FreelancingMake Money Online

মোবাইল দিয়ে অনলাইনে আয় করার ৫টি সহজ উপায়

মোবাইল দিয়েও এখন অনলাইনে টাকা আয় করা সম্ভব হচ্ছে এর প্রধান কারণ হলো পৃথিবী জুড়ে ব্যাপক হারে মোবাইল ব্যবহারক বেড়ে যাওয়া। আমাদের দেশও সেই দিক দিয়ে পিছিয়ে নেই । আমাদের দেশেও বর্তমানে প্রায় সবার হাতেই মোবাইর ফোন রয়েছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী বাংলাদেশের মোট ১৬কোটি জনগনের হাতে প্রায় ১৫ কোটি মোবাইল ফোন রয়েছে। এখানে বলা যায় শুধু শিশুরা বাদে সকলের হাতেই একটি করে স্মার্টফোন রয়েছে। তাহলে বুজতেই পারছেন কেন মোবাইলফোন দিয়ে কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে না।

মোবাইল দিয়ে অনলাইনে আয়

তো আজকে আমি আপনাদেরকে বলবো কিভাবে আপনারা মোবাইলফোন দিয়ে খুব সহজ উপায়ে আয় করতে পারেন এবং সাথে দিবো কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস যাতে আপনারা অন্যদের থেকে এগিয়ে থাকতে পারেন। তো আপনি যদি সত্যি মোবাইল দিয়ে আয় করতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই মনোযোগ দিয়ে পুরো পোষ্টি পড়তে হবে।

আমি আশা করি, আপনারা সবাই খুব মনোযোগ দিয়ে পুরো পোষ্টি পড়বেন।

মোবাইল দিয়ে টাকা আয় (Online earning by mobile phone)

স্মার্টফোনের ব্যবহার বেড়ে যাওয়ার সাথে সাথে বেড়ে গেছে ইন্টারনেটের ব্যবহারও এখন দেশের প্রায় সকল মানুষই কোন না কোন ভাবে ইন্টারনেট ব্যবহার করে। যার ফলশুতিতে বেড়ে গেছে নানা রকম কর্মসংস্থানের পথ ।

এখন ঘরে বসেই ইন্টারনেট ও আপনার ব্যবহারিত স্মার্টফোন ব্যবহার করেই আপনিও ইনকাম করতে পারেন হাজার হাজার টাকা। যা ইতিমধ্যেই অনেকেই সফলভাবে করছেন । আপনিও করতে পারবেন।

এরজন্য আপনাকে একটু বুদ্ধি খাটিয়ে সঠিক উপায় টা খুজে বের করতে হবে। আপনি যদি সঠিক উপায় খুজে বের করে সঠিকভাবে কাজ করে যান তাহলে আমি আপনাকে কথা দিচ্ছি আপনিও মাস শেষে হাজার হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তবে হ্যা টাকার পরিমাণ কিন্তু নির্দিষ্ট না কারণ সেটা পুরোটাই আপনার কাজের ধরণ ও আপনার সময় এবং পরিশ্রমের উপর ‍নির্ভর করবে।

তবে আমি ছোট একটা ধারনা দিতে পারি আপনি যদি পার্টটাইম কাজ করেন তাহলে আনুমানিক ৫-২০হাজার টাকা এমনকি এর চেয়ে বেশিও আয় করতে পারবেন। আর আপনি যদি ফুলটাইম কাজ করেন তাহলে তো টাকার পরিমাণটা হবে ২-৩গুণ । আবার এটাও বলে রাখি আপনি যদি সঠিক উপায় না যেনে, না বুঝে উল্টাপাল্টাভাবে কাজ শুরু করেন তাহলে দেখবেন সময়ের কাজ সময় যাচ্ছে কিন্তু টাকা আর আয় হচ্ছে না। তাই অবশ্যই খুব সর্তকতার সহিত আপনাকে ভেবে চিন্তে এগোতে হবে।

