bs like this, say my rate is affordable.
ক্লায়েন্ট সস্তা কাজ খোজেনা ক্লায়েন্ট খোঁজে ভালো কাজ সুরতাং ক্লায়েন্টকে ভালো কাজের ব্যপারে আশ্বাস প্রদান করেন সস্তা কাজ নয়। সস্তায় কিনলে যে পস্তাতে হয় এইটা বিদেশিরা ১৬-আনা বুঝে।
NO–> Unlimited review/100% money-back guarantee.
ক্লায়েন্টকে টাকা ফেরত অথবা একদম কেয়ামত পর্যন্ত রিভিশন দিতেই থাকবেন এমন কথা বলবেননা। তাহলে ক্লায়েন্ট আপনাকে মাঠে ছাগল চড়াতে পাঠিয়ে দিবে। ক্লায়েন্টকে বলে দিন যে আপনি শুধু কাজের জন্য নয় আপনার সময় এবং শ্রমের জন্যও চার্জ করেন ওকে। এইটা একজন এক্সপার্ট লোকের অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট। এর ফলে ক্লায়েট কাজ দেয়ার পর আপনাকে অযথা হয়রানি করার বিষয়ে যথেষ্ট সতর্ক থাকবে।
Don’t use –> I/Me/Myself type of words. Keep your focus on your client and their necessity.
এই বিষয়ে যথেষ্ট বলেছি। সংক্ষেপে জাস্ট এটাই বলবো যে ক্লায়েন্টের আপনার বিষয়ে বিন্দুমাত্র আগ্রহ নাই সে তার প্রয়োজনীয়তাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিবে আপনিও তার প্রয়োজনীয়তাকে কেন্দ্র করেই ক্লায়েন্টের সাথে কথা বলুন। এই বিষয়টা ক্লায়েন্টেকে চুম্বুকের মতো আকৃষ্ট করে।
While talking with a client talk about the benefits they are going to get if they work with you.
আমি কে বা কি রথী/মহারথী এই বিষয়ে নয় ক্লায়েন্টের সাথে কথা বলার সময় ফোকাস তার উপরে রাখুন এবং আপনাকে হায়ার করলে সে অন্যদের তুলনায় কি কি বাড়তি সুবিধা পাবে সেটা বর্ণনা করুন। এই বিষয়ে ডাইরেক্ট বলুন কোনো ভনিতা নয়। কারণ ক্লায়েন্ট আপনাকে একা বাজিয়ে দেখেনা একই সাথে অন্তত ১০/১২-জনকে নক করে। আপনি এডভ্যান্টেজ নিন। ডাইরেক্ট তাকে বলুন তোমাকে আমি এইটা দিবো সাথে বাড়তি এইটাও দিবো। আপনি কাউকে মেনশন করবেননা। যে অমুকে ঐটা দেয়না কিন্তু আমি দিবো। অন্যের সমালোচনা ক্লায়েন্ট ভালোভাবে নেয়না। আপনি ফোকাস বেনিফিটের উপরে রাখেন ওকে। এইখানে আপনাকে অনুমান করে আগাতে হবে। ক্লায়েন্ট লোগো চাইলো অন্যরা হয়তো শুধু লোগোই অফার করবে আপনি এক স্টেপ এগিয়ে তাকে বলুন যে লোগো ডিজান অর্ডার করলে তোমার বিজনেস পেজটার জন্য আমি একটি চমৎকার কাভার ডিজাইন করে দিবো। আপনি যে তাকে এক্সট্রা কিছু অফার করছেন এইটা ক্লায়েন্ট বুঝে। আপনি যে টিকে থাকার জন্য লড়াই করছে এইটা ক্লায়েন্ট বুঝে। আপনি যে আপনার বেস্ট দিতে চাচ্ছেন এইটা ক্লায়েন্ট বুঝে সে আপনাকে হায়ার করবে।
Turn anything negative into a positive thing. If the client says that your service price is too high then instantly add some extra features/benefits to your service. Don’t reduce the price.
