Health

অতিরিক্ত ঘাম থেকে কিভাবে সুরক্ষিত থাকা যায়?

লাল চা, অতিরিক্ত ঘাম কমাতে লাল চা বেশ কার্যকারী। লাল চা’য়ে থাকা ট্যানিক অ্যাসিড ঘাম প্রতিরোধ করতে পারে। এছাড়া লাল চা ঘাম গ্রন্থি সংকোচন করে অতিরিক্ত ঘামানোর হাত থেকে শরীরকে রক্ষা করে। পাশাপাশি শরীরের দুর্গন্ধ সৃষ্টিকারী জীবাণু ধ্বংস করতেও লাল চা সমান কার্যকারী।
তিন থেকে চার কাপ গরম পানিতে একটি বা দুইটি টি-ব্যাগ ভিজিয়ে ১০ মিনিট রেখে দিতে হবে। তারপর ওই পানিতে পরিষ্কার কাপড় ভিজিয়ে বগল ও গলায় লাগাতে হবে। তাছাড়া হাত ও পায়ের ঘাম নিয়ন্ত্রণ করতে একই পদ্ধতিতে ২০ থেকে ৩০ মিনিট হাত ও পা পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে, সেক্ষেত্রে পানির পরিমাণ বাড়িয়ে নিতে হবে। সপ্তাহে একদিন এই পদ্ধতি ব্যবহার করা যাবে এবং প্রতিদিন দুই থেকে তিনকাপ লাল চা পান করলে ভালো ফল পাওয়া যাবে।

অতিরিক্ত ঘাম থেকে কিভাবে সুরক্ষিত থাকা যায়?

বেকিং সোডাও শরীরকে অতিরিক্ত ঘামের হাত থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। বেকিং সোডা প্রাকৃতিক ভাবে শরীরের ঘাম শোষণ করে ও দুর্গন্ধ কমায়। এছাড়া শরীরের যে অংশ বেশি ঘামে সেখানের পিএইচ লেভেলের মাত্রা কমাতেও বেকিং সোডা সাহায্য করে। পরিমাণমতো পানির সঙ্গে ১ টেবিল-চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করে নিতে হবে।
তারপর এই পেস্টের সঙ্গে পছন্দমতো তিন থেকে চার ফোঁটা সুগন্ধী তেল মিশিয়ে নিয়ে বগলে এবং যে সব জায়গা বেশি ঘামে সেসব জায়গায় লাগিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেললে উপকার পাওয়া যাবে। পেস্টটি সপ্তাহে কয়েকবার ব্যবহার করা যাবে। এছাড়া বেকিং সোডা ও কর্ন ফ্লাওয়ার একসঙ্গে সমপরিমাণে মিশিয়ে একটি বোতলে সংরক্ষণ করা যায়। তারপর বেশি ঘাম হওয়া স্থানগুলোতে প্রয়োজনমতো এই মিশ্রণ ব্যবহার করা যাবে
নারিকেল তেল, এই তেলে আছে লরিক এসিড যা দুর্গন্ধের জন্য দায়ী জীবাণু ধ্বংস করতে সাহায্য করে। এছাড়া নারিকেল তেলের হালকা সুগন্ধ শরীরকে সারাদিন সজীব রাখতে সাহায্য করবে। খানিকটা নারিকেল তেল এবং শিয়া বাটার একসঙ্গে নিয়ে মাইক্রোওয়েভে এক মিনিট গরম করতে হবে। এরপর মিশ্রণের সঙ্গে ৩ টেবিল-চামচ বেকিং সোডা ও ২ টেবিলচাম অ্যারারুট পাউডার দিয়ে সঙ্গে কয়েক ফোঁটা সুগন্ধী তেল মিশিয়ে সংরক্ষণ করতে হবে। এই মিশ্রণ ডিওডরেন্ট হিসেবে ব্যবহার করা যায়।
*সারাদিন বেশি পানি পান করতে হবে। এতে শরীরের তাপমাত্রা ঠিক থাকবে। গোসলের সময় ‘অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল’ সাবান ব্যবহার করতে হবে। নাইলন ও পলিয়েস্টার কাপড়ের পোশাক ঘাম শোষণ না করে উল্টো ঘাম আটকে রাখে। তাই সহজেই ঘাম শুষে নেয় এমন কাপড়, যেমন: সুতি ও সিল্কের তৈরি পোশাক পরতে হবে। ডিওডরেন্ট বা অন্য ঘাম প্রতিরোধক লাগানোর সময় শরীর ঠিকভাবে শুকিয়ে নিতে হবে।
মসলাযুক্ত খাবার ঘামের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। তাই মসলাযুক্ত খাবার এড়িয়ে যেতে হবে। মাথার ত্বককে ঘাম থেকে রক্ষা করতে ‘ড্রাই’ শ্যাম্পু ব্যবহার করা যেতে পারে। ধূমপান, অ্যালকোহল ও ক্যাফেইন নিলে স্বাভাবিকের চেয়ে শরীর ঘামে বেশি। তাই যতটা সম্ভব এসব পরিহার করতে হবে। অতিরিক্ত ঘামের জন্য দায়ী বাড়তি ওজন।
তাই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। মানসিক চাপ কমানোর চেষ্টা করতে হবে। কারণ মানসিক চাপ অতিরিক্ত ঘাম হওয়ার অন্যতম কারণ। পানি সমৃদ্ধ তাজা ফল ও শাক-সবজি প্রচুর পরিমাণে খেতে হবে। এছাড়া বুকে ব্যাথা, দ্রুত হৃদস্পন্দন, নিঃশ্বাস নিতে সমস্যা বা হঠাৎ ওজন কমে যাওয়ার কারণে অতিরিক্ত ঘাম হলে, সময় নষ্ট না করে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

Law Giant

A lawyer is a 'legal practitioner' who is an advocate, barrister, attorney, solicitor or legal adviser. Lawyers work primarily to solve the legal problems of individuals or organizations through the practical application of theoretical aspects of the law.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button