আপনি যদি আপনার মোবাইলফোন দিয়ে মাস শেষে একটি ভালো এমাউন্টের টাকা আয় করতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই নিয়মিত সময় নিয়ে পরিশ্রম করে যেতে হবে। মনে রাখবেন কেউ আপনাকে এমনি এমনি টাকা দিতে আসবে না । আপনাকে আপনার শ্রম ও পরিশ্রম দিয়ে টাকা রোজগার করে নিতে হবে। তাই অবশ্যই আপনাকে পরিশ্রম করতে হবে। আর হ্যা আমি যে এতক্ষণ মোবাইল মোবইল করে চিল্লাচ্ছি সেটা কিন্তু যে কোন মোবাইল হলে হবে না সেটা অবশ্যই স্মার্টফোন হতে হবে।

মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করার ৫ টি সহজ উপায় (Online Earning)

আমি এখন আপনাদের যে উপায় গুলো বলবো সেগুলো সব বেশ মনোযোগ দিয়ে ভালোভাবে পরবেন। তারপর আপনার কাছে যেটি সবচেয়ে ভালো এবং আপনার জন্য পারফেক্ট মনে হবে সেটাকে বেছে নিন তার পর সেই বিষয়ের উপর যতটা পারেন বিস্তারিত জ্ঞান লাভ করার চেষ্টা করুন।

১/ ইউটিউব থেকে আয় (youtube earning)

মোবাইল দিয়ে আয় করার জন্য সবচেয়ে ভালো এবং কার্যকরি একটি উপায় হলো ইউটিউব থেকে আয় । ইউাটিউব হলো বিশ্বের সবচেয়ে বড় ভিডিও শেয়ারিং ওয়েবসাইট । যেখানে প্রতিদিন লক্ষ্য লক্ষ্য ভিডিও পাবলিশ হয় । এবং অনলাইনে ইনকামের সবচেয়ে জনপ্রিয় উপায়গুলোর মধ্যে ইউটিউব অন্যতম। আর এটা যে কেউ ইচ্ছে করলেই করতে পারে।

আর এটা সাধারণ একটি স্মার্টফোন হলেই প্রোপারভাবে কাজ করা সম্ভব। এর জন্য আপনাকে সবার প্রথমে ইউটিউবে আপনার পছন্দমত নাম দিয়ে একটি ইউটিউব চ্যানেল খুলে নিতে হবে।

তারপর আপনাকে যেকোন নির্দিষ্ট একটি বিষয়ের উপর ভিডিও বানাতে হবে, অবশ্যই সেটা কারো জন্য কাজে লাগে এমন ভিডিও হতে হবে । সবাই যাতে আপনার ভিডিও বেশি বেশি দেখে এমন বিষয়ের উপর ভিডিও বানাতে হবে। যেমন আপনার ভিডিও এর টপিকগুলো হতে পারে অনেকটা এমন – ফানি ভিডিও, টেকনোলজি বিষয়ক, বিভিন্ন মোবাইল এপ রিভিউ , মোবাইল এর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সেটিং ইত্যাদি।

তারপর আপনার চ্যানেলে ভিডিও গুলো আপলোড করতে হবে। তারপর সেগুলো অনেক ভিউ হতে থাকবে । এবং অনেক মানুষ আপনার ভিডিও দেখে অনেক কিছু শিখতে পারবে যার ফলে তারা আপনার চ্যানেলটি সাবস্কাইব করে রাখবে।

কিছুদিন পরই আপনি অনেক সাকস্কাইব পেয়ে যাবেন যার ফলে আপনি যখনি আপনার ইউটিউব চ্যানেলে নতুন কোন ভিডিও ছাড়বেন তখনি আপনার সাবস্কাইবাররা অনেক দেখবে । এবং আপনার ভিডিওএর ভিউ ও ওয়াচটাউম খুব তাড়াতারি বেড়ে যাবে।