ক্লায়েন্ট যদি বলে তোমার রেট অনেক হাই। হুট করে দাম কমিয়ে দিবেননা। এইট একদম মাইনাস একটা বিষয়। ক্লায়েন্ট এমন কিছু বলার সাথে সাথেই বলুন যে তুমি ঠিক বলেছো। হ্যাঁ আমার দাম একটু বেশি। এই ক্ষেত্রে আপনার কাজের মান ভালো, ১০০% সন্তুষ্টির গ্যারান্টী এইসব বস্তা-পঁচা কথা বার্তা বলবেননা। এইগুলা সবাই বলে আর ৭১-সালের আগেই বলা হয়ে গেছে। আপনি এক্সট্রা বেনিফিটের কথা বলুন। যাতে ক্লায়েন্ট বুঝতে পারে কেন আপনার দাম বেশি।
Try to be in the lead.
নেটওয়ার্ক থাকুক বা না থাকুক সবার থেকে রবির মতো একধাপ এগিয়ে থাকুন। ক্লায়েন্ট আপনার কাছে আসবে একটা প্রব্লেমে নিয়ে আপনি তার আরো ২/৪-টা বাড়তি প্রব্লেম খুঁজে বের করে ফেলুন এবং তাকে এই বিষয়ে সোজাসুজি জানান।
তাকে আরো কিছু বাড়তি সার্ভিসে অফার করেন এবং সর্বদাই তাকে সবচাইতে দামি কিছু সার্ভিস অফার করুন। ক্লায়েন্ট বাজেট নিয়ে ভাবেনা সে চায় মানসম্পন্ন কাজ।
তাকে বলুন লোগো ডিজাইন করবেন ঠিক আছে কিন্তু তোমার বিজনেস পেজটা আমি দেখলাম কি বানাইছো এইটা একদম ভালো হয়নি। আমি তোমাকে এর চাইতে ভালো বিজনেস পেজ ডিজাইন করে দিবো তাও একদম ফ্রি তবে –> যদি তুমি আমার প্রিমিয়াম লোগো ডিজাইন সার্ভিস অর্ডার করো শুধুমাত্র সেই ক্ষেত্রে।
Don’t feel shy to say NO to your client.
ক্লায়েন্টের বাজেট থাকবে ডাল-ভাতের কিন্তু অর্ডার করবে বিরিয়ানী। এই ক্ষেত্রে একজন এক্সপার্টের মতো ব্যবহার করুন। #না বলতে শিখুন। ক্লায়েন্টের অনেক উদ্ভট আবদার থাকতে পারে। ডাইরেক্ট মানা করে দিবেন। ক্লায়েন্টের বৌ মারা গেছে না গার্লফ্রেন্ড চলে গেছে তাতে আপনার কিছুনা। ক্লায়েন্ট নিজেই আপনাকে জ্ঞান দিচ্ছে থামিয়ে দিন। আপনি নিজে এক্সপার্ট এটা তাকে বুঝান এবং আপনি যে তার চাইতে ভালো জানেন এবং তার ধারণা যে ভুল এইটা একদম মুখের উপরে বলে দিন। অনেক চালাক ক্লায়েন্ট আপনাকে যাচাই বাছাই করার জন্য অনেক উদ্ভট এবং কাল্পনিক বিষয়ের অবতারণা করতে পারে। আপনি আপনার অবস্থান শক্ত ভাবে ধরে রাখুন।
Keep your head cool.
এইটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। মাথা ঠান্ডা রাখুন। অযথা তর্কে যাবেননা। একদম সহ্যের বাহিরে গেলো এভোইড করেন অথবা ক্লায়েন্টকে বুঝানোর চেষ্টা করুন।
If the client says that this work is being done at a much lower rate by many other freelancers.
