InformationEvent

সরকারি চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতি ..

চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতি:

সবাই জানে আজকাল সরকারী চাকুরী সোনার হরিণ হয়েছে। বাংলাদেশের মধ্যে যদি ৩ লক্ষ্য চাকুরী প্রার্থি থাকে তাদের মধ্যে ২ লক্ষ্য নিরানব্বেই হাজার জনই সরকারী চাকুরী চায়। আর সরকারী চাকুরীর কোটাও হয়তো সবমিলিয়ে ১০ হাজারের মত। সুতারাং চিন্তা করে দেখুন এটা কত টাফ। আবার এর মধ্যে টাকা পয়সা ও নানা রকম কোটা ত আছেই। তাই এর জন্য চাই কমপক্ষে ৩ বছর মেয়াদি লং প্লান। আর থাকতে হবে অপরিসীম ধৈরয। সাথে দৈনিক কমপক্ষে ১২ ঘন্টা পড়াশোনা করার অভ্যাস। তাহলেই বিসিএসসহ যেকোন চাকুরী আপনার হাতে ধরা দেবে। তবে শেষ কথা হল ভাগ্যেও থাকতে হবে।

সরকারি চাকরির পরীক্ষায় সফল হতে প্রয়োজন সঠিক পথে কঠোর পরিশ্রম ও ধৈর্য। সরকারি চাকরিতে পদ সীমিত ও পরীক্ষার্থী সংখ্যা প্রচুর, তাই স্বাভাবিক ভাবেই কঠিন প্রতিযোগিতা রয়েছে। তবে সঠিক পদ্ধতিতে পরিশ্রম করলে সফলতা অসম্ভব                                                                                                                                                    (ক) প্রথমেই দেখতে হবে কোন পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে চাও। বিভিন্ন ধরনের চাকরির আলাদা আলাদা পরীক্ষা হয়ে   থাকে।                                                                                                                                                               (খ) এরপর সেই নির্দিষ্ট পরীক্ষার সিলেবাসে কি কি বিষয় রয়েছে সেগুলো নোট করে নিতে হবে।                                                                                                                                                                                                        (গ) বিষয়গুলি সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা নিতে ও তার থেকে কি কি ধরনের প্রশ্ন আসতে পারে তা জানার জন্য ইন্টারনেটে ওই বিষয়গুলি সম্পর্কে লেখা
দেখতে পারেন বা ভিডিওর সাহায্য নিতে পারেন। যদি মনেহয় তবে বাজার থেকে কিছু বই এনেও দেখা যেতে পারে।(ঘ) একবার ধারণা নেওয়া হয়ে গেলে এবার প্রয়োজন নির্দিষ্ট লক্ষ্যের জন্য নিয়মিত ও সঠিক পদ্ধতিতে অনুশীলন শুরু করা।

আজ আমরা আলোচনা করব। সরকারী চাকরির প্রস্তুতি কিভাবে শুরু করব। প্রাতিষ্ঠানিক পরীক্ষা আর সরকারী চাকরির পরীক্ষা এক নয়। চাকরির পরীক্ষায় অনেক কিছুই এলোমেলো হয়ে যায়। জানা বিষয়ও তখন অজানা মনে হয়। তাই সরকারী চাকরির প্রস্তুতিটা একটু ভালভাবেই নিতে হবে। কারণ প্রাতিষ্ঠানিক পরীক্ষা যদি অাপনি দুয়েক নাম্বার কম পান তাহলেও আপনি হয়ত First Class পাবেন। কিন্তু চাকরির পরীক্ষায় আপনাকে দুই এক নাম্বারের জন্যই চাকরিটা হারাতে হবে। তাই কিভাবে সরকারী চাকরির প্রস্তুতিটা শুরু করবেন। সে বিষয়ে নিচে আলোচনা করা হল:

যে কোন চাকরির পরীক্ষায় সাধারণত ৪ ক্যাটাগরির প্রশ্ন হয়

সাধারণ জ্ঞান (বাংলাদেশ + আর্ন্তজাতিক + খেলাধুলা + ইতিহাস)                                                                     গণিত (বীজ + পাটি +   জ্যামিতি                                                                                                                   বাংলা (ব্যাকরণ + সাহিত্য)
 ইরেজি (গ্রামার + অন্যান্য )
  এই বিষয় গুলো ভালো ভাবে আয়ত্ব করলেই আপনার প্রস্তুতি নেওয়া হয়ে যাবে ।এছাড়াও এখন আলাদা ভাবে তথ্য প্রযুক্তির উপর মাঝে মাঝে প্রশ্ন থাকে। সেটাও সাধারণত সাধারণজ্ঞান ক্যাটাগরিতেই ধরা হয়। এখন আসুন কোন বিষয়ের কোন জিনিস গুলো আপনাকে জানতে হবে।