এভাবে যখন আপনার চ্যানেলের মোট ১০০০ সাবস্কাইবার ও ৪০০০ঘন্টা ওয়াচটাইম হয়ে যাবে(অবশ্যই এক বছরের মধ্যে) তখন আপনি আপনার চ্যানেলে মনিটেজেশন করতে পারবেন ও গুগল এডসেন্স এর সাথে এড করতে পারবেন যার ফলে আপনার ভিডিওতে বিভিন্ন রকম এড শো করবে এবং সেই এড দেখানোর জন্য সেই বিজ্ঞাপন দাতা কম্পানি আপনাকে টাকা দিবে। এবং এভাবেই আপনি ইউটিউব থেকে টাকা আয় করতে পারবেন।

এবং আমি এতক্ষণ যে কাজগুলোর কথা বললাম তার সব গুলো কাজই আপনি আপনার স্মার্টফোন দিয়েই পরিপূর্ণভাবে সম্পাদন করতে পারবেন। এবং খুব অনেক টাকাও আয় করতে পারবেন।

এর জন্য অবশ্যই আপনাকে সময় দিতে হবে একদিনে কোন কিছুই হবে না। ধৈর্য ধারণ করতে হবে এবং নিয়মিত মনোযোগ দিয়ে কাজ করতে হবে।

২/ ব্লগ থেকে ইনকাম (blogging)

আপনারা অনেকেই জানেন ব্লগ কি । তারপরও যদি না জানেন তাহলে ব্লগ হলো এক ধরণের ওয়েবসাইট, এইযে যে আপনারা আমার এই ওয়েবসাইটে এই আর্টিকেলটি পড়ছেন এটিই একটি ব্লগ সাইট বা ব্লগ ওয়েবসাইট। তার মানে যে ধরণের ওয়েবসাইটে আর্টিকেল বা পোষ্ট অথবা বিভিন্ন ব্লগ পাবলিশ করা হয় তাদেরকে ব্লগ ওয়েবসাইট বলে।

বাংলাদেশের কয়েকটি জনপ্রিয় ব্লগসাইট হলো: টেকটিউনস, সামওয়ারইনব্লগ ,লেখাপড়াবিডি ইত্যাদি ।

এইসাইট গুলোতে আপনারা একটু ঘুরাঘুরি করলেই আশা করি ব্লগ সাইট কি সেটা সর্ম্পূণরূপে বুজে যাবেন।

এসব সাইটগুলোতে প্রতিদিন হাজার হাজার ভিজিটর ভিজিট(যারা বিভিন্ন পোষ্ট পড়ার জন্য সাইটে প্রবেশ করে) করে থাকে নানান দরকারে , কারণ এইসব সাইট গুলোতে মানুষের প্রয়োজনীয় নানা বিষয়ের উপর লেখে রেখেছে। যা প্রতিদিনই কোন না কোন মানুষের দরকার হয় । এবং নিয়মিত ভালো ভালো নতুন নতুন টপিক নিয়ে ব্লগ লিখে যাচ্ছে। যার ফলে তাদের সাইটগুলোর জনপ্রিয়তা দিন দিন বেড়েই চলেছে।

এবং এদের জনপ্রিয়তা বাড়ার ফলে তাদের সাইটে তারা নানান ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচার করার সুযোগ পাচ্ছে । ব্লগে বিজ্ঞাপন দেওয়ার জন্য অসংখ্য বিজ্ঞাপন দাতা ওয়েবসাইট রয়েছে যেখান থেকে যে কেউ তাদের নিজস্ব ওয়েবসাইটের জন্য বিজ্ঞাপন নিতে পারেন। এদের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় ও বিশ্বস্ত হলো গুগল এডসেন্স । বিশ্বের বেশিরভাগ ওয়েবসাইট বিজ্ঞাপনের জন্য গুগল এডসেন্সকে বেছে নিয়েছে।

গুগলএডসেন্স যখন ব্লগে শো করানো হয় তখন সেই ব্লগের ভিজিটররা সেই বিজ্ঞাপন দেখে থাকে এবং সেইসব বিজ্ঞাপনে ক্লিক করে যার ফলে গুগল এডসেন্স সেইসব ওয়েবসাইট মালিকদেরকে টাকা দিয়ে থাকেন।