তোমার রেটের চাইতে অনেক কম রেটে এই কাজ অনেকেই করছে। খুব ভালো কথা। একদম রেগে যাবেননা। সরাসরি অন্য ফ্রীল্যান্সারদের সম্পর্কে বাজে কথাও বলবেননা। আবার নিজের প্রসঙ্গেও কিছু বলবেননা। আপনি এখানে বলবেন হ্যা তুমি ঠিক বলেছো। অনেকই হয়তো এই কাজ অনেক কম রেটে করছে।
সুন্দর ভাবে ক্লায়েন্টের কথার সাথে একমত হলেন এবং বন্দুকটাও তার ঘাড়েই রাখলেন এইবার ফায়ার করে দেন। আপনি বলেন একটি কাজের রেট যেমন ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে তেমনি দামের উপরে নির্ভর করে কাজের মান-ও ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে। দেখেন খুব সাবধানে এবং ইনডাইরেক্টলী কিন্তু অন্যদের কাজের মান ভালোনা বলে দিলাম। একদম কাজ পাওয়ার জন্য হুট করে কাজের দাম কমিয়ে দিবেননা তাহলে গেছেন।
এইবার প্রশ্ন ছুড়ে দেন? তুমি কি চাচ্ছ? কম দাম এবং খারাপ কোয়ালিটি নাকি ভালো এবং মানসম্পন্ন কাজ?
দেখেন কম দামের সাথে আমি খারাপ কাজের কথা বললেও যখন ভালো দামের কথা বললাম তখন দামের কথা বলিনি এই ক্ষেত্রে ক্লায়েন্টের উপরে সিদ্ধান্তের দায়ভার ছেড়ে দিয়েছি।
অনেকটা এমন যে হয় কম দামে খারাপটা বেছে নাও অথবা বেশি দামে ভালো কিছু চাইলে আমার কাছে আসেন।
When someone is in some kind of problem they can’t decide what to do. Be the decision-maker.
কিছু ক্ষেত্রে ক্লায়েন্ট নিয়েও জানেনা যে সে কি চায় বা তার কি করা উচিৎ এই ক্ষেত্রে আপনাকে এডভ্যান্টেজ নিতে হবে। ক্লায়েন্টকে প্রথমে তার প্রব্লেম সম্পর্কে ক্লিয়ার ধারণা দেন। এবং তাকে কি করা উচিৎ এবং কেন করা উচিৎ সেটাও দরকার পড়লে একদম তথ্য প্রমান সহ বুঝান। এবং শেষ পর্যন্ত তাকে সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে হেল্প করুন দরকার পড়লে আপনি নিজেই কিছু একটা সাজেশন করুন।
Call 2 action, act like a General and be the Alpha.
প্রতিটা মুহূর্তে আপনি যে এক্সপার্ট এই বিষয়টা ক্লায়েন্টের মাথায় গেথে দিন। একটা একটা বেনিফিট তাকে বর্ণন দিবেন আর তাকে বলবেন যে অর্ডার করো। আপনি লিড দিচ্ছেন ওকে।
বাজারে গেলেন যে দোকানদার কাস্টোমারদেরকে ডাকে সেই দোকানে ক্রেতার সমাগম একটু বেশি হবে এটাই স্বাভাবিক। দাম কমবেননা আবারো বলছি আপনি যা করবেন সেটা হচ্ছে সর্বদাই উপরের দিকে ধাবিত হবেন। দামে কোনো ছাড় দিবেননা উল্টা ক্লায়েন্টে বাধ্য করবেন যেন সে আপনার প্ৰমিয়াম কোনো কিছু কিনে। তাকে প্রিমিয়াম কিনলে আপনি তার সাথে এক্সট্রা কি সুবিধা দিবে এইসব বর্ণনা করবেন। আপনি তখনি তাকে চার দিবেন যখন সে তার লিমিট বা বাজেট অতিক্রম করবে।
ধরেন গল্পের বই যদি একটা কিনেন তাহলে একদোম ৩৫০-টাকা তবে যদি আপনি সম্পূর্ণ সমগ্র কিনেন মানে ৩৫০*১০=৩৫০০ কিন্তু আমি রাখবো ৩০০০-টাকা তাহলে পাচ্ছেন ৫০০-টাকা ছাড় সাথে আবার একটি ছোট গল্পের বই একদম ফ্রি। বাড়তি সুবিধা। দ্বিগুন সুবিধা।
এইখানেই শেষ নয় সর্ব শেষ যে কথাটা বলবেন সেটা হচ্ছে।
(এইখানে আপনার ক্লায়েন্ট) তাহলে এখন কোনটা দিবে? সিঙ্গেল বই নাকি সপূর্ণ সমগ্র?
