FreelancingMake Money Online

পড়াশোনার পাশাপাশি যে ৬টা স্কিল ডেভেলপ করতে হবে

পড়াশোনার পাশাপাশি যে ৬টা স্কিল বা দক্ষতা অবশ্যই ডেভেলপ করতে হবে। আজকে আমরা জানবো প্রত্যেকটি শিক্ষার্থী 6 টি উল্লেখযোগ্য স্কিল ডেভেলপমেন্ট যা পড়াশোনার পাশাপাশি করলে উপকৃত হবে।

টাইপিং দক্ষতা

যে কোন স্টুডেন্টের টাইপিং জানাটা অত্যন্ত জরুরী একটি বিষয় । হতে পারে সেটা মোবাইলে কিংবা কম্পিউটারে তবে কম্পিউটারের হলে সবচেয়ে ভালো হয় কারণ টাইপিং বলতে এখনো পর্যন্ত মূলত আমরা কম্পিউটারের টাইপিংকেই বুঝে থাকি। আপনি যদি টাইপিংয়ে দক্ষ হয়ে থাকেন তাহলে দেখবেন আপনার লাইফটা অনেকটা সহজ হয়ে যাবে । এবং এটা বলার মত একটা স্কিলও বটে, কারণ অনেক কম্পানিই এখন শুধু মাত্র টাইপিং স্পিডের উপর নির্ভর করে জব সার্কুলার দিয়ে থাকে । এমনকি সরকারি অনেক চাকুরিতে প্রধান স্কিল হিসেবে শুধু মাত্র টাইপিং স্পিডটাই মেটার করে।

তাই এই স্কিলটি ডেভেলপ করতে পারলে আপনি যে কোন সময় যে কোন কম্পানিতে ছোট খাত একটি জবও পেয়ে যেতে পারেন অন্যান্য আরো হাজারও সুবিধা তো রয়েছেই। বেশিরভাগ সময়ই আমাদের সামান্য একটু ঘাফলতির কারণেই মূলত টাইপিং স্কিলটা আমাদের ডেভেলপ করা হয়ে উঠে না । আবার এমনও অনেকে রয়েছে যাদের বাসায় কম্পিউটার থাকার পরও টাইপিংয়ে তাদের স্কিল শূন্য।

টাইপিং শেখাটা মাত্র এক সপ্তাহেরও ব্যাপার না। আপনি যদি মন থেকে চান এবং প্রথম ২-৩দিন একটু ধের্য্য নিয়ে চেষ্টা করে যান তাহলে দেখবেন এক সপ্তাহ পরেই আপনার টাইপিং স্পিড অনেকটা লক্ষণীয় । আরো সুবিধা হয় যদি টাইপিং মাস্টার নামক একটি ফ্রি সফটওয়্যার আপনার কম্পিউটারে ইনিস্টল করে নেন।

ভাষার দক্ষতা

স্টুডেন্ট লাইফ থেকেই বেশ কয়েকটি ভাষায় দক্ষতা অর্জন করে নেওয়া অত্যন্ত জরুরী। আমরা যেহুতু বাঙালী তাই খুব স্বাভাবিক যে আমাদের ইতিপূর্বেই একটি ভাষায় দক্ষতা রয়েছে যেটি হলো বাংলা। তবে আমাদের পেশাগত লাইফে শুধু মাত্র বাংলা ভাষাটি যথেষ্ট নাও হতে পারে । কারণ আমরা জানি সারা পৃথিবীতে মাত্র ৩০ কোটি মানুষের ভাষা বাংলা। তাই আপনাকে এমন কয়েকেটি ভাষায় দক্ষতা অর্জন করতে হবে যে গুলো সারা পৃথিবী ব্যাপি বিস্তৃত। আপনার পক্ষে যদি দুইয়ের অধিক ভাষা শেখা সম্ভব নাও হয় তাহলে কমপক্ষে ইংরেজি ভাষাটা মুটামুটি ভালোভাবে দক্ষ হয়ে উঠুন। আর এটা স্টুডেন্ট লাইফে করা সবচেয়ে সহজ। কারণ স্টুডেন্ট লাইফে অনেক বেশি সময় থাকে ।

মাইক্রোসফট অফিসে বেসিক দক্ষতা

আপনারা হয়ত অনেকেই মাইক্রোসফট অফিস সম্পর্কে কিছুটা জানেন ।

এটি একটি সফটওয়্যার প্যাকেজ যেখানে অনেক গুলো সফটওয়্যার রয়েছে। যেমন:- মাইক্রাসফট অফিস, এক্সেল, পাওয়ার পয়েন্ট, এক্সেস ইত্যাদি এছাড়াও আরো অনেক গুলো সফটওয়্যার বিদ্যমান যা দিয়ে বিভিন্ন ধরনের কার্য সম্পাদন করা সম্ভব। সবগুলো আপাতত না শিখলেও চলবে। তবে আমি যে কয়েকটার নাম উল্লেখ করে দিয়েছি সেই গুলো এডভান্স না পারলেও বেসিক ধারণা অবশ্যই থাকতে হবে।