এখানে উল্লেখ্য যে যেই সাইটে যত বেশি মানুষ প্রবেশ করবে অর্থাৎ যত বেশি ভিজিটর প্রবেশ করবে সেই সাইটে তত বেশি বিজ্ঞাপন ক্লিক পরার সম্ভাবনা থাকবে আর যত বেশি ক্লিক পরবে তত বেশি টাকা আয় হবে এটাই নিয়ম।

বাংলাদেশে কিছু জনপ্রিয় ব্লগসাইট তারা মাসিক কি পরিমান আয় করে সেই সর্ম্পকে একটু ধারণা

১ / টেকটিউনসঃ এটা একটা টেকনোলজি বিষয়ক ব্লগসাইট। টেকটিউনস এর মাসিক ভিজিটর সংখ্যা প্রায় ২৩৩৩৪০ এবং তারা মাসিক প্রায় ৫৫৯$ ডলার আয় করে যা বাংলা টাকায় প্রায় ৪৪৭২০ টাকা। এবং এদের বছরে আয় হয় প্রায় ৬৭৯৯$ ডলার যা বাংলা টাকায় প্রায় ৫৪৩৯২০ টাকা।

২/ সামওয়ারইনব্লগঃ এটিও একটি টেকনোলজি বিষয়ক ব্লগসাইট। এটিও বাংলাদেশে বেশ জনপ্রিয় একটি ব্লগ। সামওয়ারইনব্লগ এর মাসিক ভিজিটর সংখ্যা ৩৮৫৮৩০ এবং এদের মাসিক আয় প্রায় ১০২১$ ডলার যা বাংলা টাকায় প্রায় ৮১৬৮০টাকা। এবং বাস্যরিক এদের ইনকাম হলো প্রায় ১২৪১৭$ ডলার যা বাংলা টাকায় প্রায় ৯৯২৯৬০টাকা।

৩/লেখাপড়াবিডিঃ এটি একটি শিক্ষা বিষয়ক ব্লগসাইট। এই সাইটও বাংলাদেশে বেশ জনপ্রিয় । এর মাসিক ভিজিটর সংখ্যা প্রায় ৩১৬৪৪০ এবং এর মাসিক আয় প্রায় ৬৬০$ ডলার যা বাংলা টাকায় প্রায় ৫২৮০০ টাকা। এবং এর বাস্যরিক আয় প্রায় ৮০৩৪ $ ডলার যা বাংলা টাকায় প্রায় ৬৪২৭২০ টাকা

এখন নিশ্চই বুজতে পারছেন যে একটি ব্লগ সাইট থেকে কি পরিমান আয় করা যায় আর সেটা যদি হয় ইংরেজিতে তাহলে তো কোন কথাই নেই তাহলে ইনকাম হবে আরও দুই থেকে তিনগুণ বেশি। কারণ ইংরেজি সাইট হলে আপনার ভিজিটর বেশিরভাগ হবে ইউরোপ আমেরিকার দিকের আর সেখানকার বিজ্ঞাপনের দাম ও সিপিসি আমাদের এইদিকের তুলণায় অনেক বেশি তাই কম ভিজিটরে ইংরেজি ব্লগে বেশি আয় হয়।

আপনার করণীয় এবং কিভাবে একটি ব্লগ সাইট তৈরি করবেন।

এখন কথা হলো আপনি ও ইচ্ছে করলেই নিজের নামে একটি ব্লগ সাইট তৈরি করে ফেলতে পারেন। তারপর আপনি আপনার ব্লগে আপনার যানা একটি বিষয়ের উপর লেখালেখি করতে পারেন এবং বেশি বেশি শেয়ারের মাধ্যমে আপনার ব্লগে ভিজিটর নিয়ে আসতে পারেন। কিন্তু এর জন্য আপনাকে অবশ্যই অনেক বেশি ধৈর্য্য ধারণ করতে হবে। এবং নিয়মিত আপনার সাইটে বেশি বেশি নতুন নতুন বিষয়ের উপর লেখালেখি করে যেতে হবে।

এটা আপনার জন্য একটা লাইভটাইম আয়ের উৎস হতে পারে যদি আপনি আপনার সাইটাকে প্রথম দিকে একটু কষ্ট করে ভালো ভালো কিছু পোষ্ট এবং বেশি বেশি শেয়ারে মাধ্যমে ভালো পরিমাণের ভিজিটর নিয়ে আসতে পারেন।