মানে চলে যাওয়ার কোনো অপশন দিচ্ছিনা ডাইরেক্ট বলছি যে যাচাই-বাছাই বাপু শেষ এইবার অর্ডার করো।
Extra fast delivery, express delivery, 24-hours delivery. Don’t promise anything like this if you aren’t being asked for.
যতক্ষণ কেউ না চাচ্ছে এইসব ফালতু কোনো কিছু অফার করবেননা আর করলেও তার জন্য এক্সট্রা চার্জ করবেন। ক্লায়েন্ট মানসম্পন্ন কাজ চায় এক্সট্রা ফাস্ট ডেলিভারি এবং ফালতু কাজ নয়।
NO free service. don’t act like a fool.
কোনো মাগনা সার্ভিস না। এই ক্ষেত্রে বিচার বিবেচনার কোনো অপশন নেই। আপনি ক্লায়েন্টের মনোভাব বিশ্লেষণ করে কিছু বাড়তি কিছুটা ছাড় দিতে পারেন তবে কোনো ফ্রি সার্ভিস একদম না।
If you feel like the client might not have enough budget. Don’t feel shy to ask about clients’ budgets.
যদি বুঝতে পারেন যে ক্লায়েন্টের হয়তো এতো বাজেট নেই। অনেক সময় ক্লায়েন্ট হয়তো আপনাকে কাজ দিতে চাচ্ছে কিন্তু তার হয়তো পর্যাপ্ত বাজেট নেই। এই ক্ষেত্রে কেউ সচরাচর মুখে কিছু বলেনা একটু ইতস্ততঃ বোধ করে। তাকে হেল্প করেন। তাকে সরাসরি তার বাজেটের কথা জিজ্ঞাসা করেন। এবং আপনার সামর্থ্য এবং ক্লায়েন্টের বাজেট অনুযায়ী তাকে সর্বোচ্চ সেবা প্রদান করুন। অবশ্যই তাকে যতটুকু সম্ভব তার বাজেটের তুলনায় বাড়তি সুবিধা বা সার্ভিস দিবেন। ভবিষ্যতে তার সাথে কাজ করার সম্ভাবনা বজায় রাখবেন।
আপনি হয়তো আপনার কাঙ্খিত রেট পাচ্ছেননা তবে এই ক্ষেত্রে একটি ৫-তারকা রিভিউ পাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। আর ক্লায়েন্ট ভবিষ্যতে তার বাজেট বাড়িয়ে আপনার সাথে বাদবাকি কাজ করার ব্যপারে আগ্রহী থাকবে।
Be a good listener. Don’t just focus on one single problem/issue.
ক্লায়েন্ট এসেই আপনাকে বলতে পারে আমার এই প্রব্লেম এইটা সমাধান করে দাও।
তাড়াহুড়ার কিছু নাই। ক্লায়েন্ট তার প্রব্লেম সম্পর্কে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ১০০% ধারণা রাখেনা কারণ সে এক্সপার্ট না, এক্সপার্ট হলে আপনার কাছে কখনোই আসতোনা। আগে কথা মনোযোগ দিয়ে শোনেন। তার পরে তার সমস্যার সমাধান এবং সুসুবিধা সমূহ বর্ণনা করেন এবং অবশ্যই রিসার্চ করে আরো বাড়তি কিছু সমস্যায় বের করার চেষ্টা করেন যেগুলার সমাধান যদি ক্লায়েন্ট নাও করে তাহলেও সমস্যা নেই। তার মাথায় তো অন্তত ঢুকিয়ে দিলেন এবং যখনি সে এইক্ষেত্রে বড় কোনো প্রব্লেমে পড়বে তার আপনার কথাই সর্বপ্রথম তার মাথায় আসবে। হুমম এই বিষয়ে তো একজন আমাকে আগেই বলছিলো। অবগন আপনাকেই হয়তো সে হায়ার করবে।
Whenever the client starts saying any BS things directly point it out.