সাধারণ জ্ঞানঃ‬ সাম্প্রতিকে জোর বাংলাদেশের স্বাধীনতা, অভ্যুদয়ের ইতিহাস, জাতীয় বিষয়াবলি থেকে প্রশ্ন আসে। আন্তর্জাতিক অংশে দক্ষিণ এশিয়া এবং এশিয়া সম্পর্কিত প্রশ্ন বেশি দেখা যায়। খেলাধুলা, আন্তর্জাতিক সংস্থা, পুরস্কার, দিবস ইত্যাদি থেকে প্রশ্ন আসে। সাধারণ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিসংশ্লিষ্ট প্রশ্ন যেমন বিভিন্ন আবিষ্কার, রোগব্যাধি, বিভিন্ন খাদ্যগুণ, কম্পিউটার, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি থেকে প্রশ্ন আসতে পারে। সাধারণ জ্ঞানের প্রস্তুতির জন্য আজকের বিশ্ব, এমপিথ্রি, নতুন বিশ্ব পড়তে পারেন কৃষ্ণ অধিকারী বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ থেকে প্রশ্ন বেশি থাকে। বিশেষত এক বছরের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিশ্বে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলোকে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। এ জন্য পড়তে হবে সাধারণ জ্ঞানবিষয়ক মাসিক কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স বা কারেন্ট ওয়ার্ল্ড।

গণিতঃ‬ গণিতের সমাধান বের করতে অনেকে বেশি সময় নিয়ে ফেলেন। এ ক্ষেত্রে সচেতন হতে হবে। পুরনো পাঠ্যক্রমের ষষ্ঠ থেকে অষ্টম ও নবম- দশম শ্রেণির গণিত বই অনুসরণ করতে হবে। দেখে যেতে হবে এইচএসসি পর্যায়ের বইও। সায়েন্টিফিক ক্যালকুলেটর নেওয়া যাবে না। সাধারণ ক্যালকুলেটর নেওয়া গেলেও সময় স্বল্পতার কারণে সব সময় ব্যবহার করতে যাওয়াটা বোকামি। গণিতের প্রস্তুতি এমনভাবে নিতে হবে যেন মুখে মুখেই অঙ্কের বেশির ভাগ সমাধান করে নেওয়া যায়, বারবার চর্চা করলেই এটা সম্ভব। সুদ-কষা, ঐকিক নিয়ম, লাভ-ক্ষতি, ভগ্নাংশ, ধারাপাত এবং বীজগণিতের প্রথম পর্যায়ের কিছু অঙ্ক থেকে প্রশ্ন আসতে পারে। অনেক সময় দশমিকের গুণ, ভাগ থাকে। জ্যামিতির সাধারণ সূত্র ও সংজ্ঞা থেকেও প্রশ্ন আসে।

বাংলা সাহিত্য ও ব্যাকরণঃ‬ উল্লেখযোগ্য কবি- সাহিত্যিকদের জীবন ও সাহিত্যকর্ম, বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের ইতিহাস সম্পর্কে জানতে হবে। গল্প, কবিতা বা উপন্যাসের রচয়িতা থেকে প্রশ্ন বেশি আসে। ব্যাকরণ অংশে শব্দ, পদ, কারক- বিভক্তি, প্রকৃতি- প্রত্যয়, সন্ধি, সমাস, শুদ্ধ বানান পড়তে হবে। পারিভাষিক শব্দ, বিপরীত শব্দ, বাগধারা, এককথায় প্রকাশ থেকেও প্রশ্ন আসতে পারে। কৃষ্ণ অধিকারী জানান, সন্ধি, সমাস, কারক থেকে প্রতিবছরই প্রশ্ন থাকে, এগুলো প্রশ্নে একপলক দেখামাত্রই যেন উত্তর করা যায় সেভাবেই প্রস্তুতি নিতে হবে। এ জন্য বোর্ড প্রণীত নবম-দশম শ্রেণির ব্যাকরণ বইয়ের সব অধ্যায়ের পাঠ এবং উদাহরণ শিখতে পারলে ভালো হয়।

ইংরেজিঃ‬ বেসিক গ্রামার সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা থাকতে হবে। পড়তে হবে Preposition, Antonym, Synonym, Parts of Speech, Tense, Spelling, Right forms of verb, Transformation, Voice, Narration । সাধারণত Spelling, Right forms of verb, Antonym, Synonym থেকে প্রশ্ন বেশি আসে। বিগত কয়েক বছরের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র দেখলে বেশ ভালো ধারণা পাওয়া যাবে। চারটি Preposition থেকে শূন্যস্থানে. কোনটি বসবে, গ্রামারের বিচারে কোন বাক্যটি শুদ্ধ, কোনটি সঠিক Indirect Speech -এ ধরনের প্রশ্ন প্রায়ই আসে। অনুশীলনের জন্য প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ গাইড, প্রফেসরস জব সল্যুশন এবং ভালো মানের গ্রামার বই পড়তে পারেন। আর খাতায় গুরুত্বপূর্ণ শব্দ লিখে চর্চা করলে কাজে লাগবে।