আর এখন একটি ব্লগসাইট তৈরি করা কোন কঠিন বিষয়ই না । যে কেউ ইচ্ছে করলেই সর্ম্পূণ ফ্রিতেও ওয়েবসাইট তৈরি করে ফেলতে পারে । যদিও বা আপনি যদি লাইভটাইম সার্পোট চান তাহলে কিনে নেওয়াটাই ভালো। কিন্তু প্রথমে ফ্রি দিয়েই শুরু করতে পারেন।

আর একটি ব্লগসাইট তৈরি করা থেকে শুরু করে সাইটের যাবতীয় কাজই এখন একটি মোবাইলফোনের মাধ্যেমেই করা সম্ভব।

আপনি ইচ্ছে করলেই আপনার মোবইলফোন দিয়ে মাত্র ১০ মিনিটেই একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে আজ থেকেই কাজে লেগে পরতে পারেন। ওয়েবসাইট তৈরি কারার জন্য ওয়ার্ডপ্রেস , ব্লগার হতে পারে সঠিক সমাধান।

কোন রকম প্রশ্ন কিংবা কোন রকম সমস্যা থাকলে নিচে কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করতে পারেন আমরা আমাদের সাধ্যমত সাহায্য করার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ।

আর্টিকেল লিখে আয় (Atricle writing)

আমরা সকলেই জানি আর্টিকেল কি। ওয়েবসাইটে যে কোন ধরণেল প্রারাগ্রাফকেই আর্টিকেল বলে ।

আপনি যদি ভালো লেখালেখি করতে পারেন আপনার লেখার হাত যদি ভালো হয় । আপনি যে কোন একটা বিষয়ে খুব ভালো করে গুছিয়ে লিখতে পারেন । এবং আপনি যদি ভালো ইংরেজি যানেন তাহলে আপনার কাজের কোন অভাব হবে না।

কারণ বিশ্বের অনেক মানুষ আছে যারা যাদের ওয়েবসাইটে লেখা পাবলিশ করার জন্য ভালোভাবে লেখতে পারে না কিংবা তাদের সময় হয়ে উঠে না লেখালেখি করার মত তারা এমন মানুষ খুজে যারা কিনা টাকার বিনিময়ে তাদের ওয়েবসাইটে আর্টিকেল লিখে দিবে।

তো আপনিও হতে পারেন এমনি একজন লেখক । আপনিও লিখে দিতে পারেন বিশ্বের বিভিন্ন মানুষের ওয়েবসাইটে আর্টিকেল এবং মাস শেষে একটা ভালো এমাউন্ট এর টাকা আয় করতে পারেন ।

এখনও পর্যন্ত যে কয়টি আয়ের উপায় বলেছি সে সবগুলো উপায়ের চেয়ে আর্টিকেল লেখার কাজ তুলনামূলক সহজ ও অনেক কম সময়েই সফল হওয়া যায়। শুধু আপনাকে ইংরেজিতে একটু দক্ষ হতে হবে। তাহলেই আপনি এ কাজটি বেশ সাছন্দে করতে পারবেন।

আর্টিকেল লিখেও অনেকে অনেক টাকা আয় করে চলেছে।

সাধারণত বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস গুলোতে এই আর্টিকেল লেখার কাজ পাওয়া যায় । আর্টিকেল লেখার কাজ পাওয়ার জন্য বিভিন্ন মার্কেটরপ্লেস রয়েছে তার মধ্যে সেরা হলো আপওয়ার্ক

ইচ্ছে করলে যে কেউ এই মার্কেটপ্লেসে একাউন্ট তৈরি করে কাজে লেগে পরতে পারেন।

সাধারণত ১০০০ওয়ার্ড এর একটি আর্টিকেল লেখার জন্য আপনাকে তারা ৫-২০ডলার পর্যন্ত দিবে। আর ও বিভিন্ন সাইজের আর্টিকেল লেখার আফার পেতে পারেন আপনি।