ক্লায়েন্ট ফালতু, ইলোজিক্যাল অথবা ভুল কিছু বললে ইনস্ট্যান্ট তাকে তার ভুল ধরিয়ে দেন। হুদাই জ্বি হুজুর জ্বি হুজুরের কোনো প্রয়োজন নেই।
Don’t use common terms that people are using.
আমি সবার সেরা। তোমাকে একদম সেরা সার্ভিস দিবো। আমি যদি ওয়েব ডিজাইন নিয়ে কাজ করি তাহলে হয়তো বলতাম –> Let’s design a website that attracts unlimited and relevant organic traffic that converts.
Fiverr is not just a 5-$ marketplace.
ফাইবারকে যারা শুধু ৫-ডলারের মার্কেটপ্লেস না। এমন মনোভাব নিয়ে ক্লায়েন্টের সাথে কথাও বলবেননা। ৫-এর পরে কয়টি শুন্য লাগাবেন সেটা সম্পূর্ণ আপনার উপরে নির্ভর করে। আপনি ৫-ছিলে ৫-ই পাবেন আবার ৫০০০-ও পাবেন সেটা আপনার যোগ্যতা, দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতার উপরে নির্ভর করবে।
If the client says OK let me think for a while.
এর সহজ মানে হচ্ছে ক্লায়েন্টের আপনাকে ভালো লেগেছে কিন্তু তার এই মুহূর্তে হয়তো বাজেট প্রব্লেম আছে। এই ক্ষেত্রে ডাইরেক্টলি বাজেটে চলে যান। আচ্ছা তোমার বাজেট কত? তুমি ঠিক এই মুহূর্তে ঠিক কি পরিমান ইনভেস্ট করতে চাচ্ছ।
এইটা আমার কথা নয় ডাইরেক্ট ডিজিটাল মার্কেটিং গড নেইল প্যাটেল এর কথা।
ধরেন আপনার রেট হচ্ছে ৫০০ কিন্তু ক্লায়েন্ট ৩০০-এর আসে পাশে ঘুরছে। কোনো অবস্থায় ক্লায়েন্টে যেন ছুতে চলে না যায়। বিন্দু বিন্দু বালুকনাই একসময় মহাদেশ গঠন করবে এইটা মাথায় রাখবেন। এই ক্ষেত্রে আপনার মূলকাজের সাথে হুক যুক্ত করেন অর্থাৎ কিছু বাড়তি সার্ভিস যেন ক্লায়েন্ট এই মুহূর্তে এই কাজ গুলা না করলেও তার মাথায় এই বিষয়ে স্পর্ষ্ট ধারণা থাকে। এইবার তাকে একটা কাস্টম অফার দেন। যদি নতুন হয় তাহলে তাকে বলেন যে দেখো তোমার সাথে প্রথম কাজ করতে যাচ্ছি এই জন্য আমি তোমাকে একটা কাস্টম সার্ভিস দিতে পারি যেটা তোমার বাজেটের মধ্যে হবে তবে অবশ্যই মনে রাখবে আমি কিন্তু পরে আর কোনো ছাড় দিবোনা।
ক্লায়েন্টেক একই সাথে বর্তমান কাজের জন্য যেমন উৎসাহিত করলাম তেমনি ভবিষ্যতে পুনরায় কাজ পাওয়ার একটা সম্ভাবনাও বজায় রাখলাম।
Don’t afraid to add few extra days to deliver your service.