আর এখানে যে সফটওয়্যার গুলো কথা বলেছি যে গুলো নিয়ে ইউটিউবে, গুগলে ফ্রি টিউটোরিয়ালের কোন অভাব নাই। একটি সফটওয়্যার নিয়ে একদিন সময় নিয়ে বসলেই আমার মনে হয় মুটামুটি বেসিক লেভেলে ধারনা হয়ে যাওয়ার কথা। এর পর আপনার সময় মত আরো কিছুটা অডভান্স ধারনা নিয়ে নিলেন । তবে যাদের কম্পিউটার নেই তারা বন্ধুর সাহায্য ‍নিতে পারেন অথবা কোন কোচিং সেন্টারে বেসিক কম্পিউটার টেনিং কোর্সে ভতির্ হয়ে যেতে পারেন।

ফটোশপে দক্ষতা

বর্তমান সময়ে এসেও যদি আপনি ফটেশপের নাম না শুনে থাকেন তাহলে আপনাকে মানতেই হযে যে আপনি অনেক পিছিয়ে আছেন। ফটোশপ হলো ফটো এডিটিংয়ের জন্য এক ধরনের সফটওয়্যার । যা ব্যবহার করে যেমন কোন ছবি এডিট করা যায় ঠিক তেমন এটি ব্যবহার করে বিভিন্ন প্রয়োজনীয় জিনিস তৈরি করাও যায় যেমন :- বিজনেস কার্ড, পোস্টার, লগো , লিফলেট, ইত্যাদির পাশাপাশি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ডিজাইনও করা যায় এই সফওয়্যারটির মাধ্যমে।

তাই বর্তমান সময়ে অত্যন্ত ব্যবহৃত একটি সফওয়্যার হলো এই ফটোশপ । তাই যে কারোর জন্যই ফটোশপের বেসিক স্কিল জানাটাও অত্যন্ত জরুরী একটি বিষয় । আপনি যদি ফটোশপের উপর এডভান্স স্কিল ডেভেলপ করতে পারেন এবং আপনার কাজকর্ম যদি কিছুটা ক্রিটিভ হয় তাহলে আপনি শুধু ফটোশপ ব্যবহার করেই অনেক ভালো জব অফার পাবেন। তবে তার জন্য আপনাকে ফটোশপের উপর মুটামুটি ভালোই সময় ইনভেস্ট করতে হবে।

ই-মেইল করা

বর্তমান যুগ ইন্টারনেটের যুগ। এখন প্রায় সকল প্রতিষ্ঠানই তাদের কমিউনিকেশনকে ইন্টারনেট ভিত্তিক নিয়ে গিয়েছেন আর ইন্টারনেটে যোগাযোগের অন্যতম জনপ্রিয় একটি মাধ্যম হলো ই-মেইল। বিশেষ করে কমাশিয়াল সকল যোগাযোগের জন্য ই-মেইলের ব্যবহার প্রায় শতভাগ। তাই আপনাকে ই-মেইল করাটাতো জানতেই হবে সাথে অবশ্যই কিভাবে একটি পরিপূর্ণ ইমেল লিখতে হয়ে সেটাও জানতে হবে খুব ভালোভাবে।

এই স্কিলটা ডেভেলপ করতে চাইলে ইন্টারনেটে বেশ কিছু আটির্কেল রয়েছে যেগুলো দেখে নিতে পারেন ।

করতে ভালো লাগে এমন একটি কাজে দক্ষতা অর্জন করুন

আপনাকে যদি জিজ্ঞেস করা হয় যে আপনার অবসর সময় কাটে কিভাবে। হয়ত বেশির ভাগেরই উত্তরটা হবে টিভি দেখে , ইউটিউবে গান, নাটক সিনেমা, হাইলাইস দেখে কিংবা ফেসবুকে স্ক্রল করে। তবে এগুলো কি কোন দক্ষতা হতে পারে? আজ পর্যন্ত কোথাও দেখেছেন যে, কোন কম্পানি জব সার্কুলার দিয়েছে এই বিষয়গুলোর উপর। তবে বিনোদনের জন্য আমরা এগুলো দেখতেই পারি তবে সেটাও একটা পরিমাণ রয়েছে আমরা এখন এমন করে ফেলি যে বিনোদন নিতে নিতেও বিরক্ত হয়ে যাই।

মানুষ সাধারণত কাজ করতে করতে বিরক্ত বোধ করলে বিনোদন মূলক কিছু করে বা দেখে বিনোদন নেয় কিন্তু আমরা যারা বিনোদন নিতে নিতে বিরক্ত তারা কি করবে।

তাই এমন কিছু ভালো লাগা মুলক কাজ করতে হবে যেগুলোর মাধ্যমে আপনার একটা স্কিল ডেভেলপ হবে। যেমন : নাচ করা, গান করা, ছবি আকা, কারাতে করা, ফটো ইডিট করা, ভিডিও ইডিট করা, ওয়েব ডিজাইন করা, লেখালেখি করা ইত্যাদি এমন আরো অসংখ্য কাজ রয়েছে যে গুলো আপনার ভালো লাগার মত কাজ হতেই পারে যা আপনারা অবসর সময় পেলেই করতে পারেন এতে আপনার যেমন একটি স্কিল ডেভেলপ হবে সাথে আপনার অবসরটাও কাটবে আনন্দে। আর আপনার ভালো লাগার বিষয়টা যদি আপনি খুব ভালোভাবে আয়েত্তে নিয়ে আসতে পারেন দেখবেন আপনার ক্যারিয়ারটাও অনেকটা সহজ হয়ে যাবে।

Law Giant

A lawyer is a 'legal practitioner' who is an advocate, barrister, attorney, solicitor or legal adviser. Lawyers work primarily to solve the legal problems of individuals or organizations through the practical application of theoretical aspects of the law.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button