আর এই আর্টিকেল লেখার কাজ আপনি যে কোন মোবাইল দিয়ে বেশ সাছন্দে করতে পারবেন।

বিভিন্ন মেবাইল এপ থেকে আয় (Android App)

বর্তমানে বিভিন্ন এন্ড্রয়েড মোবাইল এপ এর মাধ্যমেও আয় করা যায়। যদিও আয়ের পরিমাণটা খুবই সামান্য কিন্তু আপনি যদি নিয়মিত কাজ করে যান তাহলে মাসিক ভাবে যদি আপনি হিসাব করেন তাহলে মুটামুটি আয়ের পরিমাণটা কিন্তু খারাপ হয় না। কারণ যে সময়ে আপনি গেম খেলতেন বা ফেসবুকে সময় নষ্ট করতেন সেই সময়টিতে এই এপ থেকে কাজ করে কিছু আয় করাই ভালো।

অসংখ্য এন্ড্রয়েড মোবাইল এপ রয়েছে আয় করার জন্য যেগুলো আপনি আপনার মোবাইল এ play store এ গিয়ে সার্চ করলেই পাবেন।

আপনি ইচ্ছে করলে একাধিক এপ এ কাজ করতে পারেন এতে আপনার আয়ের পরিমাণ বেড়ে যাবে। আর এই সব গুলো এপই চায় তাদের এপটা অনেক বেশি মানুষ ব্যবহার করুক যার জন্য তারা রিফারেন্স দিয়ে আয় বৃদ্ধি করার একটা সুযোগ দিয়ে থাকে।

আপনার রিফারেন্স দিয়ে যদি কেউ সেই এপ এ একাউন্ট করে তাহলে সে যে কয় টাকা আয় করবে তার কিছু অংশ আপনার একাউন্ট এ ও জমা হবে ।

এভাবে যদি আপনি আপনার অনেক বন্ধুকে আপনার রিফারেন্স দিয়ে সেই এপে একাউন্ট করে দেন তাহলে তারা সবাই যে টাকা আয় করবে তার থেকে কিছু কিছৃ আপনার একাইন্ট এও জমা হতে থাকবে এবং আপনি মাস শেষে খুব ভালো এমাউন্টের টাকা আয় করতে পারবেন।

তবে হ্যা আপনি যদি এটাকে আপনার লাইভটাইম ইনকাম হিসেবে নিতে চান তাহলে আপনার জন্য এটা হবে একটা ভূল সিদ্ধান্ত ।

কারণ যেকোন সময় আপনার এই কাজ বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এই কাজের কোন গ্যারান্টি নাই।

তাই আপনি যদি আপনার ক্যারিয়ারটাকে কাজে লাগাতে চান তাহলে এই কাজটা না করাই ভালো। আপনি যেই সময়ে এই এপ এর পিছে ব্যয় করবেন সেই সময়ে যদি আপনি একটি ভালো কাজ করেন যেমন একটি ইউটিউব চ্যানেল দাড় করান কিংবা একটি ব্লগসাইট দাড় করালেন। আর একবার যদি আপনি এর যে কোন একটিও করতে পারেন তাহলে আপনার আর পিছনে তাকাতে হবে না।

আপনার লাউভ চলে যাবে সেটা দিয়ে কিন্তু এই এপ এর কাজ করে তা সম্বব না কোন ভাবেই।

তবে এসব কাজের পাশাপাশি আপনি বিভিন্ন এপ এ কাজ করতেই পারেন কিন্তু শুধু এপ এর উপর ভরসা করাটা কিন্তু মোটেও উচিত হবে না ।

ফেসবুক থেকে আয়/ইনকাম (Facebook erning)

আপনি ইচ্ছে করলে এখন ফেসবুক থেকে ও ইনকাম করতে পারেন । ফেসবুকে ইনকামের অনেক উপায় আছে তার মধ্যে একটি হলো ফেসবুক পেজ ও ফেসবুক গ্রুপ জনপ্রিয় করে সেখান থেকে ইনকাম।