ক্লায়েন্ট একদম জাদুর ভেলকি দিয়ে চোখের পলকে কাজ করে দিবেন এমনটা কখনোই আশা করেন কাজেই সর্বদাই কাজের সময়ে ব্যপারে সতর্ক থাকুন প্রয়জনে স্বাভাবিক সময়ের টানলে বাড়তি সময়/দিন যুক্ত করুন।
সর্বশেষে একটি উদাহরণ দিচ্ছি।
ড্যারেল উইলসন পৃথিবীর সেরা ১০-জন ওয়ার্ডপ্রেস এক্সপার্টদের মধ্যে একজন। উডেমাই এর র্যাংকিং/তথ্য অনুযায়ী।
এই ভদ্রলোক প্রায় সময় নিজের আইডেন্টিটি হাইড করে ফাইবারে ফ্রীল্যান্সার হায়ার করে। তো বেশকিছুদিন আগেই তিনি ফাইবারে টেস্ট ওয়েবসাইট বানানোর জন্য বেশকিছু ওয়ার্ডপ্রেস এক্সপার্ট হায়ার করেন।
উনি খুব সম্ভবত ৫-জন হায়ার করেন যার মধ্যে আবার একজন টপ রেটেড পাকিস্তানী এক্সপার্ট ছিল যার নাম #pintoo0 আপনার সার্চ দিলেও পাবেন।
এমনকি ইউটিউবে ড্যারেল উইলসনের চ্যানেলে এই ভিডিওটাও দেখতে পারবেন।
তো এই পিন্টো ৭-দিনের বদলে ১৪-দিন ড্যারেলকে তার কাজের ডেলিভারি দেন। এমন একজন টপ রেটেড ফ্রীল্যান্সারের কাছে এইটা একদম হাস্যকর। উনি চাইলে সেফটি হিসেবে শুরুতে কেমন সময় লাগতে পারে সেই সম্পর্কে সেফ থাকতে পারতেন।
যাইহোক অবচাইতে অবাক করা বিষয়টি হচ্ছে ড্যারেল অনেকবার রিকোয়েস্ট করার পরেও পিন্টো তাকে কোনো ধরণের ছাড় দেয়নি। উলটা দেরি করে ডেলিভারি দিয়েছে।
হাস্যকর বিষয়টি হচ্ছে সে যে সার্ভিস টি দিয়েছে সেটা অনেক এক্সপার্ট মাত্র ৩০-মিনিটেই করে ফেলবে। জাস্ট একটা প্রিমিয়াম থিম কিনছে আর ডেমো সাইট/কনটেন্ট ইম্পোর্ট করেছে। এমনকি কনটেন্ট বা ইমেজও চেঞ্জ করেনি।
ড্যারেল তাকে ৪০০$-এ হায়ার করেছিল।
যাদের কাজের ক্ষেত্রে কোনডিডেন্ট নাই বা কি কাজ করবো। দ্রুত কাজ ডেলিভারি দেয়ার জন্য একদম পাগল হয়ে যান। তাদের জন্য একটা উদাহরণ।
যুদ্ধে না নামলে বুঝতেই পারবেননা যে আপনার কি কি নাই বা দুর্বলতায় কোথায়। একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত শিখার পরে যুদ্ধে নেমে যান আবার যুদ্ধের ময়দানে থেকেই শিখেন।
আপনি গাড়ি নিয়ে রেসের ময়দানে রেস্ করতে নামেননি যে একদম রকেটের গতিতে ডেলিভারি দিবেন। আপনার স্বাভাবিক সময়ের চাইতেও ২/৪-দিন সময় বাড়তি সময় যুক্ত করে রাখবেন যাতে সর্বদাই ডেলিভারি দেয়ার ক্ষেত্রে সেফ থাকতে পারেন।
কি কাজ করবেন কাজ নিয়ে কনফিডেন্ট না ওই যে পিন্টোর উদাহরণ-টা এই জন্যই দিলাম। টপ রেটেড কিন্তু ড্যারেল এর মতো ওয়ার্ডপ্রেস জিনিয়াসকেই একদম বোগাস সার্ভিস দিয়ে ৪০০$ নিয়ে গেছে। আমি নিজেই ওই কাজটা ১০-মিনিটের মধ্যে সম্পন্ন করতে পারবো।
আমি মনেকরি আপনাদের এই নূন্যতম যোগ্যতা, দক্ষতা বা অভিজ্ঞতা অবশ্যই আছে।