Information

গবেষকরা বলছেন ভিডিওগেমস ব্রেইনের অনেক উন্নতি ঘটায়! সত্যিই কি তাই?

গবেষকরা বলছেন ভিডিওগেমস ব্রেইনের অনেক উন্নতি ঘটায়! সত্যিই কি তাই? ফেসবুকে আমরা শুনতে পাই বিভিন্ন গেমিং গ্রুপ এবং গেমাররা এসব প্রচার করে থাকে। যেমন ভিডিও গেমস, মোবাইল গেমস ব্রেনের অনেক উন্নতি করে। তার মধ্যে দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং মনোযোগ বৃদ্ধি ইত্যাদি বৃদ্ধি পায়।

শুধু তাই নয় কেউ যদি ডিপ্রেশনে থাক সে যদি ভিডিও গেমস খেলে তাহলে তার ডিপ্রেশন কাটিয়ে উঠতে পারে। কিন্তু সত্যি হলো আপনি ডিপ্রেশনে থাকা অবস্থায় যতক্ষণ গেম খেলবেন ততক্ষন আপনার গেমের প্রতি মনোযোগ থাকবে। যখন গেম খেলা শেষ করবেন তখন আপনার মন আবার আগের মত হয়ে যাবে। অর্থাৎ আপনি আবার ডিপ্রেশনে পড়েযাবেন। ভিডিওগেমস মনোযোগ এতোই বৃদ্ধি করছে যে, পড়তে বসলেও গেমের কথায় মনে হবে আপনার।

ভিডিওগেমস ব্রেইনের অনেক উন্নতি ঘটায়?

ভিডিও গেইমের যতগুলো পজিটিভ দিক আছে তার চাইতে হাজারগুন বেশী নেগেটিভ দিক রয়েছে। এখন এই গভেষক কারা? হয়তো ভিডিও গেইম প্রতিষ্ঠানের কোনো একদল মার্কেটিং ডেভেলপার! এ ছাড়া আর কেউ না।ভিডিওগেমস চোখের বারোটা বাজিয়ে দেয়। হতাশা কমবে ভিডিও গেইম খেলে? এটা জাষ্ট জোক্স ছাড়া আর কিছু না।

তবে এডিকশন গেমগুলো এই লিস্টের বাইরে থাকবে। যেমন, পাবজি, ফ্রি ফায়ার ইত্যাদি। আর কেউ যখন ডিপ্রেশনে থাকে তখন সেই ডিপ্রেশন দূর করতে তার নিজের মধ্যে একটা পরিবর্তনের দরকার হয়। সেই পরিবর্তনটা যেকোনো ভাবেই হতে পারে শুধু গেম খেলে নয়। তাই এখানে গেমকে স্পেসিফিকভাবে ক্রেডিট দেওয়ার কোনো মানে হয় না।

ভিডিও গেইমের ক্ষতিকর দিকগুলো:

  1. গেমে কেনাকাটা
  2. অপরিচিত বন্ধু
  3. পরিবারকে সময় না দেওয়া
  4. কারো সঙ্গে মিশতে না পারা
  5. ঘুম না পারা
  6. খাওয়া-দাওয়ায় অনিয়ম
  7. মেজাজ খিটমিটে
  8. বাবা মায়ের অবাধ্য
ডিপ্রেশন কাটাতে মানুষ গান শোনে। এরপর ডিপ্রেশন দূর হয় ঠিকই। তবে সেটা হয় আত্মহত্যার মাধ্যমে। সুতরাং গান শুনলে, গেম খেললে ডিপ্রেশন কাটে এসব সায়েন্স আর সামনে আনবেন না দয়া করে।
একটা গবেষণা এতটা সহজ না যতটা আজকাল ফেসবুকে দেখা যায়। এর অনেকগুলা ধাপ আছে আর সময়সাপেক্ষ। কিন্তু ফেসবুকে ব্যাপারটাকে একবারে সস্তা বানিয়ে দিচ্ছে। যার যার ইচ্ছা মত বয়ান দিচ্ছে- “গবেষণায় প্রমাণিত-হেন তেন”। তাই এইসবে কান না দেয়াই ভালো।

ভিডিওগেমস সম্পর্কে সঠিক গবেষণা তথ্যাবলী:

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. নাসরিন ওয়াদুদ বিবিসিকে বলেন, “প্রতিনিয়ত এসব ভিডিও গেম খেললে শরীরে এক ধরণের হরমোন নি:সরণ হয়। এতে শিশু সব কিছু নিয়েই উত্তেজিত হয়ে পড়ে। বাবা মায়ের অবাধ্য হয়ে যায়। মেজাজ খিটমিটে হয়ে যায়।”
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আন্তর্জাতিক রোগ শ্রেণীকরণ সংক্রান্ত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, গেমিংয়ে আসক্ত ব্যক্তি মূলত অন্য সব কিছুর প্রতি আকর্ষণ হারিয়ে ফেলে। এছাড়া কারো সঙ্গে মিশতে না পারা, ঘুম, খাওয়া-দাওয়ায় অনিয়ম তো রয়েছেই।

Law Giant

A lawyer is a 'legal practitioner' who is an advocate, barrister, attorney, solicitor or legal adviser. Lawyers work primarily to solve the legal problems of individuals or organizations through the practical application of theoretical aspects of the law.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button