এর জন্য আপনাকে একটি ফেসবুক গ্রুপ বা একটি পেজ খুলতে হবে তারপর আপনাকে সেই পেজ বা গ্রুপকে অনেক জনপ্রিয় করে তুলতে হবে। এবং পেজের ফলোয়ার সংখ্যা বাড়াতে হবে। আপনি যখন আপনার পেজটিকে অনেক জনপ্রিয় করে তুলতে পারবেন। তখন আপনি আপনার পেজে বিভিন্ন লোকাল বিজ্ঞাপন দিতে পারবেন।

এমনকি আপনি আপনার নিজের পণ্যের বিজ্ঞাপন পোষ্ট আকারে দিতে পারবেন। এর ফলে আপনি নিজেও একটি ছোটখাত ব্যবসা দাড় করে ফেলতে পারবেন।

এমনকি আপনি ইচ্ছে করলে ইউটিউবের মত ফেসবুকে ও ভিডিও তৈরি করেও আয় করতে পারেন। এর জন্য আপনাকে শুধু ফেসবুকের নিয়ম মেনে ভিডিও বানাতে হবে। এবং সেই ভিডিও আপনি আপনার পেজে আপলোড করে দিবেন তারপর আপেনার সেই ভিডিওতে মনিটাইজেশন করতে হবে।

মনিটাইজেশন করার ফলে আপনার ভিডওেতে এড শো করবে এবং সেই এড এর জন্য আপনার ইনকাম হবে।

কার জন্য কোনটা ভালো হবে

এখানে যে কাজ গুলোর কথা উল্লেখ করলাম সেই কাজ গুলো আসলে কোন ফুলটাইম জব না। এসব কাজগুলো সাধারণত আপনার প্রত্যাহিক কাজের ফাকে ফাকে করতে পারেন আপনার হাতে থাকা মোবাইল ফোনটি দিয়েই।

তবে অবশ্যই আপনি ইচ্ছে করলে ফুল টাইম জব হিসেবে ও নিতে পারেন। এতে আপনার সফল হওয়ার সম্ভাবনা অনেকে বেড়ে যাবে।

কিন্তু মূলত এই কাজগুলোকে পার্টটাইম হিসেবেই ধরা হয়।

আপনারা যারা যারা স্টুডেন্ট আছেন তারা সবাই চাইলে আপনার ইচ্ছে মত যে কোনটাই করতে পারেন ।

তবে আমাকে যদি কিছু একটা বলতে বলেন তাহলে আমি ইউটিউব থেকে আয় করার কথাটাই বলবো।

আর যারা ইংরেজিতে দক্ষ তারা ওয়েবসাইট ও আর্টিকেল লেখার কাজটা বেছে নিতে পারেন। তাদের জন্য এটা সবচেয়ে ভালো হবে।

আর যারা একটু কম পরিশ্রমী বেশি কষ্ট করতে চান না কিন্তু আপনার সময়টাকে সামান্য পরিমান হলেও কাজে লাগাতে চান তারা ফেসবুকে পেজ খুলে ও মোবাইল এপ এর মাধম্যেই আয় করার চেষ্টা করতে পারেন।

সর্বশেষে

আপনি যে কাজই করেন না কেন। আপনাকে অবশ্যই মনোযোগ দিযে কাজ করতে হবে। এবং নিয়মতি পরিশ্রম করে যেতে হবে মাঝেমধ্যে টাকা পয়সা ইনভেস্ট করাও লাগতে পারে।

তাই অবশ্যই বুঝে শুনে তারপর কাজ করবেন। উল্টাপাল্ট কাজে টাকা ইনভেষ্ট করবেন না।

আর কোন বিষয়ে সমস্যা হলে অবশ্যই আমাদেরকে জানাতে ভূলবেন না। আমরা আমাদের সাধ্য মত আপনাকে সাহায্য করাার চেষ্টা করবো।

Law Giant

A lawyer is a 'legal practitioner' who is an advocate, barrister, attorney, solicitor or legal adviser. Lawyers work primarily to solve the legal problems of individuals or organizations through the practical application of theoretical aspects of the law.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button