বন্য হাতির আক্রমণে করণীয়
কাপ্তাই ঘুরতে আসলে একটা জিনিষ মাথায় রাখবেন- এলাকায় দেখা পালা হাতী আর কাপ্তাইয়ের বন্য হাতী এক নয়!
মাত্র নাস্তা করতে বের হয়ে দেখলাম একজন গুরুতর আহত লোককে সি.এন.জিতে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। একটু পরই আমাদের সামনে দিয়ে ফায়ার সার্ভিসের মাধ্যমে তাকে মেডিকেলের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়।
সম্ভাব্য সূত্রে জানা যায়, নেভি ক্যাম্পের উদ্দেশ্যে ৫ জনের একটি টিম সি.এন.জি-তে করে যাচ্ছিল। যাওয়ার পথে নেভি রোডে তাদের সামনে হাতী পড়ে। ড্রাইভারের কথায় কান না দিয়ে তিনি কৌতূহল বশত হাতীর দিকে এগিয়ে গেলে আচমকা হাতী তাকে ধরে জঙ্গলের দিকে নিয়ে যায়।
যদি কখনো বন্য হাতীর সামনে পড়ে যানঃ
প্রথমেই হাতীর কান এবং শুড়ের দিকে খেয়াল করুন। যদি কান পিছনের দিকে ফিরানো এবং শুড় বাকানো (বাকিয়ে মুখের কাছাকাছি এনে রাখা) থাকে তাহলে হাতীটি (সিরিয়াস) অবশ্যই আপনাকে আক্রমণ করবে।
যদি কান স্বাভাবিক ভাবে পাশের দিকে চড়ানো এবং শুড় সোজা বা সামনের দিকে একটু বাকানো থাকে তাহলে হাতীটি কনফিউজড।
যখন হাতীটি সিরিয়াসঃ
১. আশেপাশে কোনো বড় গাছ, দেওয়াল, বড় পাথর ইত্যাদি পেলে (যেখানে সম্পুর্ণ ভাবে গা ঢাকা দেওয়া যাবে) লুকিয়ে যান। অবশ্যই একদম শান্ত থাকুন যেন সে আপনার উপস্থিতি টের না পায়।
২. বড় গাছ পেলে উঠে পড়ুন। ছোটো গাছে উঠবেন না, হাতী ছোটো গাছ ভেঙ্গে ফেলতে পারে এবং প্রায় ১৫-২০ ফুট উচ্চতা পর্যন্ত নাগাল পায়।
৩. হাতের কাছে কিছু পাওয়া না গেলে শেষ সম্বল দৌড়ে পালানো। এক্ষেত্রে জিগজেগ (আঁকাবাঁকা) ভাবে দৌড়াতে হবে।
যখন হাতীটি কনফিউজডঃ
১. আপনার দিকে দৌড়ে আসলেও আপনি ঠায় দাঁড়িয়ে থাকুন। একটু এসে থেমে যাবে। আপনাকে ভয় দেখাচ্ছে, আক্রমণ করবে না। থেমে গেলে আপনি শান্তভাবে ২/১ কদম সামনে এগিয়ে যান, সে পিছিয়ে যাবে।
২. এসময়ে কখনো আপনার পিছন দিক দেখাবেন না। এতে হাতীটি সিরিয়াস হয়ে যাবে।
৩. যত জোরে সম্ভব শব্দ করুন। হাতী উচ্চ আওয়াজে ভয় পায়।
কখনোই হাতীর সামনে বাজে শব্দ উচ্চারণ করবেন না, এমনকি মনে মনেও কোনো খারাপ চিন্তা করবেন না। বিশেষজ্ঞদের মতে হাতী মানুষের মনের অবস্থা পড়তে/বুঝতে পারে।
বন্য এলাকায় গেলে অবশ্যই সব সময় সতর্ক থাকবেন। আপনার একটু সতর্কতাই বাঁচাতে পারে আপনার প্রাণ।