পড়ি কিন্তু কিছু মনে থাকে নাঃ

এইটা আপনার না শুধু সবার সমস্যা ।কারণ একদিনে আমরা অনেক পড়াশুনা করি কিন্তু পড়লেই শুধু হবে না মনে রাখতে ও হবে না হলে পড়ার কোন মূল্য  থাকবে না। আমরা আপনাকে একটা পরিকল্পনা আপনাকে দিচ্ছি আপনি ৭দিন এই ভাবে পড়ে দেখেন আপনার লাভ হয় না কি ক্ষতি হয় এমনি বুঝতে পারবেন।

প্রতিদিন এক অধ্যায় করে পড়বেন। ২৪ ঘন্টায় আপনি নিজের মত করে পড়ার সময় করে নিবেন ।একটা অধ্যায় পড়বেন তার পরে নিজেই  ঐ অধ্যায়ের উপরে পরীক্ষা দিবেন অথবা চোখ বন্ধ করে চিন্তা করবেন কি কি আপনি পড়েছেন আপনি যদি কোন প্রশ্ন এই ভাবে মনে করতে পারেন , সেইটা আর কোন দিনও ভুলবেন না । তার পরে  যে প্রশ্ন গুলো একদম মনে থাকছে না সেই প্রশ্ন  গুলো লিখে রাখেন এবং  বার বার পড়েন এবং লিখেন । আপনি এই ভাবে ৭দিন সময় দিয়ে এক অধ্যায় করে পড়াশোনা করেন দেখেন কোন পরিবর্তন আসে না কি।

পড়া মনে রাখার  বিকল্পঃ    আপনি প্রতিদিন এক অধ্যায়ের পড়াশুনা করবেন তার পরে সেই অধ্যায়ের পড়াশোনা কেমন হয়েছে সেইটা দেখার জন্য Quiz Test দিবেন। এখানে আপনি ঐ অধ্যায়ের সকল প্রশ্ন পাবেন । Quiz শেষে আপনি দেখতে পাবেন আপনি কোন কোন প্রশ্ন ভুল করেছেন সেই প্রশ্ন গুলো লিখে রাখেন এবং ভাল করে পড়েন তার পরে আবার Quiz Test দিবেন । দেখবেন সব প্রশ্ন গুলো আপনি খুব সহজে মনে রাখতে পারছেন । কারণ মানুষ কোন কিছু ভুল করলেই সেইটা বেশি মনে রাখে । অধ্যায় ভিত্তিক পড়া শেষে আপনি এখানে বিষয় ভিত্তিক মডেল টেস্ট দিতে পারবেন। বিষয় ভিত্তিক ও যখন আপনি শেষ করবেন তখন চাকরির পরীক্ষার আলোকে স্পেশাল মডেল টেস্ট দিতে পারবেন । আপনি যদি এই ভাবে প্রতিদন পড়াশুনা করেতে পারেন ,৬মাসের মধ্যে  আপনি দেখবেন চাকরির পরীক্ষার ৮০% আপনার কাছে অনেক সহজ হয়ে যাবে ২য় ,৩য়  শ্রেণীর চাকরিতে আপনি সকল প্রশ্ন কমন পাবেন ।

সর্বশেষ কথাঃ চাকরি একটা বড় প্রতিযোগিতার  বাজার তাই চাকরি করতে চাইলে কম করে হলেও দিনে এক অধ্যায় পড়বেন কিন্তু দিনে যে এক অধ্যায় পড়বেন সেই অধ্যায় এমন ভাবে পড়বেন যে কোন দিন ভুলে না যান । বেশি পড়ার সুযোগ থাকলে ২-৩টা বই থেকে অধ্যায় গুলো পড়বেন যাতে একটা চুল পরিমান কিছু বাদ না যায়। এই ভাবে আপনি জীবন থেকে ৬মাস দেন বুঝতে পারবেন নিজেকেই । ৬ মাসে আপনার পড়া হবে ১৮০ অধ্যায় কিন্তু বেশি ভাগ চাকরির ক্ষেত্রে ১০০-১২০ অধ্যায়ও নাই।কিন্তু আমরা ৩-৪ বছর শেষেও এই ১০০-১২০ অধ্যায় শেষ করতে পারি না ।

.

Law Giant

A lawyer is a 'legal practitioner' who is an advocate, barrister, attorney, solicitor or legal adviser. Lawyers work primarily to solve the legal problems of individuals or organizations through the practical application of theoretical aspects of the law.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button